Just In
- 8 min ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 21 min ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 17 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 19 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
শিশুর ঘন ঘন হেঁচকি হওয়া নিয়ে আপনি চিন্তিত? ভরসা রাখুন এই ৬ উপায়ে!
শিশুদের ঘন ঘন হেঁচকি ওঠা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। ডায়াফ্রামের সংকোচন এবং ভোকাল কর্ড দ্রুত বন্ধ হওয়ার কারণে শিশুর হেঁচকি হয়। কিন্তু কখনও কখনও শিশুর ক্রমাগত হেঁচকি হতেই থাকে, কিছুতেই থামতে চায় না।
এমন অনেক উপায় রয়েছে, যেগুলি প্রয়োগ করে আপনি আপনার শিশুর হেঁচকি থামাতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে ডাক্তারের সঙ্গেও পরামর্শ করতে পারেন।
শিশুকে সময়মতো খাওয়ান
শিশুকে কেবল তখনই খাওয়াবেন না যখন সে খাওয়ার জন্য কান্নাকাটি শুরু করে। কারণ খিদের জ্বালায় যখন শিশু খাবারটি গিলবে, তখন বাতাস অত্যধিক পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই শিশুকে সময়মতো খাওয়ান। আপনার শিশু যখন একেবারে শান্ত থাকবে তখন তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। তবে একবারে খুব বেশি খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে আপনার শিশুকে ঘন ঘন অল্প অল্প করে খাওয়ান।
বাচ্চাকে ঢেকুর তোলান
শিশুর হেঁচকি তোলা প্রতিরোধের অন্যতম সেরা পদ্ধতি এটি। যদি আপনার শিশু দুধ খাওয়ার সময় ঢেকুর তোলা শুরু করে, তাহলে কিছুক্ষণ তাকে খাওয়ানো বন্ধ রাখুন এবং শিশুকে ঢেকুর তুলতে দিন। ঢেকুর তোলার ফলে শিশুর পেটে জমে থাকা সমস্ত বায়ু বেরিয়ে যায়। এই অতিরিক্ত বায়ু বা গ্যাসই শিশুর হেঁচকি ওঠার অন্যতম কারণ। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স অনুসারে, শিশুকে ২-৩ আউন্স বোতলের দুধ খাওয়ানোর পরেই ঢেকুর তোলানো উচিত। আর যদি আপনার শিশু স্তন্যপান করে, তাহলে খাওয়ানোর মধ্যবর্তী সময়ে বা শিশুকে স্তন পরিবর্তন করানোর সময় ঢেকুর তোলান।
শিশুর পিঠে আলতো করে ঘষুন
শিশুর হেঁচকি উঠলে তার পিঠে আলতোভাবে ঘষুন। খুব বেশি জোর দিয়ে পিঠে আঘাত বা চাপড় মারবেন না। শিশুর পিঠে হালকা চাপ দিন বা ঘষুন, কখনই শক্তি প্রয়োগ করবেন না।
প্যাসিফায়ার ব্যবহার করুন
খাওয়ানোর কারণে বাচ্চাদের সবসময় হেঁচকি হয় না। শিশুর হেঁচকি উঠলে, আপনি তাকে প্যাসিফায়ার দিতে পারেন। প্যাসিফায়ার চোষার ফলে ডায়াফ্রাম রিল্যাক্স করতে এবং হেঁচকি বন্ধ করতে সাহায্য করতে পারে।
নিজে থেকেই হেঁচকি বন্ধ হতে দিন
হেঁচকি সাধারণত নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। যদি হেঁচকির কারণে আপনার শিশুর খুব একটা অসুবিধা না হয়, তাহলে তা হতে দিন। কিন্তু যদি হেঁচকি না থামে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন, কারণ এটি স্বাস্থ্যের কোনও সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
শিশুর দুধের বোতল পরীক্ষা করুন
শিশুর দুধের বোতলও হেঁচকির অন্যতম কারণ হতে পারে। এমন অনেক বোতল আছে যেগুলি বেশি বাতাস ধরে রাখে। তাই, খাওয়ানোর সময় আপনার শিশুর হেঁচকি উঠলে অন্য ব্র্যান্ডের বোতল ব্যবহার করুন।
এছাড়াও, খাওয়ানোর পরপরই শিশুর সঙ্গে খেলা করা এড়িয়ে চলুন। খাওয়ানোর পর ২০-৩০ মিনিট আপনার শিশুকে সোজা বা খাড়া অবস্থায় রাখুন। খাড়া অবস্থায় থাকাকালীন শিশুর পিঠে আলতো করে মালিশ করুন ঢেকুর তোলার জন্য। এটি খাওয়ার সময় গ্রাস করা বায়ুকে বের করে দেয়।