Just In
- 8 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 9 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 13 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 14 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
গর্ভাবস্থায় কী খাবেন বুঝতে পারছেন না? জেনে নিন কোন খাবার আপনার জন্য নিরাপদ
গর্ভাবস্থায় ঠিক কী খাবেন? জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
গর্ভধারণ করা কালীন একজন মায়ের এই সময় শিশুর যত্ন নেওয়ার জন্য কী কী খাবার খাওয়া দরকার তা জানা উচিত। একই সাথে কোন খাবার মায়ের শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাবে তাও জানতে হবে। কারণ এই সময় মায়ের শরীরে অন্য সাধারণ সময়ে থেকে বেশি পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার, ভিটামিন বা অন্যান্য মিনারেলের দরকার পড়ে। সাধারণ খাওয়া খাবার যা দিতে পারে না। সঠিক খাবার বা পুষ্টিগুণ না পেলে মায়ের পাশাপাশি শিশুর বিকাশেও সমস্যা দেখা যায়। তাই অবশ্যই জেনে রাখা দরকার কী কী খাওয়া উচিত এই সময়।
অনেকেই না বুঝে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে শরীর ঠিক রাখতে চান। মনে রাখতে হবে যে বেশি খাওয়া যেমন এই সময় কাম্য না তেমনি অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। পরিমিত মাপে গুণাগুণ সম্পন্ন খাবার খাওয়া একান্ত দরকার।
ঠিক কী কী খাবেন এই সময়ে, কোন কোন খাবার কতটা পরিমাণে খাওয়া দরকার, কোন কোন খাবার খাওয়া এই সময় নিরাপদ তা অনেকেই জানেন না। আজকের প্রতিবেদনে তাই রইলো সেই সব খাবারের তালিকা যা জেনে রাখা দরকার।
১. দুগ্ধজাত
দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া একান্তই দরকার এই সময় খাওয়ার। কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা শরীরের গঠনে সাহায্য করে। এর সাথে থাকে জিংক, ম্যাগনেসিয়াম। এদের ভূমিকাও একই। এর মধ্যে সব থেকে বেশি ভালো দই। দই আমরা সবাই খেতেও ভালোবাসি। এই দই হজম ক্ষমতা ঠিক রাখে। সাথে প্রবায়তিক থাকার জন্যে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।
২. ফাইবার
উদ্ভিজ উৎস সব সময় বেছে নেওয়া উচিত কারণ এটা প্রাকৃতিক। প্রাকৃতিক উৎস অপেক্ষাকৃত নিরাপদ হয়। প্রোটিন সমৃদ্ধ যে কোনো ধরনের ডাল খাওয়া এই সময় একান্ত দরকার। সাথে মটর শুটি, সোয়াবিন খাওয়া ভালো কারণ এতে আয়রন এর সাথে অন্যান্য দরকারি ভিটামিন ও উপাদান থাকে। সিম জাতীয় খাবার বেছে নেওয়া যেতে পারে। এদের অনেকের মধ্যেই ভিটামিন এ থাকে যা শরীরের বিকাশে এবং গঠনে সাহায্যকারী। এতে জন্মের পর অনেক সময় বাচ্চা কম ওজনের হওয়া থেকে মুক্তি পায়।
৩. মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে বেটা ক্যারোটিন থাকে যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ তৈরি হয়। ভিটামিন এ শরীরের কোষ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ভিটামিন এ খাওয়া জন্যে অবশ্যই উদ্ভিজ উৎস বেছে নেওয়া ভালো।
৪. ডিম, সামুদ্রিক মাছ, মাংস
সামুদ্রিক মাছ অবশ্যই খাওয়া ভালো এই সময়। কারণ সামুদ্রিক মাছে ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা শরীরের জন্যে দরকারি। এটা মস্তিষ্ক এবং চোখের উপকারে লাগে। তবে চিকিৎসকদের মতে বেশি পরিমাণে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া ভালো না কারণ এতে অনেক সময় অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক শরীরে যেতে পারে। তাই সপ্তাহে দুদিনের বেশি কখনোই না।
ডিম কে আমরা সবাই সুষম খাদ্য হিসাবেই চিনি এবং জানি। পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে এবং সুষম খাদ্য হিসাবে ডিমের কদর অনেক দিন থেকেই। তাই অবশ্যই ডিম খাওয়া দরকার। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে ডিম যেনো সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয়। অর্ধ সিদ্ধ বা কাঁচা ডিম শরীরের জন্যে এই সময় একদম ভালো না। ঠিক ভাবে রান্না করে তবেই ডিম খাওয়া উচিত। একটা দিনে অন্যান্য ভিটামিনের সাথে প্রায় ৮০ ক্যালোরি থাকে।
চিকেন বা মিট এই সময় খাওয়া যেতেই পারে। কারণ প্রাণীজ প্রোটিনের দরকারও আছে শরীরে। তবে পরিমিত পরিমাণে। তেল মশলা ছাড়া সাধারণ রান্না কোনো এক সময় খাওয়া যেতে পারে। চিকেন স্টু করে খাওয়াও যেতে পারে।
৫. সবুজ শাক সব্জি
প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই সবুজ শাক সবজি রাখতে হবে। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে থাকে। সাথে থাকে আয়রন, ফসফরাস, প্রাকৃতিক জিংক এবং ম্যাগনেসিয়াম। পাতাওয়ালা সব্জি যেমন পুঁই শাক বা পালং শাক, ব্রকলি খাওয়া দরকার।
৬. ফল
প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই ফল রাখা জরুরি। যেকোনো ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। তাই ভিটামিনের প্রাকৃতিক উৎস হিসাবে যেকোনো খাবারের মধ্যে ফল অন্যতম। যেমন লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। আপেলে আয়রন থাকে। শরীরের দরকার অনুযায়ী ফল খাওয়া একান্ত দরকার। অনেকে ড্রাই ফ্রুট পছন্দ করেন। তাও বেছে নিতে পারেন। খেজুর বা কিশমিশ খেতে পারেন। তবে তাতে লক্ষ্য রাখতে হবে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে না যায়।
৭. জল
এই সময় অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার দরকার আছে। শরীরে পুষ্টিকর খাবার শুধু খেলে হবে না। সেই পুষ্টিগুণ যাতে ঠিক ভাবে হজম হয় তবেই শরীরে লাগবে। আর বিপাকীয় কাজ তখনই ঠিকঠাক হবে যখন জলের যোগান শরীরে ঠিক থাকবে। চা বা কফি অনেকেই খান বা খাওয়া পছন্দ করেন। চা বা কফি খেতে পারেন তবে পরিমাণ মেপে। কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে গেলে মা এবং শিশু দুজনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
পরিশেষে, খাবার নিজের প্রয়োজন বুঝে খাবেন। একজন খাদ্য বিশারদ বা পুষ্টি বিশারদের সাথে আলোচনা করে নিজের সঠিক ডায়েট বেছে নিন যাতে সব ভিটামিন এবং অন্যান্য উপাদান সঠিক মাপে শরীরে পৌঁছায়।