For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

মা হতে চলেছেন? এখনই বদলান এই অভ্যাসগুলি

মা হওয়ার আগে অবশ্যই এই অভ্যাসগুলি বদলানো দরকার।

|

গর্ভধারণ করলে যে কোন মায়েরই প্রচুর দায়িত্ব নিজের উপর চলে আসে। এক নতুন অভিজ্ঞতার সাথে নিজের জীবনে নতুন হাজার একটা দায়িত্বের সম্মুখীন হতে হয়। নিজের পাশের বাড়ির বড় গুরুজনেরা এবং কাছের মানুষ থাকলেও কিছু কাজ নিজেকে বুঝে নিতে হয়। বিয়ের আগে বা বিয়ের পরে নানা রকম অভ্যাস নিয়ে পথ চললেও এই সময় নিজেকে গুছিয়ে নিতে হয়। তাই হয়তো বড়রা বলে থাকেন বা আগেকার দিনে সবাই বলে থাকতো মা হওয়া মুখের কথা নয়। আপনার জীবন সাথী আপনার ছোট খাটো দোষ গুণ বা বদ অভ্যাস কে মা নিয়ে নিলেও আপনার সন্তান আসার সময় টা কিন্তু আপনার নিজের প্রতি কোনো রকম অবহেলা বা দোষ ত্রুটি মেনে নেবে না। ফলে পরিবারের গুরুজনেরা এবং আপনার চিকিৎসক আপনাকে সব সময় সঠিক অনুশাসন এবং নিয়মের মধ্যে চলতে বলেন। মা হতে চলার সময় কালে ঠিক কোন কোন কাজ করা উচিত নয় বা ঠিক কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত নয় তা জানাতে আমাদের আজকের প্রতিবেদন। জেনে রাখা যাক সেই সব ভুল অভ্যাস যা গর্ভধারণ করাকালীন বদলানো একান্ত জরুরী।

১. পানীয় এবং তাপমাত্রা

১. পানীয় এবং তাপমাত্রা

এই সময় প্রচুর পরিমাণে জল খান যাতে আপনি এবং আপনার শিশু হাইড্রেটেড থাকে সবসময়। এমন কিছু কখনোই করা উচিত নয় এই সময় যাতে শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত হয়ে যায়। চেষ্টা করুন বাজারের ঠান্ডা পানীয় কম খেতে। অ্যালকোহলের খাওয়ার পরিমাণও এই সময় কমানো উচিত। শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে শিশু এবং শিশুর মা, উভয়ের ক্ষতি।

২. চিন্তা

২. চিন্তা

এই সময় দুশ্চিন্তা করা একদমই উচিত না। সব সময় সুস্থ মানুষিকতা নিয়ে চলা উচিত। এমন কোনো কাজ করা বা কাজের সম্মুখীন হওয়া কখনোই উচিত না যাতে বছর মা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় ভোগেন।

৩. চিকিৎসকের কাছে যাওয়া

৩. চিকিৎসকের কাছে যাওয়া

কোন খাবার খাওয়া ভুল হচ্ছে বা হচ্ছে না, কোন রুটিন মেনে চলা উচিত টা জানতে এবং শরীরের অবস্থা অনুযায়ী কখন কোন কাজ করা উচিত বা উচিত নয় তা জানতে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। এটা এড়িয়ে যাওয়া মানে কোনো ভুল কাজ বারবার করে আপনার এবং আপনার বাচ্চার ক্ষতিসাধন করার দিকে এক পা এগিয়ে রাখা হতে পারে।

৪. ভিটামিন

৪. ভিটামিন

অনেকেই খাওয়া দাওয়াতে এই সময় তেমন ইচ্ছা প্রকাশ করেন না বা অরুচি বলে থাকেন। কিন্তু এই সময় অবশ্যই ঠিক থাক খাওয়া দাওয়া করা উচিত এবং শরীরে যাতে বাচ্চার এবং বাচ্চার মায়ের বিকাশের জন্যে সঠিক পুষ্টি ও ভিটামিন যায় তার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অবশ্যই প্রয়োজনীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল এবং খাবার খেতে হবে।

৫. খাওয়া দাওয়া

৫. খাওয়া দাওয়া

খাওয়াদাওয়া এই সময় অবশ্যই স্বাস্থ্যকর হতে হবে। গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন একজন মায়ের প্রতিদিনের ক্যালোরি খাওয়ার পরিমাণ ৩০০ ক্যালোরি মত বেড়ে যায়। ফলে উপযুক্ত খাবার না পেলে শরীরের গঠন ভাঙতে থাকে। তাই ভিটামিনের পাশাপাশি যাতে শরীরে গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং খনিজ যায় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। প্রসেসড ফুড খাওয়া বন্ধ করা একান্ত দরকার।

৬. স্বাস্থ্য চর্চা

৬. স্বাস্থ্য চর্চা

স্বাস্থ্য চর্চা ক্রস অবশ্যই শরীরের জন্যে ভালো। কিন্তু গর্ভধারণ করা কালীন অনেকে অভ্যেস মত সাস্থ চর্চা করতে থাকেন যেটা একেবারেই ঠিক না। কারণ এই সময় শরীরের গঠনের অনেক পরিবর্তন হয়। স্বাস্থবিদের কাছে পরামর্শ না নিয়ে অনেক ব্যায়াম বা কসরত থাকতে পারে যা গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করতে পারে। ফলে এই সময় এই দিকে নজর রাখা দরকার।

৭. নেশা

৭. নেশা

কঠোরভাবে মানতে হবে এটা। নেশাকে না বলুন। বলতে শিখুন। সাধারণ সময় তো বটেই, এই সময়েও। যেকোনো নেশা এই সময় অত্যন্ত বাজে এবং ক্ষতিকারক। অনেকেই এই সময় অতিরিক্ত চিন্তা করেন বলে নেশা করতে থাকেন। বন্ধ করুন এটা করা। ধূমপান হোক বা অ্যালকোহল বা অন্য যেকোনো নেশা, আপনার এবং আপনার শিশুর শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি যারা ধূমপান করছে তাদের আশপাশে থেকে হয় সরে যেতে বলুন নাহলে নিজে ওই ঘেরাটোপের মধ্যে থাকা থেকে বিরত হন।

৮. ইলেকট্রনিক্স

৮. ইলেকট্রনিক্স

অনেকেই সময় কাটাতে ইলেকট্রনিক জিনিস ব্যবহার করুন। অনেকে ঠান্ডার জায়গায় থাকলে ইলেকট্রনিক চাদর ব্যবহার করেন। চেষ্টা করুন এগুলো কম ব্যবহার করতে। এমন জিনিস যা আপনার শরীরের সাথে সংস্পর্শে আসছে তা ব্যবহার থেকে বিরত হন। এগুলো থেকে অনেক সময় ক্ষতিকারক চৌম্বকীয় তরঙ্গ আসে যা শিশু এবং শিশুর মায়ের ক্ষতি করে।

English summary

Bad Habits That Pregnant Women Should Avoid

Here are a few mom-to-be habits to keep your child healthy and safe.
X
Desktop Bottom Promotion