Just In
- 1 hr ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 17 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 18 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 21 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
বাচ্চার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য এখন থেকেই এই ৮টি ভাল অভ্যাস শেখান
প্রত্যেক মা-বাবাই চায় তাদের সন্তান মানুষের মতো মানুষ হোক। ভদ্র, নম্র হোক এবং জীবনে অনেক দূর পর্যন্ত এগোক। এটা তখনই সম্ভব, যখন সে ছোট থেকে সঠিক শিক্ষা পাবে। ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের কিছু ভাল অভ্যাসের সাথে জড়িত করলে, ভবিষ্যতে তারা যেকোনও কঠিন পরিস্থিতির সাথে সহজেই মোকাবিলা করতে পারে।
বাচ্চারা আসলে নরম মাটির মতো হয়। যেভাবে গড়ে তুলতে চাইবেন, সেই আকারই ধারণ করবে। তাই ছোট থেকেই যদি তাকে কিছু ভাল অভ্যাস শেখান, তাহলে জীবনের যেকোনও পরীক্ষা সে সফল ভাবে উত্তীর্ণ হতে পারবে।
১) আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ
বর্তমান যুগে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে এবং বাচ্চাদের মধ্যে স্বাধীন বোধেরও বিকাশ ঘটাবে। ছেলে হোক কিংবা মেয়ে, আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ উভয়ের ক্ষেত্রেই আজ আবশ্যক।
২) প্রাথমিক চিকিৎসা (First-aid) সম্পর্কে অবগত করুন
বাচ্চাদের কেটে যাওয়া, হাতে-পায়ে আঘাত লাগা, কামড়, ফুসকুড়ি অথবা অ্যালার্জি হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। কোনও মা-বাবার পক্ষেই সর্বদা বাচ্চার সাথে সাথে থেকে, এই ধরনের বিপদের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই বাচ্চাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে অবগত করা অত্যন্ত জরুরি। ছোটখাটো কেটে গেলে অথবা হালকা আঘাত লাগলে, না ঘাবড়ে যেন সে নিজের বা অন্যের প্রাথমিক চিকিৎসা করতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকলে, তা ভবিষ্যতেও বিভিন্নভাবে তাদের সাহায্য করতে পারবে।
৩) নিজের কাজ নিজে করতে শেখান
অনেক মা-বাবাই, তার সন্তানের সমস্ত কাজ করে দেন। কিন্তু তা বাচ্চাদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে, অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। ফলে বাচ্চা বড় হয়েও আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে পারে না। তাকে কারুর না কারুর উপর নির্ভরশীল হতে হয়। তাই বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই আত্মনির্ভর হতে শেখান এবং তাদের নিজেদের কাজ নিজেদের করতে উৎসাহিত করুন। যেমন নিজের খেলনা সঠিক জায়গায় গুছিয়ে রাখা, নিজের জামা কাপড় ভাঁজ করে সঠিক স্থানে রাখা, খাওয়ার পর নিজের বাসন তোলা, প্রভৃতি।
৪) সিদ্ধান্ত নিতে শেখান
বাচ্চাদের হয়ে তার মা-বাবা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বাচ্চাদেরও সিদ্ধান্ত নিতে সুযোগ দিন। ফলে বাচ্চাদের মধ্যে ধীরে ধীরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার বিকাশ হবে, যা ভবিষ্যতে প্রতিটি পর্যায়ে তাদের কাজে লাগবে। যেমন - যেকোনও দুটি খেলা, পোশাক-আশাক অথবা খাবারের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে বলুন।
৫) পরিবেশ সম্পর্কে অবগত করুন
বাচ্চাদের প্রকৃতি সম্পর্কে অবগত করুন। ছোটবেলা থেকেই পরিবেশ সম্পর্কে অবগত থাকলে এবং প্রকৃতিকে ভালবাসতে শিখলে, পরিবেশ রক্ষায় তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষরোপণ করুন এবং কেন বৃক্ষরোপণ জরুরি, তা তাদের জানান অথবা জলের অপচয় কেন বন্ধ করা দরকার, এই ধরনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করুন। এদিক-সেদিক ময়লা ফেলে পরিবেশ নোংরা করা উচিত নয়, এটিও তাদের শেখান।
৬) কীভাবে মানুষের সঙ্গে কথা বলা উচিত
বাচ্চাদের ভাল অপরিচিত ব্যক্তি এবং খারাপ অপরিচিত ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য করতে শেখান। কীভাবে বন্ধু বানাতে হয় অথবা বড়দের সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, কীভাবে সকলের সঙ্গে মিশতে হয়, কথা বলতে হয়, সেগুলি শেখান। এগুলি আপনার বাচ্চাকে মানুষ চিনতে শেখাবে এবং মানুষের সঙ্গে মিশতেও শেখাবে।
৭) বাড়ি-ঘর পরিষ্কার রাখতে শেখান
বাচ্চারা বাড়ি-ঘর নোংরা করবে, এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে বাচ্চাদের দিয়েই ঘর পরিষ্কার করা শেখানো অত্যন্ত জরুরি। আপনার বাচ্চাকে নিজের ঘর পরিষ্কার করা, বিছানা করা, খেলনা যথাযথ স্থানে গুছিয়ে রাখা অথবা জামাকাপড় যথাযথ স্থানে রাখা, পড়াশোনার জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা, প্রভৃতি ছোট ছোট কাজ করতে উৎসাহিত করুন।
৮) সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে শেখান
আপনার সন্তানকে ছোট থেকেই সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে শেখান। বাচ্চাকে একটি অ্যালার্ম ক্লক দিন, যাতে সে তার ঘুম থেকে ওঠার সময়, স্কুলে যাওয়ার সময়, খাওয়ার সময় খেলার সময়, পড়ার সময়, সবকিছুর জন্য নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে রাখতে পারে। ছোট থেকে সময়মতো চললে, জীবনের যেকোনও বড় পরীক্ষাতেই সে উত্তীর্ণ হতে পারবে।