Just In
- 10 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 12 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 14 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 16 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
Pregnancy Symptoms: আপনি কি অন্তঃসত্ত্বা? ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার আগেই বুঝে নিন এই ৫ লক্ষণ দেখে!
পিরিয়ড মিস হলেই তাকে প্রেগনেন্সির লক্ষণ বলে মনে করেন অধিকাংশ বিবাহিত মহিলা। কিন্তু পিরিয়ড মিস হওয়াই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার একমাত্র লক্ষণ নয়। এমন অনেক মহিলাই আছেন, যাঁরা পিরিয়ড সময়মতো হওয়া সত্ত্বেও গর্ভধারণ করেছেন। পিরিয়ড না হওয়া ছাড়াও আরও অনেক উপসর্গ রয়েছে, যেগুলি গর্ভধারণের দিকে ইশারা করে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, ঋতুস্রাব বন্ধ না হলেও শরীরে আর কোন কোন পরিবর্তন দেখে গর্ভধারণের বিষয় নিশ্চিত হতে পারেন -
শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া
ডিম্বস্ফোটনের আগে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং পিরিয়ড সাইকেলের পরে তাপমাত্রা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। গর্ভাবস্থায় শরীরের তাপমাত্রা অনেক সময়ই বেশি থাকে। গর্ভাবস্থায় প্রোজেস্টেরনের উচ্চ মাত্রার কারণে এটি হয়, ফলে শরীরের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পায়। যদি ডিম্বস্ফোটনের পরে আপনার শরীরের তাপমাত্রা ২০ দিনের বেশি সময় ধরে বাড়তে থাকে, তবে অবশ্যই প্রেগনেন্সি টেস্ট করিয়ে নিন।
স্তনের পরিবর্তন
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অন্যতম লক্ষণ হল নরম অথচ ভারী স্তন। গর্ভধারণের পরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে স্তনে তীব্র ব্যথা অনুভব হয়। স্তনবৃন্ত আরও ডার্ক হতে শুরু করে, পাশাপাশি চুলকানি বোধ হয়। হঠাৎ করে যদি এমন হয় তা হলে অতি অবশ্যই প্রেগনেন্সি টেস্ট করান।
অত্যধিক ক্লান্তি
ক্লান্তি এবং তন্দ্রা গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। গর্ভে ভ্রূণ সঞ্চার হলে শরীরে বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন হতে থাকে। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে সর্বদা ক্লান্তি অনুভব হয়। প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে সবসময় ঘুম পেতে থাকে। ক্রমবর্ধমান ভ্রূণকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য শরীরে আরও রক্ত উৎপাদিত হয়, ফলে ক্লান্তি বাড়ে।
বমি বমি ভাব
বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, প্রেগনেন্সির খুবই সাধারণ একটি উপসর্গ। সাধারণত একে 'মর্নিং সিকনেস' বলা হয়। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রথম কয়েক সপ্তাহ শরীরে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব হওয়া খুবই স্বাভাবিক। ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পরেই বমি ভাব অনুভব হতে পারে। তবে কেবলমাত্র সকালেই যে বমি হবে, এমনটা কিন্তু নয়। দিনের যেকোনও সময়ই হতে পারে। অন্যদিকে, ইস্ট্রোজেন ও এইচসিজি হরমোনের প্রভাবে হালকা গন্ধও খুব জোরালো বলে মনে হয়। তাই, মাঝে মাঝেই বমি পায়।
ঘন ঘন প্রস্রাব
ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আরেকটি বিশেষ লক্ষণ। জরায়ু বড় হতে থাকলে মূত্রাশয়ে তার চাপ পড়ে, ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। রক্ত ফিল্টার করার জন্য কিডনির কাজ আরও বেড়ে যায়, যে কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়।