Just In
শীতকাল এলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন? রোজ সকালে খান এই ৫ খাবার!
শীতকালে আমরা খুব একটা পিপাসা অনুভব করি না, ফলে জলও কম পান করি। শরীরকে উষ্ণ রাখার জন্য দিনে অনেক বার চা-কফি পান করি। সবসময় গরম খাবার খেতে পছন্দ করি। আর, এই কম জল খাওয়া, কম ব্যায়াম করা, প্রচুর চা-কফি পান এবং পর্যাপ্ত ফাইবারযুক্ত খাবার না খাওয়ার কারণেই শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশি দেখা যায়। পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না। এর ফলে গ্যাস লেগেই থাকে, এছাড়াও খাওয়াদাওয়ায় কোনও রুচি থাকে না।
কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি সমস্যা যাতে সব বয়সের মানুষজনই ভোগেন। তবে নিয়মিত বেশ কিছু খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আসুন জেনে নিন, কোষ্ঠাকাঠিন্য থেকে বাঁচতে রোজ কী কী খাবেন -
খেজুর
খেজুর মিষ্টি এবং ঠান্ডা প্রকৃতির হয়। যারা কোষ্ঠকাঠিন্য, হাইপার অ্যাসিডিটি, জয়েন্টে ব্যথা, উদ্বেগ, চুল পড়া এবং লো এনার্জিতে ভুগছেন, তাদের জন্য সবচেয়ে সেরা খাবার খেজুর। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম জলের সঙ্গে ২-৩টি ভেজানো খেজুর খান।
মেথি বীজ
১ চা চামচ মেথি বীজ সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। এছাড়াও, মেথি বীজ গুঁড়ো করে নিন। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম জলের সঙ্গে ১ চা চামচ মেথির গুঁড়ো খেতে পারেন।
গরুর ঘি
গরুর ঘি মেটাবলিজম উন্নত করে। এটি শরীরে হেলদি ফ্যাট বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা ফ্যাট-সলিউবল ভিটামিন, যেমন - ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে শোষণের জন্য প্রয়োজন। এক গ্লাস উষ্ণ গরুর দুধের সঙ্গে ১ চা চামচ গরুর ঘি দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য দারুণ কাজ করে।
আমলকি
আমলকি নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে পারে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আমলকি সেবন করলে দারুণ উপকার পাবেন। ১ চা চামচ আমলা পাউডার বা ৩টি তাজা আমলকির রস খেতে পারেন।
কিশমিশ
কালো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে দারুণ কার্যকর। তবে ভেজানো কিশমিশ খাওয়া ভাল, কারণ শুকনো খাবার খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিজিয়ে রাখলে এগুলো সহজেই হজম হবে।