Just In
- 4 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 6 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 6 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 23 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
Don't Miss
শিশুদের মধ্যে মেদবহুলতাকে কিভাবে সামলাবেন?
আমরা যেমন জাঙ্কফুড খেতে ভালবাসি তেমনি বাচ্চাদের কেও সমপরিমানে সেইসব খাবার খেতে উৎসাহিত করে ফেলি। এদিকে গবেষকরা বিপদঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছেন যে, ২০২৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ৫ থেকে ১৭ বছরের বয়সের মধ্যের ২৬ কোটি ৮০ লক্ষ বাচ্চারা মেদবহুলতার শিকার হয়ে পড়বে। এটা একটা বিপুল সংখ্যা, তাই নয় কি?
পেডিএ্যাট্রিক ওবেসিটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, "মেদবহুলতা" নামের এই খলনায়ক একাই, স্থূলকায় শিশুদের সংখ্যা, ২০১০ সালে ৭ কোটি ৬০ লক্ষ থেকে ২০২৫ সালে ৯ কোটি ১০ লক্ষে পৌঁছে দিতে পারে। গবেষণাটি এও অনুমান করেছে যে, ২০২৫ এর মধ্যে, ১ কোটি ২০ লক্ষে বাচ্চাদের মধ্যে গ্লুকোজের বিপর্যস্ত সহনশীলতা দেখা যাবে, ৪ কোটি বাচ্চারা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে, ২ কোটি ৭০ লক্ষ বাচ্চারা উচ্চরক্তচাপ, ৩ কোটি ৮০ লক্ষ বাচ্চা যকৃতের পাশে মেদ জমে যাওয়ার সমস্যায়, ইত্যাদিতে ভুগবে।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শপথ নিয়েছে যে, ২০২৫ সালের মধ্যে, শিশু, কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মেদবহুলতার সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করে আনবে, তবুও গবেষকরা এই দাবি নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন। যেহেতু তারা মনে করেন, চ্যালেঞ্জের সাথে মোকাবিলা করতে একটি ব্যাপক পরিকল্পনার প্রয়োজন।
পদক্ষেপ
নেওয়ার
সময়
এসে
গেছেঃ
হু
বা
অন্য
কোন
স্বাস্থ্যসংস্থা
তখনই
সফল
হবে,
যখন
আমারা
সাধারণ
মানুষেরা
নিজেদের
ঘর
থেকে
প্রথম
পদক্ষেপটা
নেবো।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও কম শারীরিক সক্রিয়তার সাথে মেদবহুলতা জড়িয়ে রয়েছে। শিশুদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্থুলতাকেও বাড়াতে দেখা যায়। অতএব, যেহেতু জীবনের প্রথম দিকেই এই কু-অভ্যাসগুলি স্থাপিত হয়ে যায় তাই আমাদেরও উচিৎ প্রথম থেকেই এগুলোর জন্য পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার।
ওকজন
শিশু
মেদবহুল
কি
না
তা
নির্ধারণ
করাঃ
একজন
শিশুর
ওজন,
শুধু
অনুমানের
ওপর
ভিত্তি
করে
নির্ধারণ
করা,
সঠিক
উপায়
নয়।
একজন
শিশুর
দ্রুত
বর্ধণশীল
শরীর
থাকে
এবং
তারা
মেদবহুল
কি
না
তা
একমাত্র
একজন
বিশেষজ্ঞই
ঠিক
করে
বলতে
পারেন।
শিশুদের
পূর্ববর্তী
বৃদ্ধির প্যাটার্নের সাথে বিবেচনা ও তুলনা করার জন্য তাদের উচ্চতা ও ওজন নেওয়া প্রয়োজন।
শিশুদের
কখনোই
ডায়েট-এ
রাখবেন
নাঃ
যেহেতু,
শিশুরা
তাদের
বর্ধণশীল
বছগুলির
মধ্যে
দিয়ে
যাচ্ছে,
তাই
কখনোই
ওজন
নিয়ন্ত্রণ
করার
জন্য
তাদের
দিয়ে
ডায়েটিং
করানো
উচিৎ
না,
যদি
না
একমাত্র
তা
ডাক্তার
দ্বারা
বিহিত
করা
হয়ে
থাকে।
একটা নিয়ন্ত্রিত ডায়েট শিশুদের সাধারণ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পরিপোষক পদার্থ থেকে তাদের বঞ্চিত করতে পারে।
তাহলে, কিভাবে শিশুদের মধ্যে ওজনের সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে? এখানে কিছু টিপ্স দেওয়া হলঃ
টিপ #১
শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস শেখান। পরিপোষক পদার্থ সরবারহ করে এমন প্রাকৃতিক খাবার, যেমন, সবজি ও ফল খেতে উৎসাহিত করুন।
টিপ #২
ছোট থেকেই পুষ্টি সম্বন্ধীয় শিক্ষায় তাদের ফোকাস গড়ে তুলুন, যাতে ছোট থেকেই তা তাদের আত্মস্থ হয়ে যায় এবং এই সচেতনতা সারা জীবনই রয়ে যায়।
টিপ #৩
জাঙ্কফুড খাওয়া থেকে তাদের নিরুৎসাহিত করুন। স্কুলের টিফিন বা ঘরে খাবার দেওয়ার সময় তাদেরকে, দোকান থেকে কেনা প্যাকেজ্ড আর প্রসেস্ড ফুডের জায়গায় ঘরে বানানো খাবার দিন। সময় বাঁচানোর থেকেও বাচ্চার স্বাস্থ্যের কথা বেশি করে ভাবুন। কিন্তু এর সমতা রাখতে, মাঝেমধ্যে তাদের ট্রিটও দিন।
টিপ #৪
বাড়তি ওজনের শিশুদের সম্মিলিত ভাবে ওজন ঝরাতে সাহায্য করুন। তাদের আলাদা করে না রেখে, বরং সমগ্র পরিবারকেই একটা ভাল খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করতে জড়িয়ে নিন যাতে, বাড়তি ওজনের শিশুও সকলের সাথেই লাভ পেতে পারে। এই উপায়ে, এটা তাদের আবেগকেও আঘাত করবে না।
টিপ#৫
শিশুদের পছন্দ করার জন্য অনেক রকম স্বস্থ্যকর খাবারের বৈচিত্র দিন। সীমিত বিকল্প দিলে তা তাদের বিষন্ন খাদক করে তুলবে।
টিপ #৬
টেলিভিশন দেখতে দেখতে খাওয়ার অভ্যাস সম্পর্কে শিশুদের নিরুৎসাহিত করুন। এইভাবে শিশুরা তাদের পেট ভর্তি হল কিনা সে ব্যাপারে নজর দিতে পারে না আর ফলত তারা বেশি খেয়ে ফেলে।
টিপ #৭
বাচ্চাদের বেশি করে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করার জন্য ঠেলুন আর গতিহীন জীবনশৈলি সম্পর্কে তাদের নিরুৎসাহিত করুন। এটি তাদের ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করবে এবং খিদে বাড়িয়ে তুলবে আর আরো বেশি করে তারা তখন স্বাস্থ্যকর খাবার খাবে।
টিপ #৮
ঘরে খাবার তৈরির সময় বাচ্চাদেরো সাথে নিন। এটা আপনাকে তাদের খাবারের রুচি সম্পর্কে বুঝতে ও তাদেরকে বিভিন্ন খাবারের পুষ্টিগুণ সম্বন্ধেও শেখাতেও সাহায্য করবে।
টিপ #৯
বাচ্চারা বেশিরভাগ সময়েই তাদের সঙ্গ দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাই, তাদের ছোট ছোট বন্ধুদেরও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, যাতে পুষ্টি সম্পর্কে তাদের চিন্তাধারা একই রকমের হয়।
টিপ #১০
পারিবারিক গেট-টুগেদারের প্ল্যান করুন ও সেও অনুষ্ঠানের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার বানান, যাতে শিশু সকলের সাথে মিলেমিশে ভাল খাবারের সম্পর্কে শিখতে পারে।
উপরে উল্লেখিত কথাগুলি আপনার বাচ্চার জীবনে একটা রুটিনের মতো করে তৈরি করে দিন, যা তাদেরকে একটা ভাল অভ্যাস গড়ে তুলতে সক্ষম করবে আর এটা তারা আর ছাড়তেও পারবে না। আপনিই পারেন সেই গবেষকদের ভুল প্রমানিত করতে আর এতে সবচেয়ে বেশি খুশি তারাই হবে।