Just In
- 3 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 5 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 5 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 23 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
Don't Miss
জরায়ুর সুস্থ থাকবে এই ৭ খাবারের গুণে! জেনে নিন কী কী খাবেন
আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরা সকলেই বদল করেছি আমাদের খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা। খাবার সময়, ঘুমানোর সময়ে এসেছে পরিবর্তন। অত্যাধিক রেস্তোরাঁর খাবারে এখন অভ্যস্ত সকলে। এর ফলে অল্প বয়স থেকেই শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। ডায়াবেটিস, প্রেসার, হার্টের রোগ তো এখন ঘরে ঘরে। এছাড়াও, মহিলাদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে জরায়ুর রোগ। অল্প বয়স থেকে বহু মেয়ের দেখা দিচ্ছে ইউট্রাসের সমস্যা। কখনও পিরিয়ড নিয়ে সমস্যা তো কখনও গর্ভধারণে সমস্যা।
একজন নারীর শরীরে জরায়ু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তাই জরায়ু সুস্থ রাখতে প্রত্যেক মহিলার উচিত স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা। আজকের আর্টিকেলে রইল ৭টি স্বাস্থ্যকর খাবারের হদিশ। ইউট্রাস বা জরায়ু সুস্থ রাখতে খেতে পারেন এই খাবারগুলি-
ফাইবার
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য এবং টক্সিন দূর করে দেয়। এছাড়াও, উচ্চ ফাইবার খাদ্য শরীরে সঞ্চিত অত্যধিক ইস্ট্রোজেন অপসারণ করতেও সাহায্য করে। এটি জরায়ুতে ফাইব্রয়েড গঠনে বাধা দেয়। বিনস, লেগুম, শাকসবজি, ফল এবং গোটা শস্য খেতে পারেন। জৈব খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাছাড়া, উচ্চ ফাইবারযুক্ত ডায়েট ফলো করার সময় প্রতি দিন প্রায় ৮-১০ গ্লাস জল পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে আপনার পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে ফাইবারের চলাচল আরও সহজ হবে।
শাকসবজি
শাকসবজি হল ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। ফাইব্রয়েডের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত শাকসবজি খান। লেগুম, বাঁধাকপি, ব্রকলি, এই ধরনের সবজিগুলি ফাইটোস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ। আর, ফাইটোস্ট্রোজেন শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, যার ফলে জরায়ুতে টিউমারের বৃদ্ধি রোধ হয়।
ফলমূল
ভিটামিন সি এবং বায়োফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ ফলগুলি জরায়ুতে ফাইব্রয়েডের বৃদ্ধি হতে দেয় না। শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই রোজ পরিমাণমতো ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। বায়োফ্ল্যাভোনয়েড ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারও প্রতিরোধ করতে পারে এবং প্রজনন সিস্টেমকে সুস্থ রাখে। খিদে পেলেই ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ইচ্ছা কমবে এবং জরায়ুতে প্রয়োজনীয় পুষ্টিও সরবরাহ করবে।
দুগ্ধজাত খাদ্য
দই, পনির, দুধ এবং মাখনের মতো দুগ্ধজাত খাদ্য জরায়ুর স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এই দুগ্ধজাত খাদ্যগুলি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। ক্যালসিয়াম হাড় সুস্থ রাখে, ভিটামিন ডি জরায়ুতে ফাইব্রয়েডের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া, ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করার জন্য শরীরে ভিটামিন ডি অত্যন্ত প্রয়োজন।
গ্রিন টি
গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এটি জরায়ু সুস্থ রাখে এবং জরায়ুতে ফাইব্রয়েডের চিকিৎসায়ও সাহায্য করতে পারে। ভেষজ বিশেষজ্ঞদের মতে, জরায়ুতে ফাইব্রয়েডের সমস্যায় যারা ভুগছেন, সেই সব মহিলাদের প্রায় আট সপ্তাহ ধরে নিয়মিত গ্রিন টি পান করা উচিত। এতে ফাইব্রয়েডের সংখ্যা কমতে পারে।
লেবু
আমরা জানি যে, লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন জরায়ুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম জলে একটি লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে আপনার জরায়ুর ভাল থাকবে। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে গবেষণা সীমিত।
বাদাম এবং বীজ
আমন্ড, ফ্ল্যাক্সসিড এবং কাজুবাদাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভাল কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ফাইব্রয়েড দূর করে এবং জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। ভাল কোলেস্টেরল শরীরে সিরাম কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রিম্যাচিওর বেবি বা কম ওজনের শিশুর জন্ম রোধ হয়।