Just In
- 2 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 3 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 6 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 8 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
পঞ্চাশের পর গর্ভবতী হওয়া কি নিরাপদ?
আজকাল, কিছু নারী বেশি বয়সে গিয়ে গর্ভধারণ করাকে বেঁছে নিচ্ছেন। প্রযুক্তির উন্নতিও, ৫০-এর পর গর্ভধারণকে সম্ভব করেছে।
সাধারণত, ৪২ বছর বয়সের পর, ডিমের গুণগত মান পড়ে যায় যা গর্ভধারণ করাকে কঠিন করে তোলে। এছাড়া, ডিমের সংখ্যাও বহুলাংশে কমে আসে। ৪৭ বছরের পর, প্রাকৃতিক ভাবে গর্ভধারণ করা খুবই কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে এগ ডোনেশন এবং ভিট্রো-ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতি সাহায্য করতে পারে।
৫০ বছরের ঊর্ধ্বের মহিলারা ডোনেটেড এগ ব্যবহার করে গর্ভবতী হতে পারেন। কিন্তু, হাইপার টেনশন ও ডায়াবেটিসের মতো নির্দিষ্ট কিছু ঝুঁকিকে অস্বীকার করা যাবে না। সাথে নির্দিষ্ট কিছু জন্মগত ত্রুটি যেমন সময়ের পূর্বেই প্রসব, মৃত-সন্তান প্রসব এবং বৃদ্ধির সীমাবদ্ধতা ইত্যাদিও হতে পারে।
কম বয়সী নারীদের তুলনায়, ৫০ পেড়িয়ে যাওয়া নারীদের পক্ষে গর্ভ বহন করা কঠিন ও কষ্টকর।
৪৫ বছরের পর যদি কোন মহিলা গর্ভবতী হন, তবে শিশুদের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু জেনেটিক অস্বাভাবিকতার ঝুঁকিকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু যদি ডোনেটেড এগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তবে এই ঝুঁকি সামান্য হলেও কমে যায়।
আপনি যদি পঞ্চাশোর্ধ হয়ে থাকেন আর তাও গর্ভধারণ করার ইচ্ছা রাখেন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই বয়সে গর্ভবতী হওয়ার সব ধরণের ঝুঁকি ও উদ্বেগ সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুণ।
চিকিৎসক হয়তো, ডিম্বাশয় ও ফ্যালোপিয়ান নালীর সক্রিয়তা বিশ্লেষণের জন্য পরীক্ষার সুপারিশ করবেন। একই সাথে ডিমের গুণগত মানের বিশ্লেষণেরও প্রয়োজন আছে।
পরিস্থিতির ওপর বিচার করে চিকিৎসক নানা রকমের প্রতিকারের বিধান দিতে পারেন।
এগ ডোনেশন পদ্ধতি যদি চূড়ান্ত করা হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে শরীর, শিশুটিকে বহন করতে সক্ষম কি নয় তা জানার জন্য রক্ত পরীক্ষা ও আলট্রাসাউন্ড করা হবে। এছাড়াও, ডোনেটেড এগের মাধ্যম দিয়ে শিশুকে বহন করার জন্য সেই ব্যক্তির মানসিক প্রস্তুতি আছে কিনা তা জানার জন্যও আরও অন্যান্য পরীক্ষানিরীক্ষাও রয়েছে।
অ্যানিমিয়া, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে নেওয়ার জন্য সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়ে থাকে।
সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গেলে, চিকিৎসক কয়েক সপ্তাহের জন্য ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন। গর্ভধারণের জন্য জরায়ুকে তৈরি করতে এটি করা হয়ে থাকে। এমনকি, গর্ভ রোপনের পরেও চিকিৎসক আরও কিছু সময়ের জন্য হরমোনের সেবন চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।
এইভাবে, অনেকগুলি পদ্ধতি, ৫০-এর পরেও গর্ভধারণকে সম্ভব করে তুলতে পারে কিন্তু একাধিক স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় ঝুঁকির সম্ভাবনাগুলিকেও অস্বীকার করা যায় না।