For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ডিপ্রেশনের ওষুধ খাওয়া উচিত কি?

আগামী দিনে যাঁরা মা হতে চলেছেন। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের উপরে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট-এর প্রভাব কীরকম, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ডিপ্রেশনের ওষুধ খাওয়া উচিত?

|

আমাদের জীবনের গতি ক্রমশ বেড়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জীবনের চাপ, কাজের চাপ, পরিবেশের চাপ, সাংসারিক চাপ, সমাজের চাপ এবং তার থেকেও বেশি করে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এর চাপ। সবমিলিয়ে আমাদের মনের উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে এবং যত দিন যাচ্ছে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন অবসাদে। এই অবসাদ থেকে বাঁচার রাস্তা কী? বিশেষজ্ঞরা একরকম পরামর্শ দিচ্ছেন, চিকিৎসকরা ওষুধ দিচ্ছেন। কিন্তু তাতে করে শরীরের উপরে নানা রকম প্রভাব পড়ছে। এবং তারপরেও মানুষ পেরে উঠছে না। অনেক সময়ই অবসাদ থেকে বাঁচার জন্য তাঁদের রাস্তা নিতে হচ্ছে ওষুধের ওপর। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে আমরা বলি অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট বা অবসাদের ওষুধ। অনেকের কাছেই অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট এখন প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে প্রভাব পড়ে মারাত্মক। কিন্তু সবথেকে বেশি পরিমাণে প্রভাব পড়ে তাঁদের ওপর, আগামী দিনে যাঁরা মা হতে চলেছেন। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের উপরে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট-এর প্রভাব কীরকম, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ডিপ্রেশনের ওষুধ খাওয়া উচিত? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

Antidepressants

অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে ডিপ্রেশনের ওষুধ খাওয়া উচিত বা উচিত নয়-এর কোনটাই এককথায় বলছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে যে সমস্ত হবু মায়েরা অবসাদে ভুগছেন, তাঁদের ওষুধ খাওয়ার এবং না খাওয়ার দুটোরই ভালো এবং মন্দ দিক আছে। যাঁরা অবসাদে ভুগছেন, তাঁরা যদি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অবসাদের ওষুধ বা অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট না খান, তাহলে তাঁদের সন্তানের শরীরের ক্ষতি হতে পারে হতে পারে। নির্ধারিত সময়ের আগেই তাদের জন্ম হতে পারে। জন্মের সময় তাদের ওজন কম থাকারও আশঙ্কা থাকে। উল্টোদিকে আবার অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা যদি বেশি পরিমাণে অবসাদের ওষুধ খান, তাহলে তার প্রভাব পড়তে পারে হবু সন্তানের ওপর। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, রাখতে হবে দুটোর মধ্যে সঠিক ভারসাম্য।

যে বিশেষজ্ঞ হবু মাকে দেখছেন, তাঁর সব সময় লক্ষ্য থাকে, যেন ওষুধের প্রভাব হবু বাচ্চার উপরে সবচেয়ে কম পরিমাণে পড়ে। সেই কারণে গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক মাস মায়ের শরীরে সবচেয়ে কম পরিমাণে ওষুধ যাতে যায়, তাঁরা সেদিকে নজর দেন। তারপর থেকে প্রয়োজনমতো তারা অল্প অল্প করে ওষুধের মাত্রা বাড়ানোর দরকার পড়লে, তাঁরা সেই সিদ্ধান্ত নেন।

কোনও কোনও অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের হবু বাচ্চার উপরে প্রভাব ফেলতে পারে, কোনও কোনও অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট-এর প্রভাব তুলনায় অনেক কম হয়। কোন কোন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট এর প্রভাব তুলনায় কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা? এসএসআরআই, এসএনআরই, বুপ্রোপিয়ন, ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট-এর প্রভাব বাচ্চার ওপর তুলনায় কম পড়ে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে কোন কোন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় একেবারেই নেওয়া উচিত নয়। প্যাক্সিল, এমএওআই, পারনেটের মতো ওষুধ এই সময় একেবারেই নয় বলে মত তাঁদের।

অনেকেই প্রশ্ন করেন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যদি দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট খেয়ে আসেন, তাহলে তার ওপরে বাচ্চার প্রভাব কতটা পড়তে পারে? বিশেষজ্ঞদের মতে যদি বাচ্চা জন্মানোর আগের শেষ কয়েক মাস প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট খান, তাহলে সাময়িকভাবে সদ্যজাত বাচ্চার উপর তার প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু ক্রমশ সেই প্রভাব কাটতে থাকে। কিন্তু যাঁরা অবসাদে ভুগছেন, তাঁরা যদি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হঠাৎ ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন, তাহলে তার প্রভাব অনেক বেশি পরিমাণে পড়তে পারে বাচ্চার উপর। কারণ সেক্ষেত্রে হবু মা হঠাৎই আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে চরম অবসাদে। এবং তার প্রভাব পড়বে গর্ভের উপর। তাই ওষুধ বন্ধ করতে হলেও তার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া দরকার।

English summary

Can You Take Antidepressants While Pregnant?

Many women battle depression and need antidepressants to manage their symptoms. In the past, it was thought that pregnancy protected against depression.
Story first published: Friday, January 25, 2019, 11:08 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion