Just In
- 8 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 9 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 13 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 14 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
শীতকালে শিশুকে এই খাবারগুলো একেবারেই দেবেন না, বিপদ হতে পারে
শীতকাল মানেই ঘোরাঘুরি, খাওয়াদাওয়া। করোনা আবহে ঘুরতে যাওয়া বন্ধ থাকলেও খাওয়াদাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে শীতকালে কিন্তু অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ঠাণ্ডা পরার মুখে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা, কানে সংক্রমণ, স্কিনের সমস্যা দেখা যায় ঘরে ঘরে। তাই এই সময়টা সাবধানে থাকা দরকার। শিশুদের ক্ষেত্রে কয়েক গুণ বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। প্রথমেই যেদিকে নজর দিতে হবে সেটা হচ্ছে খাওয়াদাওয়া। খাওয়ার এদিক ওদিক হলেই শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। শিশুদের অসুস্থতা কমাতে জেনে নিন কোন কোন খাবার শীতকালে শিশুদের দেবেন না।
মিষ্টিজাতীয় খাবার
মিষ্টি জিনিস খেতে সব বাচ্চা পছন্দ করে। কিন্তু বাচ্চা পছন্দ করে বলেই সেই খাবার তার হাতে তুলে দেবেন, সেটা একদম করবেন না। আপনাকে দেখতে হবে বাচ্চাকে যেটা খেতে দিচ্ছেন সেটা তার শরীরের পক্ষে উপকারী কিনা। মিষ্টিজাতীয় খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিক, স্থূলতা, কোলেস্টেরলের মতো রোগ বাসা বাঁধতে পারে শিশুর শরীরে। তাই আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিঙ্কস, চকোলেট, ক্যান্ডি থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখুন।
দুগ্ধজাতীয় খাবার
যে কোনও ডেয়ারি প্রোডাক্ট শীতকালে স্যালাইভা ও মিউকাসকে ঘন করে তোলে। এর ফলে শিশুদের গলায় সমস্যা দেখা দেয়। তাই শীতকালে শিশুদের দুগ্ধজাত খাবার থেকে দূরে রাখাই ভালো। চিজ, ক্রিম খাওয়ানো বন্ধ রাখুন। শিশুর যদি সর্দি-কাশির সমস্যা থাকে তাহলে একদমই দেবেন না ডেয়ারি প্রোডাক্ট।
মাংস
মাংসের মধ্যে থাকা প্রাণীজ প্রোটিন মিউকাস ঘন করে। যার থেকে শিশুদের গলায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে প্রসেসড মাংস এবং ডিম থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখুন শিশুকে। এই সময় শিশুদের প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়াতে চাইলে মাছ এবং অরগ্যানিক মাংস খাওয়াতে পারেন।
হিস্টামাইন ফুড
হিস্টামাইন শিশুর শরীরে প্রদাহ তৈরি করে এবং অ্যালার্জির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। স্মোকড মিট, শেলফিস, বেগুনে হিস্টামাইন থাকে। এইসব খাবার খেলে হাঁচি, সর্দি, অ্যালার্জি হতে পারে বাচ্চাদের।
তৈলাক্ত খাবার
তেল এমনিই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। সে যে বয়সের মানুষই হোন। শিশুদের শরীরেও তেল ক্ষতি করে। তৈলাক্ত খাবারের মধ্যে থাকে ফ্যাট, কোলেস্টেরল, ক্যালোরি। যেগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কোলেস্টেরল, স্থূলতা দেখা দিতে পারে শিশুর শরীরে। তাই ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস, চিকেন স্ট্রিপস, ফ্রায়েড চিজ, পটেটো চিপসের মতো খাবার থেকে শিশুকে দূরে রাখুন। এই ধরণের খাবার শিশুরা খেতে পছন্দ করে। কিন্তু তাদের ভালোর জন্য শিশুর ডায়েটে ভাজাভুজি যতটা সম্ভব কম রাখুন।
সবসময় বাচ্চাকে মৌসুমী সবজি, ফল খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। শীতে খুব কম পাওয়া যায় এমন খাবার দেবেন না। আপনার বাচ্চা ভুট্টা খেতে পছন্দ করতে পারে, কিন্তু আপনাকে ভাবতে হবে ভুট্টা শীতের ফসল নয়। ভুট্টা গরমকালে বেশি পাওয়া যায়। তেমনি অ্যাসপারাগাস শিশুকে শীতকালে একদম খাওয়াবেন না। সাধারণ নিয়মগুলো মেনে চললে দেখবেন শীতকালে আপনার বাচ্চা থাকবে রোগমুক্ত।