Just In
Don't Miss
আপনার বাচ্চার ঘর কীভাবে সাজাবেন?
নিজেদের ঘরের ভিতর সাজানো গেলেও সব থেকে অসুবিধা তৈরি হয় নিজের বাচ্চার ঘর সাজানোর সময়। কারণ আমরা সবাই জানি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক আর একজন বাচ্চার পছন্দের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ।
নতুন বাড়ি করছেন? হরেক রকম প্ল্যান তৈরি করছেন কীভাবে নিজের বাড়ি নিজের মনের মত তৈরি করা যায়। বিশারদ কাছ থেকে প্ল্যান এবং আইডিয়া আজকের দিনে আমরা সবাই নি। কীভাবে অল্প জায়গা বা বেশি জায়গার সঠিক ব্যবহার করে নিজের মনের মত বাড়ি বানানো যায়। খরচ করে বাড়ি আজকের দিনে বানালেও ঘর সাজানোর সময়ে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্ত হতে পড়েন। নিজেদের ঘরের ভিতর সাজানো গেলেও সব থেকে অসুবিধা তৈরি হয় নিজের বাচ্চার ঘর সাজানোর সময়। কারণ আমরা সবাই জানি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক আর একজন বাচ্চার পছন্দের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ।
আমরা যেমন ঠিক নিজেদের ঘরকে সাজাতে চাই যাতে সারাদিনের কাজের শেষে ক্লান্তির অবসান হয়, তেমনি বাচ্চাদের ঘর সাজানোর সময় খেয়াল রাখা দরকার তাদের ঘর যেন তাদের কাছে একঘেয়েমির জায়গা না হয়। আজকের দিনে খেলার মাঠ সব জায়গায় থাকে না। ফলে শিশুদের খেলার জায়গাও ওই ঘর। তারা কী চায় বা না চায়, তার দিকে নজর রেখে তাদের ঘর সাজানো দরকার। আসুন আজকের প্রতিবেদনে জেনে নি ঠিক কীভাবে নিজের বাচ্চার জন্যে ঘর সাজাবেন।
১. ঘরের দেওয়াল
ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে প্রথমে নজর দিন ঘরের দেওয়ালে। একঘেয়ে রং বাচ্চাদের একদম পছন্দ হয় না। সেক্ষেত্রে রং বছর পছন্দ মত বেছে নিন। এছাড়া দেওয়ালে নানান কার্টুন, বা আপনার শিশুর ভালোলাগার চরিত্রের স্টিকার লাগাতে পারেন। বেছে নিতে পারেন পোস্টারও। দেওয়ালে নকশা করতে পারেন বা ছবি আঁকার হাত ভালো থাকলে মুরাল বানাতে পারেন। অনেকে দেওয়াল নষ্ট হতে যাওয়া ভয়ে এগুলো করতে চান না। সেক্ষেত্রে স্টিকার একদম উপযুক্ত। বয়স আর বাচ্চার পছন্দের রকমফের অনুযায়ী সহজেই দেওয়ালের ক্ষতি না করে পাল্টাতে পারবেন।
২. শুধু সাজানো নয়, গুছানো চাই
বাচ্চারা কেউ চিরকাল ছোটো থাকেনা। সময়ের সাথে সাথে বড়ো হয়। তাদের পছন্দ শুধু নয়, পাল্টাতে থাকে তাদের অবসরের ফাঁকফোকর। বড়ো হবার সাথে সাথে তাদের স্কুল, টিউশনের কাজ বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে পড়ার চাপ। ঘর গোছানো না থাকলে বা প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাব ঘরকে ঘিঞ্জি করে তুললে বাচ্চারা মনসংযোগ করতে পারে না। খেয়াল রাখুন পড়ার জন্যে যেনো আলাদা টেবিল চেয়ার থাকে, যার কাছে আলাদা বুক শেলফ থাকা জরুরি। হাতের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিস থাকলে বার বার মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে না। একটা গুছানো ঘর সবসময় কাজে একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. শেলফ খোলা থাকা দরকার
বাচ্চারা সবসময় খেলাচ্ছলে কাজ করতে পছন্দ করে। বড়দেরে মত ধীর স্থির তারা নয়। ফলে এই মুহূর্তে একটা খেলনা নিয়ে খেলতে চাইছে, তো পরের মুহূর্তেই অন্য খেলনা চাই। বারবার জিনিস বের করতে যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্যে বছর ঘরের শেলফ চেষ্টা করুন খোলা রাখার। এতে করে খেলার পরে নির্দিষ্ট সময়ে সেগুলো রাখার সময় বাচ্চার অসুবিধা হবে না। ঘর গুছানোর অভ্যেস ছোটো থেকেই তৈরি হবে। হাতের নাগালে বাচ্চার খেলার জিনিস রাখলে আপনার ভয়ও কমবে যে যাতে আপনার ছোটো আদরের শিশু পড়ে না যায়। তবে দামি জিনিস বা অতিরিক্ত ভঙ্গুর জিনিস বাচ্চাদের হাত থেকে সরিয়ে রাখাই মঙ্গল।
৪. সীমারেখা রাখুন
অনেকসময় এটা হয় যে আপনি আর আপনার বাচ্চা একই ঘর ভাগ করে নিচ্ছেন একটা সময়ের পরে। বা হতে পরে যে আপনার একের বেশি বাচ্চা রয়েছে যারা একটাই ঘরে থাকছে। সেক্ষেত্রে প্রতিটা বিছানার মাঝে ছোটো একটা সীমা টানার চেষ্টা করুন। এটা এমন নয় যে তাদের মধ্যে বিভেদ আনার, এটা শুধুমাত্র একটা পরিসর তৈরি করা। তার জন্যে একটা টেবিল ল্যাম্প ব্যবহার করতে পারেন বা ছোট টেবিলে রাখা ফুলদানী। অনেক সময় অনেকে আছেন যারা বছর জন্যে একই ধরনের বিছানা বা আসবাব তৈরি করেন। অনেক ক্ষেত্রে শিশুরা পছন্দ করলেও অনেকে চায় তার ধরন অনুযায়ী তার আসবাব খেলার জিনিস তৈরি হোক। সেটা রং হোক বা ধরণ, যা কিছু হতে পারে।
৫. বর্ণময় করুন
বাচ্চারা খেলতে ভালোবাসে এটা সবাই জানে। তারা যা কিছু হাতের কাছে পায়, তাই দিয়ে নিজেদের কল্পনাকে ব্যবহার করে খেলতে থাকে। তাই তাদের কি পছন্দ বা অপছন্দ, সেই দিকে খেয়াল রেখে তাদের ঘর সাজিয়ে তুলুন। আজকাল অনেক জিনিস নিজে হাতে বানিয়ে নেওয়ার(DIY) আইডিয়া পাওয়া যায়। সেগুলো থেকেও আইডিয়া নিতে পারেন।