Just In
কোভিড আক্রান্ত বাচ্চাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কী করা উচিত এবং কী নয়, নতুন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার
কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভের আক্রমণ থেকে ভারত এখনও পুরোপুরি মুক্ত হয়নি। তবে ধীরে ধীরে কমছে সংক্রমিতের সংখ্যা। এরই মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা বাড়ছে, যা শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর বেশি প্রভাব ফেলবে বলে জানা গেছে। থার্ড ওয়েভ যাতে ঠিকভাবে মোকাবিলা করা যায়, সেই জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে দিয়েছে।
তাই কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড আক্রান্ত বাচ্চাদের চিকিৎসা, সুরক্ষা ও দেখভালের জন্য কিছু নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। দেখে নিন সেগুলি কী কী -
রেমডেসিভির ইনজেকশন ব্যবহার করা উচিত নয়
সরকারী নির্দেশিকা অনুযায়ী, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন ব্যবহারের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের সতর্ক করা হয়েছে। DGHS (Directorate General of Health Services)-এর মতে, ১৮ বছর বয়সের নীচে বাচ্চাদের মধ্যে এটি ব্যবহারের সাফল্য সম্পর্কে পর্যাপ্ত প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই এর ব্যবহার এড়ানোই ভাল।
এইচআরসিটি
বুকের এইচআরসিটি স্ক্যান থেকে প্রাপ্ত কোনও অতিরিক্ত তথ্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে খুব সামান্যই প্রভাব ফেলে। সুতরাং, এই বিষয়ে চিকিৎসকদের ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
স্টেরয়েড
হালকা এবং উপসর্গহীন সংক্রমণের ক্ষেত্রে স্টেরয়েড ব্যবহার অত্যন্ত ক্ষতিকারক, যা মারাত্মক সমস্যার কারণ হতে পারে।
কেবলমাত্র গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীর ক্ষেত্রেই স্টেরয়েড ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে নিজে থেকে স্টেরয়েড ব্যবহার এড়াতে হবে এবং এটি সঠিক সময়, সঠিক ডোজ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল
গাইডলাইনে বলা হয়েছে যে, করোনা একটি ভাইরাল সংক্রমণ। কোভিডের মাঝারি ও গুরুতর ক্ষেত্রেও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল নির্ধারণ করা উচিত নয়। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রফিল্যাক্সিসের (prophylaxis) থেরাপির জন্যও সুপারিশ করা হয় না।
উপসর্গহীন ঘটনার ক্ষেত্রে
অ্যাসিম্পটোমেটিক ক্ষেত্রে, কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। পুষ্টিকর ডায়েটের পাশাপাশি মাস্ক, হাত পরিষ্কার রাখা, শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই ৬টি খাবার বাচ্চার মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়তা করবে!
প্যারাসিটামল এবং গার্গল করা
হালকা সংক্রমণের ক্ষেত্রে, জ্বর ও গলায় ব্যথা হলে প্যারাসিটামল ১০-১৫ মিলিগ্রাম/কেজি/ডোজ প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা অন্তর দেওয়া যেতে পারে। তবে বড় বাচ্চাদের এবং কিশোর-কিশোরীদের কাশি হলে উষ্ণ নুন জলে গার্গল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মাঝারি সংক্রমণের জন্য, অক্সিজেন থেরাপি অবিলম্বে শুরু করা উচিত।
গুরুতর ক্ষেত্রে
যদি অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিস্ট্রেস সিন্ড্রোম-এর বিকাশ ঘটে, তবে যত শীঘ্র সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যদি রোগীর মধ্যে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল দেওয়া উচিত। অর্গ্যান ডিসফাংশানের ক্ষেত্রে অর্গ্যান সাপোর্টের প্রয়োজন হতে পারে।
ছয় মিনিটের ওয়াক টেস্ট
গাইডলাইন অনুযায়ী, ১২ বছরের বেশি বয়সী কিশোর-কিশোরীদের ছয় মিনিটের ওয়াক টেস্ট নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আঙুলে অক্সিমিটার লাগিয়ে টানা ৬ মিনিট হাঁটাতে হবে। ৬ মিনিট হাঁটার পর অক্সিজেনের মাত্রা দেখুন।