Just In
গর্ভবতী হলে কেবল পিরিয়ড মিস হয় না, এই ৫ লক্ষণও দেখা দেয়!
গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণগুলি আমাদের সকলেরই জানা, যেমন- বমি বমি ভাব, পিরিয়ড মিস হওয়া, স্তনের আকৃতিতে পরিবর্তন, স্তনে হাত দিলে ব্যথা অনুভব হওয়া, সারাক্ষণ ক্লান্ত বোধ করা, মর্নিং সিকনেস, ইত্যাদি। এই সমস্ত লক্ষণগুলি গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে এগুলি ছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়, যা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই।
আজ আমরা আপনাকে এমনই কিছু প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে জানাব যেগুলি সাধারণত আপনি শোনেননি।
ভেজাইনাল ডিসচার্জ
এই লক্ষণকে অনেক সময় গর্ভাবস্থার সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয় না, কিন্তু ভেজাইনাল ডিসচার্জ কখনও কখনও আপনাকে গর্ভবতী হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। বেশিরভাগ গর্ভবতী মহিলার প্রথম ত্রৈমাসিকে এবং গর্ভাবস্থার সময় চটচটে, সাদা রঙের ভেজাইনাল ডিসচার্জ হয়। যোনি থেকে সাদা বা দুধের মতো পাতলা, হালকা গন্ধযুক্ত স্রাব বেরোতে দেখা যায়। তবে এটি রঙ পরিবর্তন করলে তা চিন্তার কারণ হতে পারে। যোনি স্রাবের বৃদ্ধি গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম। এটি পুরো গর্ভাবস্থাতেই চলতে থাকে।
দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি
শরীরের তাপমাত্রা বাড়াও গর্ভবতী হওয়ার সঙ্কেত দেয়। ওভ্যুলেশনের পরে সকালে ঘুম থেকে উঠলে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে এই তাপমাত্রা যদি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করান। কারণ, এটি গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
পিরিয়ডের অনুভূতি হতে পারে
সাধারণত এটি বিশ্বাস করা হয় যে, যখন কোনও মহিলা গর্ভবতী হয় তখন সর্বপ্রথমে তার পিরিয়ডস মিস হয়। এটি কিছুটা হলেও সত্য। প্রায় ২৫-৪০ শতাংশ গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভধারণ হওয়ার পর হালকা রক্তপাত হয়। এতে অনুভব হয় যে পিরিয়ডস শুরু হয়েছে।
৩০ বছরের বয়সের পরে গর্ভাবস্থার চিন্তাভাবনা? সম্মুখীন হতে পারেন এই সব ভয়ানক সমস্যার!
বারবার অসুস্থ হওয়া
গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এর ফলে কাশি, সর্দি এবং ফ্লু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের ঠান্ডা লাগা বা ফ্লু জাতীয় লক্ষণগুলি অনুভব করা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
মুড সুইং
গর্ভবতী হওয়ার পর হঠাৎ হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। এই কারণেই হবু মায়েদের মুড সুইং হয়ে থাকে। কখনও মন খুব ভালো, কখনও আবার খুব বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। অনেকের মধ্যে এই সময় বেশি আনন্দ-উৎসাহ দেখা দেয়, আবার পরক্ষণেই তিনি ডিপ্রেশনে ভুগতে পারেন।