Just In
গর্ভাবস্থায় হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত হলে কী করবেন?
গর্ভাবস্থায় হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত হলে কী করবেন?
গর্ভাবস্থায় হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত হলে কী করবেন?
মা হতে চলেছি! এই অনুভূতির সৌন্দর্যতা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এই সময় ভাবী মা যেমন অনন্দের চূড়ায় থাকেন, তেমনি একটু চিন্তাও হয় আগামী নানা শারীরিক জটিলতার কথা ভেবে।
যেমনটা আমাদের সকলের জানা যে মহিলাদের জীবনে গর্ভাবস্থা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্য়ায়। কারণ এই সময় মায়ের শরীর নানা পরিবর্তনের মধ্য়ে দিয়ে যায়। আর সব থেকে চিন্তার বিষয় হল গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে কোনওঅসুবিধা দেখা দিলে তার সরাসরি প্রভাব গিয়ে পড়ে বাচ্চার শরীরে। তাই এই সময় মাকে ভালো ভাবে রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। সেই কারণেই তো এই সময় নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি চিকিৎসকের বলে দেওয়া খাবার খেতে হবে ভাবি মাকে। সেই সঙ্গে শরীরে যাতে কোন রোগ বাসা বাঁধতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না এর সঙ্গে বাচ্চার শারীরের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
যদিও কোনও কোনও মায়ের গর্ভাবস্থার আগে থেকেই নানা শারীরিক সমস্য়া থাকে। তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু আগামী নয় মাসের লড়াইটা আরও কঠিন হয়। যেমন ধরুন কানও মহিলার যদি আগে থেকেই ডায়াবেটিস বা ক্য়ানসারের মতো রোগ থাকে, তাহলে আলাদা করে মায়ের এবং বাচ্চার খেয়াল রাখার প্রয়োজন পড়ে। একই ভাবে কোনও মহিলা যদি গর্ভাবস্থার আগে থেকেই হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত হন তাহলে কী প্রেগেনেন্ট থাকাকীলন সে চিকিৎসা চালাতে পারবে? এই নিয়েই আলোচনা করা হবে এই প্রবন্ধে।
হাইপোথাইরয়েডিজম
কী:
থাইরয়েড
গ্ল্য়ান্ড
যখন
ঠিক
মাত্রায়
থাইরয়েড
হরমোন
ক্ষরণ
করতে
পারে
না,
তখন
নানাভাবে
শরীর
খারাপ
হতে
শুরু
করে।
এই
রোগকেই
চিকিৎসা
পরিভাষায়
হাইপোথাইরয়েডিজম
বলা
হয়।
এই রোগ যে কারও হতে পারে। এক্ষেত্রে সাধারণত ক্লান্ত লাগা, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, মেনস্ট্রয়েশন সার্কেল অস্বাভাবিক হয়ে যাওয়া, খিটখিটে লাগা, চুল পড়া এবং ওজন বৃদ্ধির মতো লক্ষণ দেখা যেতে পারে। এই ধরনের রোগীদের লক্ষণ বিবেচনা করে অনেক রকমের হরমোনাল থেরাপি দেওয়া হয়।
গর্ভাবস্থায়
হাইপোথাইরয়েডিজমের
চিকিৎসা
করা
কি
নিরাপদ?
কিছু
ক্ষেত্রে
প্রেগনেন্সির
সময়
থাইরয়েডের
চিকিৎসা
না
করাই
ভালো।
কারণ
এই
ধরনের
চিকিৎসায়
যেসব
ওষুধ
ব্য়বহার
করা
হয়
সেগুলি
বাচ্চার
ক্ষতি
করতে
পারে।
তবে, আরেকটি বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে যে থাইরয়েডের চিকিৎসা যদি করা না হয় তাহলেও বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। তাই এইসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে সেই মতো সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই নিরাপদ।
সম্প্রতি মায়ো ক্লিনিকের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মায়েরা গর্ভাবস্থায় থাইরয়েডের চিকিৎসা করেন না, তাদের প্রি মেচিওর বাচ্চা হওয়া, এমনকি মিসক্য়ারেজের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন যে, প্রেগনেন্সির সময় এই ধরনের রোগের চিকিৎসা করা একেবারে নিরাপদ। এতে মা ও বাচ্চার কোনও ক্ষতি হয় না। তাই থাইরয়েডে আক্রান্ত মহিলারা নিশ্চিন্তে গর্ভবতি হতে পারেন। অকারণ চিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই।