Just In
- 10 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 11 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 14 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 16 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
শিশুর হজমের সমস্যা? জেনে নিন বাচ্চাদের ঘনঘন বদহজম প্রতিরোধের উপায়
বাচ্চাদের শরীর বড়দের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল এবং বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বড়দের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল হয়। তাই খুব সহজেই বাচ্চারা জ্বর, সর্দি-কাশি এবং বিভিন্ন সংক্রমণের শিকার হয়।
হজমের সমস্যাও বাচ্চাদের মধ্যে বেশ দেখা যায়। দুর্বল হজম শক্তির কারণে, বাচ্চাদের পেটে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। ফলে খেতে না চাওয়া, বমি করা, কান্নাকাটি করা, পেট ফুলে থাকা, পেট খারাপের মতো সমস্যাও হতে পারে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ে আপনার বাচ্চাকে এই সমস্যা থেকে বের করে আনতে পারেন। জেনে নিন প্রাকৃতিক উপায়ে বাচ্চাদের হজম শক্তিকে কীভাবে শক্তিশালী করে তুলবেন।
১) স্তন্যপান করান
বাচ্চাদের হজম শক্তি দুর্বল হয়, তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, নবজাতকদের কমপক্ষে টানা প্রথম ছয় মাস, মাতৃদুগ্ধ পান করানো উচিত। কারণ মাতৃদুগ্ধে শিশুর প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টিগুণ বর্তমান, যা শিশুর অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়া, শিশুর সঠিক হজমেও সহায়তা করে।
২) অতিরিক্ত খাওয়ানো এড়িয়ে চলুন
অনেক পিতা-মাতার ধারণা যে, বাচ্চাদের বড় হওয়ার সাথে সাথে বেশি করে খাওয়ানো উচিত। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। প্রতিটি শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খাওয়ানো উচিত, অতিরিক্ত পরিমাণে নয়। তবে এর পরিমাণটি ভিন্ন শিশুর ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যাতে বাচ্চারা পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করে এবং কোনওভাবেই ক্ষুধার্ত না থাকে। কিন্তু তাদের অতিরিক্ত পরিমাণে কখনোই খাওয়াবেন না, এতে হজমে সমস্যা হতে পারে।
৩) ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়ান
ফাইবার-যুক্ত খাদ্য, বাচ্চাদের হজম ক্ষমতা শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন - বিনস, বেরি জাতীয় ফল, আপেল, অ্যাভোকাডো এবং উচ্চ ফাইবার সিরিয়াল বাচ্চাদের হজম ক্ষমতা ঠিক রাখতে অত্যন্ত সহায়ক এবং বাচ্চার অন্ত্র সুস্থ রাখে।
৪) যথাযথ সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করান
আপনার সন্তানকে হাইড্রেটেড রাখুন। বাচ্চাদের যথাযথ সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে বাচ্চার অন্ত্র সুস্থ থাকে। অন্যান্য তরল জাতীয় খাদ্য ছাড়া, দুধও বাচ্চাদের অন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করতে পারে।
৫) ঢেকুর তোলান
বাচ্চারা স্তন্যপান কিংবা বোতলের দুধ খাওয়ার সময়, প্রচুর পরিমাণে বাতাসও গ্রহণ করে ফেলে। যার ফলে পেটে ফোলাভাব, ব্যথা, গ্যাসের সমস্যা, বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা শিশুর পক্ষে অত্যন্ত অস্বস্তিকর। তাই, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাচ্চাদের খাওয়ানোর পর সঠিকভাবে ঢেকুর তোলানো অত্যন্ত জরুরী। বাচ্চাদের কাঁধের উপর শুইয়ে, পিঠে আলতো করে মালিশ বা চাপড় দিতে থাকলে, সহজেই ঢেকুর তুলতে পারবে।
৬) ম্যাসাজ করুন
ম্যাসাজ কেবলমাত্র বাচ্চাদের হাড় এবং পেশী শক্তিশালী করে তুলতেই সহায়তা করে না, পাশাপাশি এটি বাচ্চাদের হজম-সংক্রান্ত সমস্যাগুলি দূর করতেও দুর্দান্ত সহায়ক। যেকোনও ভাল বেবি ম্যাসাজ অয়েল নিয়ে বাচ্চাদের পেট এবং নাভির চারপাশে আলতো করে বৃত্তাকার পদ্ধতিতে মালিশ করুন। এটি বাচ্চাদের পেটে আটকে থাকা গ্যাস বের করে দিতে সহায়তা করে। আপনি আপনার শিশুর পা, তার পেটের উপর আলতো করে চেপেও ম্যাসাজ করতে পারেন।