Just In
গর্ভাবস্থায় দাঁতের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খান কিসমিস, জানুন এর অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় অন্যান্য সবদিকে খেয়াল রাখার পাশাপাশি প্রত্যেক মায়েরই উচিত নিজের খাদ্যের দিকে সবথেকে বেশি সচেতন হওয়া। এইসময় স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই, প্রেগনেন্সিতে সুস্থ থাকতে আপনি কিসমিস খেতে পারেন। কিসমিস মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্যই উপকারি।
কিসমিস খাওয়ার ফলে শরীরে রক্তাল্পতা হয় না, যা অ্যানিমিয়া থেকে বাঁচতে সহায়তা করে। এতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে যা রক্ত গঠনে কার্যকর। কিশমিশে উপস্থিত তামা লাল রক্তকণিকা গঠনে সহায়তা করে। তাহলে জেনে নিন গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কী কী -
১) দাঁতের স্বাস্থ্য
কিসমিস ক্যালসিয়াম এবং ওলিয়ানলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ, উভয়ই আপনার দাঁতকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে, গর্ভাবস্থায় দাঁতের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তবে কিসমিস এটি মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে।
২) কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা, তবে কিসমিস খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অন্যান্য ল্যাক্সেটিভ বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, এগুলি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৩) পাচনতন্ত্রকে ঠিক রাখে
কিসমিসে উচ্চ পরিমাণ ফাইবার থাকার ফলে এটি পাচন ক্রিয়াকে উন্নত করতেও সহায়তা করে। তাই গর্ভাবস্থায় কিশমিশ খান এবং পাচনতন্ত্র-কে সুস্থ ও ভাল রাখুন!
৪) শক্তি যোগায়
কিসমিস প্রাকৃতিক গ্লুকোজের দুর্দান্ত উৎস হিসেবে পরিচিত। খিদে পাওয়ার মুহূর্তে কিসমিস খেলে, তা আপনাকে এনার্জি সরবরাহ করতে পারে।
৫) রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া রোধ করে
প্রেগনেন্সিতে অ্যানিমিয়ায় ভোগা একটা সাধারণ ঘটনা। গর্ভাবস্থায় হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং আয়রনের ঘাটতির ফলে অ্যানিমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে আয়রনের ঘাটতি জনিত অ্যানিমিয়াকে প্রতিরোধ করা যেতে পারে কিসমিস খেয়ে। কারণ কিসমিস আয়রনের সমৃদ্ধ উৎস।