Just In
- 11 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 16 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 18 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 20 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
সারাদিন ঘরে বসে থাকে? বাইরে খেলার জন্য কি করে পাঠাবেন আপনার বাচ্চাকে?
আপনার বাচ্চা কি সারা দিনই ঘরে বসে থাকে? কিছুতেই তাকে বাইরে খেলতে পাঠাতে পারেন না? তাহলে জানবেন, ভবিষ্যতে এই সমস্যা বড় আকার নেবে।
আপনার বাচ্চা কি সারা দিনই ঘরে বসে থাকে? কিছুতেই তাকে বাইরে খেলতে পাঠাতে পারেন না? তাহলে জানবেন, ভবিষ্যতে এই সমস্যা বড় আকার নেবে। এবং আপনার সন্তান সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে এবং তার শরীরও যথেষ্ট পরিমাণে সুস্থসবল না হতে পারে। ইনডোর গেম বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে মুখ গুঁজে বসে থাকা থেকে তাকে ওঠানোর দায়িত্বও আপনার। তাকে বাইরে খেলতে পাঠানোর জন্য নিতে পারেন কয়েকটি সহজ রাস্তা।
১। সঙ্গী বাড়ান
আপনার বাচ্চা কি সারাদিন একা একা কাটায়? তার বন্ধু নেই বলেই হয়তো বাইরে খেলতে যাওয়ার আগ্রহ কমছে। আপনার পরিচিত বৃত্তে যাঁদের একই বয়সী বাচ্চা রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। চেষ্টা করুন তাঁদের নিমন্ত্রণ করতে। তারপর বাচ্চাদের একসঙ্গে উৎসাহ দিন বাইরে খেলতে যেতে।
২। পোষ্যর সঙ্গে খেলুক
আপনার বাড়িতে কি পোষ্য আছে? বিশেষ করে কুকুর? তাহলে তার সঙ্গে আপনার সন্তানকে খেলতে পাঠান। তাকে ঘোরানোর দায়িত্বও দিয়ে দিন বাচ্চাকে। কুকুরকে সঙ্গী করে মাঠে গেলে, আপনার সন্তানের মধ্যেও খেলাধুলার প্রবণতা বাড়বে। এবং এটা তার অভ্যাসেও পরিণত হবে।
৩। আউটডোর খেলার সামগ্রী
আপনার বাড়ি সংলগ্ন বাগান রয়েছে? বা বাড়ির খুব কাছেই একটা মাঠ? তাহলে আফনার সন্তানকে সেখানে খেলতে পাঠানোর জন্য কিছু খেলার সামগ্রী ব্যবহার করতে পারেন। হতে পারে সেটা ছোটখাটো একটা স্লিপ, কিংবা হুইল। আজকাল খেলার সামগ্রী হিসেবে ট্রামপোলিন খুব জনপ্রিয়। বহু স্পোর্টস অ্যাকসেসরিজের দোকানে এই জিনিসটি পাওয়া যায়। বাচ্চার বাইরে খেলার আকর্ষণ বাড়াতে এটি কিনতে পারেন।
৪। প্রতিযোগিতার সামনে
খেলাধুলার প্রতি আক্ষণের পিছনে প্রতিযোগিতার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। একা একা খেলতে হলে খুব মজার খেলাও কিছু দিন বাদে একঘেয়ে লাগে। তাই সমবয়সী বাচ্চাদের সঙ্গে আপনার বাচ্চাকে প্রতিযোগিতা মূলক খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহ দিন। সেটা ক্রিকেট, ফুটবলের মতো খেলা হতে পারে। হতে পারে ব্যাডমিন্টন বা লন টেনিসের মতো খেলাও। মনে রাখবেন, এই খেলাটা যেন অবশ্যই বাড়ির বাইরে হয়। বন্ধুরা মিলে বাড়িতে বসে কোনও ইনডোর গেম খেলতে চাইলে, তাকে উৎসাহ দেবেন না।
৫। পুরনো খেলায় আগ্রহ
আপনি যখন ছোঠট ছিলেন, তখন বন্ধুদের সঙ্গে কোন কোন খেলা খেলতেন, তা মনে আছে? দড়ি টানাটানি, বুড়িছোঁয়া বা লুকোচুরি? সেই খেলাগুলো কেন আপনার বাচ্চাকে শেখাচ্ছেন না? এতে পুরনো খেলার ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিটাও যেমন বেঁচে থাকবে, তেমনই আপনার বাচ্চা বাইরে গিয়ে খেলাধুলার উৎসাহ পাবে। বাড়িতে তার কোনও বন্ধু বা আত্মীয়রা এলে, সব বাচ্চাকে একসঙ্গে নিয়েও শিখিয়ে দিতে পারেন এই খেলাগুলো। তারপর দেখবেন ওরা নিজেরাই উপভোগ করছে এই সব খেলা।
৬। জলকে খেলার সঙ্গী করন
আপনার বাড়িতে কি ছোট সুইমিং পুল আছে? বা বাড়ির খুব কাছাকাছি সাঁতার কাটার জায়গা? মনে রাখবেন, বহু বাচ্চাই জল নিয়ে খেলতে বালোবাসে। তাই গরমের সময় বাড়ির বাগানে বা সুইমিং পুলে তাকে জল নিয়ে খেলার ব্যবস্থা করে দিলে, তার বাইরে খেলার আগ্রহ বাড়বে। যদ পাড়ার সুইমিং পুলে তার যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করেন, তাহলে সেখানে অন্য অনেকের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ বাড়বে। তাই বাইরে খেলার প্রতিও আগ্রহ বাড়বে তাল মিলিয়ে।
৭। চাপ দেবেন না
বাচ্চা যখন বাইরে খেলতে যাবে, ওর জামাকাপড় নোংরা হবেই। হাত-পায়ে ছোটখাটো চোটও লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে ওকে বকাবকি করবেন না। বরং এই সমস্যাগুলো যে খুবই সাধারণ, সেটাও ওকে বুঝিয়ে দিন। তবে চোটের বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলুন। বড় আঘাত থেকে সে যেন নিজেকে রক্ষা করতে পারে, সে বিষয়ে পরামর্শ দিন। এবং প্রতিদিন এই খেলতে যাওয়ার সময়টা যাতে এক থাকে, এবং এটাকে একটা নিয়মে পরিণত করুন।