Just In
- 22 min ago অসহ্য গরমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন? রইল টিপস
- 4 hrs ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 20 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 21 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
বকরি ঈদ ২০২০ : জামে মসজিদের শাহী ইমামের মতে এই দিন পালিত হবে ঈদ, জেনে নিন উৎসবের তাৎপর্য
মুসলিমরা সাধারণত দু'ধরনের ঈদ পালন করেন, ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-আল-আধা।এই দুটি সর্ববৃহৎ উৎসবের মধ্যে অন্যতম হল ঈদ-আল-আধা। এই ঈদের অন্য নামগুলি হল কোরবানি ঈদ ও বকরি ঈদ। ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের প্রায় দুই মাস পরে বকরি ঈদ উদযাপিত হয়। দু'টি ঈদ-ই শুরু হয় নতুন চাঁদ দর্শন করে। আকাশে নতুন চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা এই উত্সবে মেতে ওঠেন। এদিন ছোটো-বড় নির্বিশেষে সবাই নতুন জামা পরে খোলা জায়গায় একসঙ্গে নামাজ পড়ে। তারপর সবাই সবাইকে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা জানায়। বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এই উৎসব পালিত হয়। ইসলাম মতে, ত্যাগের অন্যতম প্রতীক এই কোরবানির ঈদ। এই বিশেষ দিনে আল্লাহর নামে কোরবানি দেওয়ার রীতি আছে।
২০২০ সালে বকরি ঈদ উদযাপনের তারিখ
হিজরি ক্যালেন্ডারের ১২তম ও শেষ মাস ধুল হিজার দশম তম দিনে পালিত হয় ঈদ-আল-আধা। সৌদি আরবের ঘোষিত তারিখ অনুসারে, ২০২০ সালে গোটা বিশ্বজুড়ে ৩১ জুলাই বকরি ঈদ পালিত হবে। তবে দিল্লির জামে মসজিদের শাহী ইমাম বলেছেন, চাঁদ দেখা অনুসারে ভারতে ঈদ-আল-আধা উৎসবটি ১ আগস্ট উদযাপিত হবে।
কীভাবে বকরি ঈদ উৎসবটি পালিত হয়?
এই দিন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা নামাজ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহ-র আরাধনা করেন। এই দিনে ছাগলের কোরবানি দেওয়া হয়। আরবি 'বকরা ' শব্দের অর্থ গাভী বা গরু। আর এই কারণে, গরুকে বলি দেওয়ার মধ্যে দিয়েও পালন করা হয় বকরি ঈদ। এই উপলক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা হযরত ইব্রাহিমের আত্মত্যাগের কথাও স্মরণ করেন। কোরবানির পরে মাংসের তিনটি ভাগ করা হয়। একটি অংশ পরিবারের জন্য, অন্য অংশটি বন্ধু বা আত্মীয়দের জন্য এবং তৃতীয় অংশটি সমাজের অভাবী মানুষদের জন্য থাকে।
বকরি ঈদ সম্পর্কিত প্রচলিত কথা
কথিত আছে, হজরত ইব্রাহিম আল্লাহ-র স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী নিজের ছেলেকে আল্লাহ-র কাছে কোরবানি বা উৎসর্গ করতে গিয়েছিলেন। তখন স্বয়ং আল্লাহ তাঁকে দেখা দিয়ে একটি ভেড়া তাঁর হাতে তুলে দেন এবং বলেন যে ছেলের বদলে এই ভেড়াটাকে কোরবানি হিসেবে উৎসর্গ করতে। তারপর থেকেই এই উৎসবের আগে থেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা ভেড়া, ছাগল, উট কিনে তাকে যত্ন সহকারে পালন করে বকরি ঈদের দিনে আল্লাহ-র নামে উৎসর্গ করেন।