Just In
Don't Miss
প্রসবের পর পেটের মেদ কমাতে ফলো করুন এই টিপস, নিমেষেই হবে সমস্যার সমাধান!
প্রত্যেক মহিলার কাছেই, মা হওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সুখ। বাচ্চার জন্মের মাধ্যমে মায়েরও নতুন জীবন শুরু হয়। গর্ভাবস্থায় পেটের আকার বাড়ার সাথে সাথে মায়ের আনন্দও বাড়তে থাকে। কিন্তু প্রসবের পরে নারীদেহে বেশ কিছু শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। যেমন - ওজন বেড়ে যাওয়া, পেটে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া, পেটের চামড়া ঢিলা হয়ে যাওয়া, ইত্যাদি। ফলে সন্তান প্রসবের পর পেটের চর্বি কমাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় নতুন মায়েদের। তবে কিছু সহজ উপায়ে প্রসবের পর সহজে পেটের চর্বি কমিয়ে মনের মতো চেহারায় ফিরে আসা সম্ভব। দেখে নিন সেগুলি কী কী -
পেটের চর্বি কমানোর উপায়
মাতৃদুগ্ধ পান করান
সদ্যোজাত শিশুকে অবশ্যই মাতৃদুগ্ধ পান করান। মাতৃদুগ্ধ পান করানোর মাধ্যমে একজন মা প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ক্যালরি বার্ন করতে পারে।
ডায়েটের মাধ্যমে
সঠিক ডায়েট ফলো করা প্রয়োজন। ডায়েটে সঠিক ভারসাম্য যুক্ত কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান
সন্তান প্রসবের পর প্রত্যেক মায়েরই উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা। ক্যলোরি বার্ন থেকে শুরু করে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে প্রত্যেক নতুন মায়েরই উচিত সঠিক পরিমাণে জল পান করা।
জোয়ানের জল
জোয়ান ভেজানো জল প্রেগনেন্সির পর পেটের চর্বি কমাতে খুব সাহায্য করে। প্রেগনেন্সির পরে কয়েক সপ্তাহ জোয়ানের জল পান করা, পেটের চর্বি কমাতে এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখতে খুব সাহায্য করে। এর জন্য, এক গ্লাস জল ও এক বড় চামচ জোয়ান নিয়ে কিছুক্ষণ ফোটান। তারপর ওই জল ছেঁকে হালকা ঠান্ডা হলে পান করুন।
দারচিনি ও লবঙ্গ
দারুচিনির স্টিক এবং দুই-তিনটি লবঙ্গ এক কাপ জলে দিয়ে ফোটান। তারপর ওই জল ঈষদুষ্ণ থাকাকালীন পান করুন। খুব তাড়াতাড়ি পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে এই পানীয়।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন? ভয় না পেয়ে কী করতে হবে জেনে নিন...
গোলমরিচ, আদা এবং মধু
এগুলিও প্রেগনেন্সির পর বাড়তি মেদ কমাতে সহায়তা করে। এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে আধা চামচ গোলমরিচ, এক চামচ মধু, সামান্য আদার রস ভাল করে মেশান। এটি সকালে খালি পেটেও পান করতে পারেন।
মেথি
প্রেগনেন্সির পর পেটের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে মেথি। রাতে এক চামচ মেথি এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরেরদিন সকালে সেটি ছেঁকে পান করুন।
এক্সারসাইজ
প্রসবের পর এমন কোনও এক্সারসাইজ করবেন না, যার ফলে আপনার শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই হালকা এক্সারসাইজ করাই ভাল। রোজ সকাল আর বিকেলে হাঁটতে পারেন, প্রাণায়াম করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এক্সারসাইজ করুন।
এই নিয়মগুলো মেনে চলুন
১) মদ্যপান-ধূমপান কোনওভাবেই করা চলবে না।
২) ওজন কমানোর জন্য স্ট্রিক্ট ডায়েট করলে চলবে না। মা এবং বাচ্চা যাতে সঠিক পুষ্টি পায় তার জন্য মাকে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
৩) ডিহাইড্রেশন এবং বদহজম যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
৪) ধীরে ধীরে এক্সারসাইজ করা শুরু করুন। তবে চিকিৎসকের অনুমতি না নিয়ে এক্সারসাইজ করবেন না।
৫) অল্প পরিমাণে বারে বারে খাবার খান।