Just In
- 12 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 17 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 19 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 21 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
শীতে শিশুর যত্ন নেবেন কীভাবে? রইল টিপস
শীতকাল সকলেরই পছন্দের মরসুম! কিন্তু এই শীতেই সবাই বেশি অসুস্থ হয়। শীত পড়তে না পড়তেই সর্দি, কাশি, গলা ব্যথায় ভোগেন অনেকে। বিশেষত ছোট শিশু এবং বাচ্চাদের ঠাণ্ডা লাগার চান্স বেশি থাকে। আপনার ছোট সন্তান বলতে পারে না তার কি সমস্যা হচ্ছে, তাই তাদের প্রতি একটু বেশিই যত্নের প্রয়োজন হয়। বাচ্চারা অসুস্থ হলেই খিটখিটে হয়ে যায়, খেতে চায় না, শরীর বেশি খারাপ হলে বমি শুরু হতে পারে।
প্রাপ্ত বয়স্করা ঠান্ডা এবং রুক্ষ আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করতে পারে, কিন্তু শিশুদের পক্ষে তা কঠিন হয়ে ওঠে। সদ্যজাতের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব বেশি শক্তিশালী না হওয়ার ফলে, তাদের ফ্লু ও ইনফেকশন হওয়ার চান্স বেশি থাকে। পাশাপাশি শিশুদের ত্বক খুব নরম হওয়ায়, ব়্যাশ ও চর্মরোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই শীতকালে শিশুদের অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়। এমনকি শিশু সর্বক্ষণ বাড়ির অভ্যন্তরে থাকলেও তাদেরকে সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখতে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম মানতে হবে।
১) হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন
ঠাণ্ডা বেশি এমন জায়গায় থাকলে সদ্যোজাতের ঘরে অবশ্যই হিউমিডিফায়ার রাখুন। শীতকালে তাপমাত্রা হ্রাস পায়, তাই বাচ্চার ঘরে হিটিং সিস্টেম বা পোর্টেবল হিটার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ঘরে হিউমিডিফায়ার রাখলে আর্দ্রতার স্তরটি সর্বোত্তমভাবে বজায় থাকে।
২) ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
আপনার ছোট্ট শিশুর ত্বক অত্যন্ত সেনসিটিভ হয়। শীতের রুক্ষ আবহাওয়া তার ত্বককে শুষ্ক করে তুলতে পারে। সদ্যজাতের ত্বক নরম এবং কোমল রাখতে ভাল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। দুধ বা মাখন সমৃদ্ধ ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন, এটি আপনার শিশুর ত্বক মোলায়েম রাখতে সাহায্য করবে।
৩) প্রতিদিন সদ্যজাতের ম্যাসাজ করুন
শিশুর সঠিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য নিয়মিত ম্যাসাজ করা খুবই জরুরি। এর ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে। পরোক্ষভাবে এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
৪) তেল মাখান
শীতকালে শীতল এবং শুষ্ক বাতাস শিশুর ত্বকের সমস্ত আর্দ্রতা শুষে নেয় এবং ত্বক শুষ্ক-রুক্ষ করে তোলে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে শীতের দিনে কমপক্ষে দুই বার আপনার শিশুকে ম্যাসাজ করতে হবে। তেল শরীরের গভীরে ঢোকে এবং ময়েশ্চারাইজ রাখে। অয়েলিং শিশুর হাড়কেও শক্তিশালী করে তোলে। শীতকালে আপনার শিশুকে ম্যাসাজ করতে আপনি গরম সরিষা বা নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
৫) স্নান করান
হাইজিন মেনটেন করার জন্য শিশুকে পরিষ্কার রাখা এবং স্নান করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শীতকালে আপনার শিশুকে একদিন অন্তর অন্তর হালকা গরম জলে স্নান করান। বাকি দিনগুলোতে ভেজা তোয়ালে নিয়ে তার শরীর মুছিয়ে দিতে পারেন। এটি অসুস্থতার ঝুঁকি হ্রাস করবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করবে।
৬) সূর্যের আলো
সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর সেরা উৎস এবং এটি হাড় শক্তিশালী করতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। দিনের যেকোনও সময় বা শিশুকে স্নান করানোর পরে কিছুটা সময় তাকে রোদে রাখুন। সূর্যের আলোও জীবাণু মেরে শিশুর শরীরে উষ্ণতা সরবরাহ করতে পারে!
৭) ভারী ব্ল্যাঙ্কেট ব্যবহার করবেন না
বেশি ঠাণ্ডা পড়লে বাচ্চাদের ভারি কম্বল বা ব্ল্যাঙ্কেট চাপা দিয়ে শোওয়ান সব মা-ই। কিন্তু এটা একদমই করবেন না। ভারি ব্ল্যাঙ্কেট চাপা দিলে হাত-পা নাড়তে অসুবিধা হবে সদ্যজাতের এবং কম্বলে মুখ ঢাকা পড়ে যেতে পারে তার।
৮) নির্দিষ্ট সময়ে ভ্যাকসিন দেওয়ান
শীতকালে নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই তাকে সুরক্ষিত রাখতে সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন দেওয়ান। শিশুর ভ্যাকসিনের ডেট কখনোই মিস করবেন না। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তবে বাচ্চা অসুস্থ থাকলে অনেক ভ্যাকসিন দেওয়া যায় না, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
৯) স্তন্যপান করান
শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে স্তন্যপান করান। এতে অ্যান্টিবডি এবং পুষ্টি থাকে। শিশুকে বুকের দুধ পান করালে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকবে। পাশাপাশি সদ্যজাতের শরীর গরম রাখে বুকের দুধ।
১০) নিজেকে সুস্থ রাখুন
বাচ্চার খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজে অসুস্থ হয়ে পড়বেন না। কারণ বাচ্চার আশপাশে যারা থাকেন তাদের শরীর অসুস্থ হলেও বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে চাইলে নিজেকে সুস্থ রাখুন। আর শিশুর কাছে যাওয়ার আগে নিয়মমতো আপনার হাত ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।