Just In
- 16 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 17 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 21 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 22 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
কুকুর এবং নবজাতককে একসঙ্গে সামলাবেন কীভাবে!
নবজাতক এবং কুকুরকে একসঙ্গে সামলানোর নানা উপায়।
বাচ্চা হবে বলে একদিকে যেমন খুশি, তেমনি ভাবছেন বাড়িতে যে পোষ্য়টি রয়েছে সে বাচ্চার কোনও ক্ষতি করে দেবে না তো! চিন্তা নেই। উপায় আছে। এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে চললেই দেখবেন বাচ্চা এবং পোষ্য়, উভয়কে নিয়েই বেশ সুন্দর ভাবে কেটে যাচ্ছে সময়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাচ্চাকে বাড়িতে নিয়ে আসার আগে কুকুরকে ট্রেনিং দিন, যাতে সে পরিবারের নতুন সদস্য়টিকে ঠিক মতো গ্রহণ করতে পারে। আর তার জন্য় যা যা প্রয়োজন তাই করুন। এক্ষেত্রে একটা পদ্ধতি বেশ কাজে আসতে পারে। তা হল বাচ্চার কোনও জামাকাপড় আগে থেকেই বাড়িতে এনে কুকরকে শুঁকিয়ে দিন। এতে আপনার পোষ্য়টি, বাচ্চার গায়ের গন্ধের সঙ্গে ধীরে ধীরে পরিচিত হতে থাকবে। ফলে কুকুরটির কাছে আপনার বাচ্চা আর অপরিচিত কেউ থাকবে না।
কতদিন আগে থেকে এমনটা করা জরুরি? বাচ্চাকে বাড়িতে নিয়ে আসার কম করে ২ সপ্তাহ আগে থেকেই এই প্রেকটিস শুরু করুন। দেখবেন ফল পাবেন হাতেনাতে।
আরেকটি কাজ করতে পারেন। বাচ্চাকে কোলে নেওয়া অবস্থায় কুকুরকে কাছে আসতে দিন। এমনটা করলে কুকুরটি বাচ্চার গায়ের গন্ধ পেয়ে যাবে। আর একবার যদি আপনার পোষা প্রাণীটি বুঝে যায় যে যার যে গন্ধ সে নিচ্ছে, সে এই বাড়িরই সদস্য়, তাহলে আর কোনও অসুবিধাই হবে না দেখবেন।
এবার চলুন এমনই কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যেগুলি মেনে চললে কুকুর এবং অপনার বাচ্চার প্রথম সাক্ষাৎ বেশ সুখকরই হবে।
কুকুরকে বাচ্চার গায়ের গন্ধ নিতে দিন:
যেমনটা আগেই বললাম, বাচ্চাকে বাড়ি নিয়ে আসার আগে তার পড়া কোনও জমাকাপড় এনে কুকুরকে শোঁকান। এমনটা করলে বাচ্চার গায়ের গন্ধের সঙ্গে কুকুরটি পরিচিত হয়ে যাবে। ফলে যেদিন বাচ্চাকে বাড়ি নিয়ে আসবেন, সেদিন দেখবেন আর কোনও অসুবিধাই হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, এই প্রেকটিসটি বাচ্চাকে বাড়ি নিয়ে আসার কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে করবেন।
কুকুরের একটা পরিধি তৈরি করুন:
বাচ্চাকে বাড়ি নিয়ে আসার পরে কুকুরের গতিবিধি কী হবে তা ঠিক করে দিতে ভুলবেন না। যেমন, প্রথম কয়েকটা সপ্তাহ কুকুরকে বাচ্চার ধারে কাছেও ঘেঁষতে দেবেন না। এর পাশাপাশি সব সময় বাচ্চা এবং কুকুর উভয়ের দিকেই লক্ষ রাখবেন। এমনটা করলে অনেক দুর্ঘটনাই এড়িয়ে যেতে পারবেন।
বাচ্চাকে শেখান:
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুকুর সম্পর্কে বাচ্চাকে কতগুলি বিষয় শেখাতে হবে। যেমন- কখনই কুকুরকে বিরক্ত করা চলবে না। আর তার লেজ ধরে টানাটানি তো একেবারেই না। বাচ্চা যেন কখনই তার হাত কুকুরের মুখে না ঢোকায় সেদিকেও কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে।
পোষ্য়কে কখনই অবজ্ঞা করবেন না:
বাড়িতে বাচ্চা এসে যাওয়ার পর বেশিরভাগ সময় তাকে দেখভাল করতে করতেই কেটে যায়। ফলে কুকুরের দিকে তাকানোর সময়ই পান না অনেকে। এমনটা কখনই করবেন না। এতে বাচ্চার প্রতি কুকুরের রাগ জন্মাবে। যা থেকে যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই বাচ্চা এবং কুকুর, উভয়কেই সমান সময় দিন।
কী প্রজাতির কুকুর তা ভুলে যাবেন না:
আপনার বাড়ির কুকুরটি কী প্রজাতির তা সব সময় মনে রাখবেন, তা সে যতই শান্ত হোক না কেন। ভুলে যাবেন না বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে, যার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা আপনার প্রথম কাজ। তাই সব সময় কুকুরকে চোখে চোখে রাখবেন, বিশেষত সে যখন বাচ্চার আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে তখন।
বাচ্চাকে আগ্রাধিকার দেবেন:
আপনার কুকুর খুব ভালো। তাই সে কখনই বাচ্চার ক্ষতি করবে না। এমন ধরনের ভাবনাকে একেবারেই প্রশ্রয় দেবেন না। ভুলে যাবেন না আপনার বাচ্চা কিন্তু আপনার কাছে সবথেকে আগে।
বাচ্চাকে সব সময় প্র্য়ামের মধ্য়ে রাখবেন:
আপনার বাচ্চা যত কুকুরের থেকে দূরে থাকবে ততো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমবে। তাই বাচ্চাকে বাড়ি আনার সঙ্গে সঙ্গে একটা প্র্য়াম কিনে নেবেন। এতে বাচ্চা এবং কুকুরের মধ্য়ে একটা দুরুত্ব বজায় থাকবে, যা আপনার বাচ্চার নিরাপত্তার জন্য় জরুরি।