Just In
Don't Miss
মিসকেরেজের নানা কারণ
আপনি কি মা হতে চলেছেন? তাহলে এক্ষুনি চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে।
অনেক কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা যদি একটা কারণ হয়, তাহলে বাকিগুলি অবশ্য়ই মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন, টক্সিক পরিবেশ প্রভৃতি। এই সব কারণগুলির মধ্য়ে কোনও একটার উপস্থিতি ভাবী মায়ের শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই গর্ভাবস্তার একেবারে প্রথম ধাপ থেকেই সাবধান হন, না হলে কিন্তু বিপদ!
আজ এই প্রবন্ধে এমন কিছু রোগ নিয়ে আলোচনা করা হল যেগুলির কারণে গর্ভপাতের মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই আপনি যদি মা হওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে এই রোগগুলি থেকে দূরে থাকাটা খুব দরকার।
পিসিওএস রোগে যারা ভাগেন, তাদের গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই রোগে শরীরে টেস্টোস্টেরণ হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে ঠিক সময়ে মাসিক না হওয়া এবং ডিম্বস্ফোটন সংক্রান্ত নানা সমস্য়া দেখা দেয়।
হাইপোথাইরয়েডিজম রোগ আছে এমন মহিলাদের মিসকেরেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আসলে এমন রোগে আক্রান্ত মহিলাদের ডিম্বস্ফোটন সংক্রান্ত নানা অসুবিধা দেখা দেয়। ফলে গর্ভবতী হওয়ার পথে নানা বাঁধা আসতে শুরু করে।
কনসিভ করার পর যাতে কোনও ধরনের সংক্রমণ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ভাবী মায়েদের। কারণ যে কোনও ধরনের ইফেকশন, বিশেষত বেকটেরিয়াল ইনফেকশনের কারণে ইউটেরাসের এন্ডামেট্রিয়াল লাইনিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা মিসকেরেজের পথকে প্রশস্ত করে।
যাদের জন্মগত ইউটেরাস এবং সার্ভিক্সের গঠন ঠিক হয় না, তাদের গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রসঙ্গত, ৪০ বছরের পর যারা মা হতে চান, তাদের মিসকেরেজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ বেশি বয়সে বাচ্চা নিতে চাইলে অনেক সময়ই ফিটাসের ভিতরে ক্রমোজোনাল অ্যাবনরমালিটি দেখা দেয়। ফলে গর্ভপাত বা অ্যাবনরমাল বাচ্চা হওয়ার মতো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
আপনি কি ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো নন-কমিউনিকেবল ডিজিজে আক্রান্ত? তাহলে গর্ভবতি হওয়ার আগে থেকেই সাবধান হন এবং যথাযথ চিকিৎসার মাধ্য়মে সুগার এবং প্রেসার কমানোর চেষ্টা করুন। না হলে কিন্তু প্রসবের সময় নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, অটোনোমাস ডিজিজের কারণেও গর্ভপাত হতে পারে। আসলে এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে মিসকেরেজের আশঙ্কা বেড়ে যায়।