Just In
- 1 hr ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 3 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 19 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 20 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
World Breastfeeding Week : প্রসবের পর ব্রেস্ট মিল্ক উৎপাদনে সমস্যা? জানুন স্তনদুগ্ধ উৎপাদনের কিছু সহজ উপায়
শিশুকে স্তনদুগ্ধ পান করানো, মা এবং শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেই অত্যন্ত উপকারি। মাতৃদুগ্ধ শিশুর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুর জন্মের পর প্রথম ছ'মাস শুধু স্তন্যপান করালে শিশুর যথাযথ পুষ্টি লাভ হয় এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। স্তন্যপানের মাধ্যমেই একটি শিশু তার মা-কে চিনতে পারে। তবে এখন অনেক মায়েরা ছ'মাসের আগেই শিশুকে বাজার চলতি বিভিন্ন খাবার খাওয়াতে শুরু করেন। কিন্তু এতে তেমন কোনও সুফল পাওয়া যায় না, বরং বাইরের খাবার খেলে শিশুর শরীরে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে, প্রসবের পর ব্রেস্ট মিল্ক কম উৎপাদন হওয়ায় শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্তনদুগ্ধ পান করাতে পারেন না। বর্তমানে এই সমস্যা প্রচুর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আজ আমরা এই সমস্যা সমাধানের কয়েকটি উপায় আপনাদের জানাব।
শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ও সময়মতো স্তন্যপান সংক্রান্ত বিষয়ে উৎসাহ দিতে, সমগ্র বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ১ অগস্ট থেকে ৭ অগস্ট পর্যন্ত, 'World Breastfeeding Week' পালন করা হয়। এই সপ্তাহে বিভিন্ন জায়গায় স্তন্যপান নিয়ে ওয়ার্কশপ হতে দেখা যায়। তাই, এই World Breastfeeding Week-এ জেনে নিন, স্তনদুগ্ধ উৎপাদনের কিছু সহজ প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে।
১) অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ডায়েট
ব্রেস্ট মিল্ক উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য খাদ্যতালিকায় তাজা সবুজ শাকসবজি, ডিম, দুধ, রসুন, পিঁয়াজ, চিকেন, মিট স্যুপ অন্তর্ভুক্ত করুন। ফল, শাকসবজি এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- স্যালমন, ফ্ল্যাকসিড, প্রভৃতি স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত ভাল। এছাড়াও, স্তনদুগ্ধের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আরও ভাল কিছু খাবার হল মেথি, ওটমিল, মৌরি, ইত্যাদি।
২) পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন
মাতৃদুগ্ধ প্রায় ৯০ শতাংশ জল দিয়ে তৈরি হয়। তাই, শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে গেলে, পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ উৎপন্ন হয় না। তাই দৈনিক ৬-৮ গ্লাস জল পান করার সাথে সাথে, অন্যান্য তরল যেমন দুধ, জুস, সুপ প্রভৃতি পান করুন। এগুলি আপনাকে হাইড্রেট রাখবে।
৩) ভালোভাবে বিশ্রাম নিন
ক্লান্তি বা পরিশ্রান্ত থাকলে দুধ উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যদিও নতুন মায়েদের স্ট্রেস হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা, তাই সময় বের করে বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন। শিশু ঘুমানোর সময় আপনিও বিশ্রাম করার চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম বা বিশ্রাম নেওয়া আপনার শরীরের জন্য খুব উপকারি এবং ব্রেস্ট মিল্কের উৎপাদন বাড়ানোর জন্যও সহায়ক হতে পারে।
৪) ঘনঘন স্তন্যপান করান
সন্তানকে ঘনঘন স্তন্যপান করান। বাচ্চা ঘনঘন, যতবেশি সময় ধরে স্তন্যপান করবে, তত বেশি দুধ উৎপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। স্তনে দুধের পরিমাণ তখনই বৃদ্ধি পায়, যখন আপনি আপনার বাচ্চাকে স্তন্যপান করান। তাই প্রতিটি পাশে শিশুকে কমপক্ষে ১০ মিনিট করে দুধ পান করানো উচিত। তাই, স্তন্যপানের সময় আপনার শিশু যদি ঘুমিয়ে পড়ে, তাহলে তাকে আস্তে করে জাগিয়ে তুলুন দুধ পানের জন্য।
৫) স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন
শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন। যতটা সম্ভব রিল্যাক্স করার চেষ্টা করুন। এটি স্তনদুগ্ধ উৎপাদনের জন্য দায়ী হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। আপনি চাইলে স্ট্রেস-রিলিফ এক্সারসাইজ এবং স্ট্রেস লেভেল ম্যানেজ করার জন্য বিভিন্ন ব্রিদিং টেকনিক প্র্যাকটিস করতে পারেন। এই সময় ধূমপান, মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য, জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৬) ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহার করতে পারেন
ব্রেস্ট পাম্প স্তনদুগ্ধের সরবরাহ দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। প্রতিটি স্তন্যপান সেশনের পর, প্রায় ২-৩ দিন ব্রেস্ট পাম্প করতে হবে। তবে ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহারের আগে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন এবং সেই অনুসারেই শুরু করবেন।