Just In
- 1 hr ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 3 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 4 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 21 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
শিশু যখন তখন কেঁদে ওঠে? দেখে নিন এর সম্ভাব্য কারণগুলি
ছোট্ট বাচ্চার কান্নাকাটি করা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। এই সময় কান্নাই হল শিশুর যোগাযোগের মাধ্যম। যেহেতু তারা কথা বলতে পারে না, তাই কান্নার মাধ্যমে খিদে, কষ্ট, ঘুম, অস্বস্তি, ভয় কিংবা অন্য কোনও প্রয়োজনকে প্রকাশ করে। আপনি যদি সদ্য মা হয়েছেন এবং আপনার শিশু কেন কাঁদছে তা বুঝতে না পারেন, তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন। এখানে শিশুর কান্নার কয়েকটি কারণ দেওয়া হল। তবে আপনার বাচ্চার যদি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বমি, ডায়ারিয়া হয় তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
১) ক্ষুধার্ত
শিশুর অতিরিক্ত কান্নার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল খিদে পাওয়া। বাচ্চাদের পেট খুব ছোট হয়, ফলে বেশি পরিমাণে খাবার তারা খেতে পারে না। ঘন ঘন খিদে পায় তাদের। তাই, যদি আপনার শিশু কান্নাকাটি করে তাহলে আপনি প্রথমে তাকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করতে পারেন।
২) ভেজা ডায়াপার
ব্যস্ত থাকার কারণে বা ভুলে গিয়ে মা-বাবা শিশুর ডায়াপার পাল্টানোর কথা ভুলে যায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ ভেজা, নোংরা ডায়াপার পরে থাকার কারণে শিশুর অস্বস্তি হতে শুরু করে এবং তারা কান্নাকাটি করে। ভেজা ডায়াপার বেশিক্ষণ পরিয়ে রাখলে শিশুর ব়্যাশ, চুলকানি হতে পারে। তাই অবশ্যই শিশুর ডায়াপার পাল্টানোর দিকে খেয়াল রাখুন।
৩) পেটের সমস্যা
পেটে ব্যথা, ফোলা বা গ্যাস হওয়ার কারণেও আপনার বাচ্চা কান্নাকটি করতে পারে। সাধারণত খাওয়ানোর পর পেটে গ্যাস হলে ব্যথা হয়, তখন শিশু অস্থির হয়ে ওঠে এবং খুব কান্নাকাটি করে। তাই সেদিকে নজর দিন।
৪) ঢেকুর তোলা প্রয়োজন
যদি আপনার ছোট্ট সোনা খাওয়ার পরপরই কান্না শুরু করে, তাহলে তার অস্বস্তি দূর করার জন্য তাকে ঢেকুর তোলানোর চেষ্টা করতে পারেন। ঢেকুর তোলানোর জন্য শিশুর পিঠে ধীরে ধীরে চাপড়ান এবং ঘষতে থাকুন।
৫) অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম অনুভূতি
শিশুকে ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচানোর জন্য তাকে বাড়তি পোশাক পরানো হয়। কিন্তু অনেক সময় শিশুর অতিরিক্ত গরম লাগে এবং কোনও কোনও সময় তার ঠান্ডা লাগে, ফলে শিশু কাঁদতে শুরু করে। তাই আবহাওয়া অনুযায়ী শিশুকে পোশাক পরান।
আপনার সন্তান কি খুব কান্নাকাটি করে? রইল শিশুর কান্না থামানোর সহজ উপায়
৬) আদর চায়
অনেক সময় শিশু তার মা-বাবার কোলে থাকতে পছন্দ করে। আদর পেতে চায়। তাই শিশুর যখন মা-বাবার সান্নিধ্য প্রয়োজন হয়, তখন সে কান্নার মাধ্যমে তার অনুভূতি বোঝাতে পারে।
৭) ভয় পেলে
অনেক সময় শিশু খারাপ স্বপ্ন দেখলে বা ভয় পেলে খুব কান্নাকাটি করা শুরু করে। তাছাড়া, অপরিচিত পরিবেশেও শিশু বিরক্তিবোধ করে এবং ভয় পায়। বিকট কোনও শব্দ শুনে আপনার শিশু ভয় পেয়ে কান্নাকাটি করতে পারে। তাই এই ব্যাপারটিকে হালকাভাবে নেবেন না।
৮) অসুস্থ হলে
শিশুরা অসুস্থ হলে মারাত্মক কান্নাকাটি করে। তখন তারা ঘুমোতে চায় না, খেতে চায় না। শারীরিক কোনও অস্বস্তির কারণেও শিশু কাঁদতে পারে।
৯) ঘুম পেলে
শিশুর ঘুম পেলে কাঁদতে শুরু করে। শিশু খুব ক্লান্ত থাকলে কান্নাকাটি করে, এই সময় তার ঘুমের প্রয়োজন হয়।