Just In
পরীক্ষার আগে বাচ্চাকে পড়াশোনা করাবেন কীভাবে?
পরীক্ষার আগে বাচ্চাকে তৈরি করবেন কীভাবে? সেই নিয়েই আলোচনা করা হল এই প্রবন্ধে।
পরীক্ষার ভূত সব বাচ্চার ঘারেই চাপে। আর এমনটা যখন হয়, তখন টেনশনে ঘাম ছোটার জোগার হয়। অনেক সময় পরীক্ষার ভয় এমন চেপে বসে যে কিছু বাচ্চা তো আত্মবিশ্বাসের অভাবে উত্তর জানা সত্ত্বেও পরীক্ষার খাতায় ভুল লিখে আসে। আসলে পরীক্ষার আগে বাচ্চার মনে ফেল করার ভয় ঢুকে যায়। সেই সঙ্গে থাকেই একাগ্রতার অভাব। এই দুয়ের কারণে অনেক সময়ই পরীক্ষার পিপারেশন ঠিক মতো হয় না। ফলে চিন্তা আরও বেড়ে গিয়ে সমস্য়া বাড়তেই থাকে। সেই কারণেই তো এই সময় বাবা-মায়েদের আরও বেশি করে যত্নশীল হতে হবে তাদের বাচ্চাদের প্রতি।
আপনার
বাচ্চাকে
পরক্ষীর
জন্য়
তৈরি
করবেন
কীভাবে?
১.
সিলেবাস
কতটা
আছে
তার
উপর
ভিত্তি
করে
একটা
টার্গেট
বানিয়ে
ফেলুন।
আর
সেই
মতো
কাজে
লেগে
যান।
খেয়াল
রাখবেন
সময়ের
মধ্য়েই
যেন
সিলেবাসের
সব
পড়া
যেন
শেষ
হয়ে
যায়।
সাধারণত
পরীক্ষার
২-৩
সপ্তাহ
আগে
থেকে
প্রিপারেশন
শুরু
করলেই
দেখবেন
সিলেবাস
শেষ
হয়ে
গিয়েছে।
২. হাতে সময় থাকতে থাকতে সব পড়া শেষ করার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবে পরীক্ষা যত এগিয়ে আসবে তত কিন্তু আপনার বাচ্চার মনে সেই নিয়ে ভয় ঢুকে যাবে, যার প্রবাব পড়বে পড়াশোনায়।
৩. বাবা-মা দুজনেই চাকরিজীবী হলে তারা সময় পান না বাচ্চাকে পড়ানোর জন্য়। ফলে বাচ্চাকে প্রাইভেট টিউশনে পাঠানো ছাড়া গতি থাকে না। এক্ষেত্রে একটা জিনিস মনে রাখবেন। আপনার বাচ্চা যদি শান্ত এবং বাধ্য় হন তাহলে তাকে আপনি পড়াতেই পারেন। কোনও অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না।
৪. মায়েরা যদি চাকরিজীবী হন তাহলে অফিসে বেরনোর আগে মনে করে বাচ্চাকে হোম ওয়ার্ক দিয়ে যাবেন। ফিরে এসে দেখবেন সে ওগুলি ঠিক মতো করেছে কিনা। যদি দেখেন আপনার বাচ্চা বাস্তবিকই ভালো করে পড়াশোনা করছে তাহলে তাকে উৎসাহ দেবেন। এতে পরীক্ষায় ভালো ফল করার আগ্রহ তৈরি হবে তার মধ্য়ে।
৫. যদি দেখেন বাচ্চা ঠিক মতো পড়ছে না তাহলে একটু রাগ করবেন। সেই সঙ্গে তাকে বোঝাবেন ফেল করলে কী কী খারাপ হতে পারে। ভুলেও বেশি কড়াকড়ি করবেন না কিন্তু! এমনটা করলে পড়াশোনার প্রতি আপনার বাচ্চার আগ্রহ কমে গিয়ে অন্য় সমস্য়া দেখা দিতে পারে।
৬. যতক্ষণ না আপনার বাচ্চা কোনও বিষয় বুঝতে পারছে না, ততক্ষণ তাকে বোঝান। এক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকেই ধৈর্য ধরে এই কাজটি করতে হবে।
৭. বারে বারে লিখিত পরীক্ষা নিন। একটা চেপ্টার পড়া শেষ হলেই তার উপর পরীক্ষা নিয়ে নিন। এমনটা করলে আপনার বাচ্চার তাড়াতাড়ি লেখার অভ্য়াস হয়ে যাবে। ফলে পরীক্ষার হলে কোনও সমস্য়াই হবে না।
৮. রিভিশন খুব দরকারি একটি জিনিস। তাই পরীক্ষার আগে বাচ্চার হাতে যাতে রিভিশনের সময় থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
এই ৮ টি পদ্ধতি অনুসরণ করে দেখুন ভালো ফল পাবেন। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত বাচ্চাকে উৎসাহ দেবেন। এমনটা করলে দেখবেন ভালো ফল করার ইচ্ছা তার মধ্য়েও তৈরি হবে।