Just In
Don't Miss
করোনার কবল থেকে রেহাই নেই বাচ্চাদেরও, জানুন কোন কোন উপসর্গ বেশি দেখা যাচ্ছে
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। বড়দের সাথে সাথে বাদ যাচ্ছেনা বাচ্চারাও। তাদের মধ্যেও ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। গত বছরের তুলনায় এই বছর বাচ্চাদের সংক্রমণের হার অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের করোনা সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম গুরুতর এবং বড়দের তুলনায় ছোটরা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠছে। তবে যে সকল বাচ্চারা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে যায়, তাদের ক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
ছোট বাচ্চাদের মধ্যে সাধারণত মৃদু উপসর্গগুলি দেখা দিচ্ছে। অনেক মা-বাবাই যেগুলো করোনার উপসর্গ বলে বুঝতে পারছে না। তাহলে চলুন এই উপসর্গগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১) পেটের সমস্যা
রূপ পরিবর্তিত ভাইরাস সংক্রমণের অন্যতম উপসর্গ হল পেটের সমস্যা। বাচ্চার হঠাৎ পেটে ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া, পেট ভারী হয়ে যাওয়া ও হজমের সমস্যার মতো, করোনার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল লক্ষণগুলো দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খিদে না পাওয়া বা খাবারের ইচ্ছে চলে যাওয়া, এই ধরনের সমস্যাও হতে পারে। এই লক্ষণগুলি দেখা দিলেই সতর্ক হন।
২) ডায়রিয়া
আপনার বাচ্চার যদি বমি হয় এবং পেট খারাপের লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে সতর্ক হন। ডায়রিয়া বাচ্চাদের করোনা সংক্রমনের অন্যতম উপসর্গ।
৩) জ্বর হওয়া
বেশিরভাগ ভাইরাল অসুখের সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হলো জ্বর। করোনার সংক্রমণের ফলে যদি জ্বর আসে, তাহলে সাথে কাঁপুনি এবং ক্লান্তিভাবও দেখা দিচ্ছে। অনেক সময় শরীরের তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রিও হতে পারে। এই সকল উপসর্গগুলি দেখলে সতর্ক থাকুন। যদি পাঁচদিনের বেশি বাচ্চার জ্বর থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪) সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা
এখনও পর্যন্ত বাচ্চাদের মধ্যে করোনার জন্য ফুসফুসে সংক্রমণ-এর কথা তেমন শোনা যায়নি। তবে ঠান্ডা লেগে যাওয়া, গলা ব্যথা, একটানা কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই উপসর্গগুলির সাথে যদি জ্বর ও পেটের সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার সন্তানের করোনা পরীক্ষা করান।
৫) ক্লান্তি ও ঝিমুনি ভাব
আপনার বাচ্চা যদি হঠাৎ করে খুব ক্লান্ত বোধ করে, অল্পতেই হাঁপিয়ে যায়, ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়, তাহলেও সতর্ক হন।
৬) ত্বকের সমস্যা
বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও করোনা সংক্রমণের ফলে নানা রকমের ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি আপনার বাচ্চার শরীরে লালচে দাগ, ফুসকুড়ি বা র্যাশ দেখেন, তাহলে সতর্ক হন। বাচ্চার হাত-পায়ের নখ ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে কিনা, সেটাও খেয়াল রাখুন।
কী ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন?
বাচ্চাদের করোনার সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কোভিড সংক্রমণ ততটাও গুরুতর নয় এবং বাড়িতে থেকেই তাদের চিকিৎসা করা সম্ভব। তবুও চিকিৎসকের সাথে সর্বদা যোগাযোগ রাখা খুব প্রয়োজন, তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।
নিজে থেকে কোনও ওষুধ খাওয়াবেন না
যদি আপনার শিশুর মধ্যে লক্ষণগুলির বিকাশ হতে থাকে, তাহলে অবশ্যই টেস্ট করে নিন এবং চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে কোনও ওষুধ খাওয়াবেন না। বাচ্চারা সাধারণত প্যারাসিটামল এবং মাল্টিভিটামিনেই সেরে ওঠে। লক্ষণগুলি খুব গুরুতর না হলে, করোনা চিকিৎসার কোনও ওষুধ দেওয়া হয় না।
আপনার শিশু যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম পায়, সেদিকে নজর রাখুন। বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণে জল এবং তরল পান করান, যাতে শরীর হাইড্রেট থাকে। সবসময় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন এবং করোনা প্রতিরোধমূলক নির্দেশিকা মেনে চলুন।