Just In
- 16 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 17 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 21 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 22 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
আপনি কি মা হওয়ার পরিকল্পনা করছেন? এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখুন
মা হওয়ার পরিকল্পনা করার সময় প্রত্যেক মহিলারই কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত, যাতে গর্ভাবস্থার সময় কোনও সমস্যা না হয়। কিন্তু অনেকেই প্রেগনেন্সির প্ল্যানিং করার সময় কিছু ভুল করে বসে, যার কারণে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বা গর্ভাবস্থায় কোনও না কোনও সমস্যা দেখা দেয়।
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অনেক শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে হয়। তাই মা এবং শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য কিছু পরিকল্পনা প্রেগনেন্সির আগেই করা ভাল। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, গর্ভবতী হওয়ার আগে কোন কোন বিষয়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
মা হওয়ার পরিকল্পনা করতে শুরু করলে সর্বপ্রথমে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তাহলে আপনি স্বাস্থ্যকর প্রেগনেন্সির প্ল্যান তৈরি করতে সক্ষম হবেন। গর্ভধারণের তিন মাস আগে, যা প্রি-প্রেগনেন্সি পিরিয়ড নামে পরিচিত, ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন করলে, তা অনেক ক্ষেত্রেই উপকারি হয়।
গর্ভবতী হওয়ার আগে আপনার মেডিকেল হিস্ট্রি একজন ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করা উচিত এবং নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে মনোনিবেশ করা উচিত -
১) ফাইব্রয়েড এবং এন্ডোমেট্রিওসিসের সম্ভাবনার জন্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।
২) আপনার পরিবারে যদি ডাউন সিনড্রোম, থ্যালাসেমিয়ার ইতিহাস থেকে থাকে তবে ডাক্তারকে এ সম্পর্কে বলুন।
আরও পড়ুন : গর্ভবতী অবস্থাতেই সুইমিং পুলে অনুষ্কা শর্মা, জানুন গর্ভাবস্থায় সাঁতারের উপকারিতা সম্পর্কে
৩) আপনার যদি মূত্রনালীতে সংক্রমণ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে, তবে পরীক্ষা করান। সমস্যা থাকলে গর্ভধারণের আগে সম্পূর্ণ চিকিৎসা করান।
৪) আপনার যদি ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হাঁপানি, কিডনি, হৃদরোগ, ইত্যাদি সমস্যা থাকে, তবে অবশ্যই গর্ভাবস্থার আগে সেগুলি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
৫) এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি, সিফিলিস, ইত্যাদি গর্ভাবস্থার আগে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত, যাতে গর্ভাবস্থা বা প্রসবের সময় এই সংক্রমণ শিশুর মধ্যে না যায়।
৬) যদি আপনার ওজন বেশি হয় এবং বডি মাস ইনডেক্স (BMI) ২৩ বা তারও বেশি থাকে, তবে ডাক্তার আপনাকে ওজন হ্রাস করতে পরামর্শ দেবেন। আর যদি আপনার ওজন কম হয় তবে আপনার BMI বাড়ানোর নিরাপদ পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন। আপনার BMI ১৮.৫ এবং ২২.৯ এর মধ্যে হওয়া উচিত।
এই বিষয়গুলি অবশ্যই মনে রাখবেন, তাহলে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে কম অসুবিধার মুখোমুখি হবেন এবং স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা উপভোগ করতে সক্ষম হবেন।