Just In
- 11 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 12 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 15 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 17 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
Don't Miss
নতুন মা হতে চলেছেন? নিজের এবং শিশুর শরীরের জন্য এই ভিটামিনগুলি নিচ্ছেন তো?
অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিনগুলো মায়ের শরীরের সাথে সাথে শিশুর গঠন এবং বিকাশ সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
আপনি যদি নতুন মা হতে চলেছেন তো আজকের এই টপিক আপনার জন্য ভীষন জরুরী। নতুন শিশুর মা হতে যাওয়ার এই সময় অনেক নতুন নতুন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। নানা অনুশাসন এবং নিয়ম-শৃঙ্খলা যেমন নিজের প্রতিদিনের নিয়ম কে বেছে নিতে হয়, তেমনি নিজের শিশুর খেয়াল রাখার সাথে সাথে নিজের খেয়াল রাখা টাও অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ে। আর এই সময় যাতে শরীরের কোন ক্ষতি না হয় তার জন্য সঠিক পুষ্টি একান্ত জরুরী। গুরুত্বপূর্ণ পৌষ্টিক উপাদান এবং খনিজের যাতে নতুন মায়ের শরীরে কম না হয় তার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকরা ভিটামিন খাওয়ার জন্য বলে থাকেন। কারণ অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিনগুলো মায়ের শরীরের সাথে সাথে শিশুর গঠন এবং বিকাশ সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
১. কী এই প্রিনেটাল ভিটামিন
খাবার আগে অবশ্যই জেনে নেওয়া দরকার এই ভিটামিন কী এবং কেন একজন নতুন মায়ের শরীরে এর দরকার আছে। রোজকার খাওয়া খাবারে মায়ের শরীরে যে ভিটামিন কম পরছে তার অভাব মেটাতে এই প্রিনেটাল ভিটামিনের খাওয়ার দরকার আছে। বলা যেতে পারে গর্ভাবস্থায় শিশুর থাকাকালীন এই ভিটামিন আসলে শিশুর বিকাশ এবং গঠনের জন্য ব্যবহৃত ইনসিওরেন্স পলিসি। অনেকেই ভাবতে পারেন যে প্রতিদিনের এই ভিটামিন খাওয়ার জন্য শরীরে দরকারি খনিজ এবং অন্য পৌষ্টিক উপাদান গুলো পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে যার থেকে হয়তো কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন এই ভিটামিনের যেটুকু প্রয়োজনীয় পরিমাণ সেটুকুই শরীরে যায় এবং বাকি ইউরিনের সাথে দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কোন ভয় থাকে না।
২. এই ভিটামিন খাবার লাভ কী কী
কাজের ব্যস্ততার জন্য হোক বা সংসারে সময় দেওয়ার জন্য, পরিবারের বড়দের তত্ত্বাবধানে থেকে ঠিকঠাক খাওয়া-দাওয়ার তদারকি থাকলেও অনেক সময় যতটা পুষ্টি মা এবং শিশুর পাওয়া দরকার, সেই পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি প্রতিকার খাওয়া-দাওয়া থেকে পাওয়া সম্ভব হয় না। গর্ভধারণ করার পর থেকে তাই যাতে আপনার শিশুর পুষ্টির কোন খামতি না থাকে তার জন্য সঠিক ডায়েট এবং খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি এই ভিটামিন খাওয়ার দরকার।
গর্ভধারণ করার পরে অনেক মায়েরাই অনুভব করে থাকেন যে সারাদিনে কাজ করার এনার্জি অনেক কমে গেছে বা কম লাগছে। অনেক সময় সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠার পর এই অসুবিধে বেশি করে টের পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন ভিটামিন বি সিক্সের অভাবে এই সব সমস্যা আসতে পারে।
অনেক চিকিৎসকেরা মনে করেন যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন বি টুয়েলভ এবং ফলিক এসিডের অভাবে নতুন শিশুর হার্টের সমস্যা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে আসার সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে। আধুনিক বিজ্ঞান এটাও দেখেছে যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন খাওয়ার কারণে নতুন কোনো শিশুর অটিজম রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
ফলিক অ্যাসিড
ডাক্তারের বলছেন কনসিভ করার পরের দিন থেকে চেষ্টা করুন যে ভিটামিন খাচ্ছেন তাতে যেন অবশ্যই ফলিক এসিদ ভিটামিন-বি নাইন এর উপস্থিতি থাকে। এছাড়াও রোজকার খাবার এমন ভাবেই খান বা খাবারের চার্ট এমন ভাবে তৈরি করুন যাতে আপনার রোজকার খাওয়া খাদ্যবস্তু তে ফলিক অ্যাসিডের উপস্থিতি দেখা যায়।
আয়রন
আয়রন আপনার গর্ভের শিশুর শরীরের কোষ গঠনের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। অবশ্যই চেষ্টা করুন আপনার প্রতিদিনের খাবারের যেন আয়রনসমৃদ্ধ উপাদান থাকে। এসব মায়েদের অ্যানিমিয়ার সম্ভাবনা আছে, তারা বেশি করে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার প্রতি নজর দিন।
আয়োডিন
আয়োডিন আপনার গর্ভে থাকা নবজাতকের মস্তিষ্ক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে অনেক প্রিনেটাল ভিটামিনে আয়োডিনের উপস্থিতি পাওয়া যায় না। তাই কেনার আগে অবশ্যই সেটা দেখে কিনবেন।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি আপনার নবজাতকের শরীর গঠনে বলা ভালো নবজাতকের হাড়ের গঠনে এবং বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তবে এর সাথে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণ ক্যালসিয়াম এর উপস্থিতি থাকা দরকার।
জিংক এবং কপার
জিংক আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায় এবং গঠনে সাহায্য করে। কপার একইসাথে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গঠনের পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্র ঠিক রাখতে এবং রক্ত কণিকা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তবে অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়া দাওয়া, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার এবং প্রিনেটাল ভিটামিন খাওয়া সত্ত্বেও অনেকে দুর্বল বোধ করেন। অনেকেই গ্যাসের সমস্যা বাবদ হজমের সমস্যায় ভুগতে থাকেন। সে ক্ষেত্রে এই সমস্ত ভিটামিন আপনার শরীরের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী এবং চাহিদা অনুযায়ী কতটা দরকার তার পরিমাণ জানার জন্য অবশ্যই চিকিৎসক এবং পুষ্টি বিশারদ এর সাথে পরামর্শ করে তবেই খান।