Just In
এক বছরের শিশুর খাদ্যতালিকায় যেগুলো থাকা দরকার
বাচ্চাকে নিয়ে সব মায়েদেরই চিন্তা হয়। কী খাওয়ালে ভাল, কোন খাবারে সঠিক পুষ্টি পাবে ছোট্ট সন্তান, ভেবে ভেবে দিন চলে যায়। একদম ছোট অবস্থায় দুধেই পেট ভরে যায়, কিন্তু শিশু যখন বড় হতে শুরু করে তখন তার খাওয়া বদলাতে শুরু করে। শিশুদের দাঁত ওঠার গড় বয়স ৬-১২ মাস। দাঁত বেরোনোর সাথে সাথে শক্ত খাবারগুলিকে কামড় দেওয়া এবং সেগুলিকে চিবানোর ক্ষমতারও বহিঃপ্রকাশ ঘটে। খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়। এক বছর বয়সে একটু একটু খেতে শুরু করে দেয় শিশুরা। এইসময় তাদের নতুন নতুন খাবারের সাথে পরিচয় ঘটানো দরকার। আপনি আপনার এক বছরের বাচ্চাকে ঠিক কী খাওয়াতে পারেন তা জেনে নিন এই আর্টিকেল থেকে।
১) শসা
এক বছরের শিশুর জন্য শসা উপযুক্ত খাবার। লম্বা করে কেটে বাচ্চার হাতে দিয়ে দিন। এতে তার চিবানোর ক্ষমতা যেমন তৈরি হবে তেমনি বাচ্চার শরীরকে হাইড্রেটও রাখবে শসা।
২) ব্রকোলি, গাজর
ব্রকোলিতে থাকে ভিটামিন সি, ফাইবার। সিদ্ধ করে দিতে পারেন শিশুকে। এতে তার পেট ভরবে। ব্রকোলি বাচ্চার চোখের জন্য ভালো। এক বছরের শিশুকে দেওয়ার জন্য আরও একটি ভালো সবজি হল গাজর। গাজর সিদ্ধ করে হালকা চটকে নিন, তারপর খাওয়ান শিশুকে। একইরকমভাবে দিতে পারেন মিষ্টি আলুও।
৩) বিনস্
ব্ল্যাক বিনস্, কিডনি বিনস্, হোয়াইট বিনস সিদ্ধ করে দিতে পারেন শিশুকে। যেকোনও বিনস নিউট্রিশনে ভরপুর, এতে থাকে ফাইবারও। ভালো করে সিদ্ধ করে পেস্টের মতো বানিয়ে নিন, এতে শিশুর পেট যেমন ভরবে তেমন হজম হবে তাড়াতাড়ি।
৪) দই / দুধ
বাচ্চার এক বছর হয়ে গেলে তাকে দুধ খাওয়ানো শুরু করুন। ফুল ফ্যাট মিল্ক দিতে পারেন। দই দেওয়া শুরু করুন। দই বাচ্চার পেটের জন্য যেমন ভালো তেমন হজম ক্ষমতাও বাড়ায়।
কোভিড-১৯ : বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রোজ খাওয়ান এই খাবারগুলি
৫) কলা
কলা নরম হওয়ায় বাচ্চাকে খাওয়াতে সুবিধা হয়। কলা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারি। কলা ছাড়াও আম, স্ট্রবেরিও খাওয়াতে পারেন বাচ্চাকে।
৬) অ্যাভোকাডো
এক বছরের শিশুর জন্য অ্যাভোকাডো একটা ভালো ফল। শিশুর হার্ট এবং ব্রেনের বিকাশে সাহায্য করে অ্যাভোকাডো।
৭) ওটমিল
ওটমিলে থাকে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, মিনারেলস, ফ্যাট, ভিটামিন। তাহলে বুঝতেই পারছেন আপনার শিশুর জন্য ওটমিল কতটা জরুরি। দুধ বা জল দিয়ে বানিয়ে নিন। ব্রেকফাস্ট বা বিকেলে ওটমিল দিতে পারেন আপনার বাচ্চাকে।
৮) খাদ্যশস্য
শিশুর জন্য যেকোনও খাদ্যশস্য উপকারি। রাইস, বার্লি, ওটস ব্রেকফাস্ট-এ দিতে পারেন শিশুকে। এসবে থাকে ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট। কর্নফ্লেক্স দুধে ভিজিয়েও দিতে পারেন।
৯) ডাল
প্রোটিনে ভরপুর খাবার হল ডাল। ডালের স্যুপ শিশুর জন্য খুব উপকারি। পাঁচমিশালি ডাল বানিয়ে শিশুকে ভাতের সঙ্গে খাওয়ান। কম নুন দিয়ে রান্না করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।
শিশুর জন্মের প্রথম বছরে তাদের এই খাবারগুলি দেবেন না, তাহলে সমস্যায় পড়তে পারেন
১০) ভেজিটেবল স্যুপ
গাজর, বিনস্, আলু, ব্রকোলি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে দিতে পারেন বাচ্চাকে। স্যুপে পেট যেমন ভরবে তেমন সবজিতে থাকা ফাইবার ও ভিটামিন যাবে শিশুর শরীরে।
১১) সয়াবিন
যারা বাচ্চাকে মাছ, মাংস খাওয়ান না তারা সয়াবিন দিতে পারেন। আমিষের মতোই প্রোটিন পাওয়া যায় সয়াবিন থেকে। তবে ছোট বাচ্চারা অনেক সময় সয়াবিন চিবিয়ে খেতে পারে না। তাদের সোয়া চাঙ্কস দিতে পারেন।
১২) চিকেন ও মাছ
চিকেনের নরম পিস দিতে পারেন শিশুকে। খেয়াল রাখবেন চিকেন যেন অ্যান্টি-বায়োটিক ফ্রি হয়। শিশুকে মাছ দেবেন হালকা ভেজে। তেল যেন বেশি ব্যবহার না হয়। মাছের কারিও দিতে পারেন।
এছাড়া মাল্টিগ্রেন রুটি, পালং শাক দিয়ে খিচুড়ি, উপমা বানিয়ে খাওয়াতে পারেন শিশুকে। সবসময় চেষ্টা করবেন শিশুকে বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়ানোর। বাইরের খাবার দিলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।