Just In
- 2 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 18 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
- 18 hrs ago গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যা? আর নয়, ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া প্যাকগুলি
- 22 hrs ago ভ্যাপসা গরমে আপনাকে তৃপ্তি দেবে এক গ্লাস গোলাপ শরবত!
আপনি যাকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসেন সে ঠিক কী কী চায় আপনার থেকে তা জানতে চাইলে চোখ রাখুন এই লেখায়..!
আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার মনে আপনার সম্পর্কে ঠিক কেমন ভাবনা চলছে, তা জানতে চান, তাহলে আর অপেক্ষা না করে চলুন চোখ রাখা যাক এই লেখায়।
কাউকে ভালবাসাটা সহজ। কিন্তু সেই সম্পর্কটাকে ধরে রাখাটাই আসল যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধে তখনই জেতা সম্ভব, যখন জীবনসঙ্গীর মনের খোঁজ মিলবে। কারণ আপনার প্রিয় মানুষটা আপনার থেকে ঠিক কী কী জিনিস আশা করেন, সে সম্পর্কে যদি একটা ধরণা করে নিতে না পারেন, তাহলে মনোমালিন্য বা কলহ যে রোজের সঙ্গী হয়ে উঠবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো বলি বন্ধু, প্রিয় মানুষটির সঙ্গে সুখে-শান্তিতে বাকি জীবনটা কেটে যাক, এমনটা যদি চান, তাহলে ভালবাসার প্রথম শর্ত হওয়া উচিত ভাসবাসার মানুষটাকে ভিতর থেকে চিনে নেওয়া। কিন্তু প্রশ্ন হল, প্রতিটি মানুষের মনই তো গোলক ধাঁধার মতো। তাহলে প্রিয় মানুষটির মনের কথা জানা যাবে কীভাবে?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আপনাকে একবার চোখ রাখতেই হবে এই লেখায়। কারণ এই প্রবন্ধে জ্য়োতিষশাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই পড়ে প্রতিটি রাশির জাতক-জাতিকাদের মনের অন্দরের কথা তুলে ধরা হয়েছে, বিশেষত কাউকে ভালবাসার সময় প্রতিটি রাশির জাতকেরা তার জীবনসঙ্গীর থেকে ঠিক কী কী জিনিস আশা করেন, সেই বিষয়টির উপরও আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আর ঠিক এই কারণেই সবারই এই লেখাটা পড়া উচিত।
এত দূর পড়ার পর যদি ঠিক করে থাকেন আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার মনে আপনার সম্পর্কে ঠিক কেমন ভাবনা চলছে, তা জানতে চান, তাহলে আর অপেক্ষা না করে চলুন চোখ রাখা যাক লেখার দ্বিতীয় অংশে...
১. মেষরাশি:
যাকে ভালবেসেছেন সে আপনাকে কোনও দিন মিথ্যা কথা বলবে না, এটাই আপনার প্রাথমিক শর্ত। কারণ সত্যতাই আপনার কাছে সম্পর্কের প্রধান বুনিয়াদ। তবে প্রিয় মানুষটাকে যতই ভালবাসুন না কেন, তাঁর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করা আপনার না পাসান্দ। তাই তো বলি বন্ধু আপনার প্রমিক বা প্রেমিকা যদি মেষরাশির জাতক বা জাতিকা হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে কোনও দিন মিথ্যা বলবেন না, আর অপেক্ষা করিয়ে রাখবেন না। তাহলেই দেখবেন সম্পর্ক টিকে যাবে।
২. বৃষরাশি:
মাথা গরম করে আজেবাজে কথা বলা। অপরিষ্কার জামা-কাপড় পরা এবং ভালবাসার মানুষটিকে তোয়াক্কা না করে নিজের মতো চলা, এই সব কিছু বৃষরাশির জাতক-জাতিকারা একেবারে পছন্দ করেন না। বরং ধীর ধীরে যারা কথা বলেন এবং প্রিয় মানুষটিকে পাগলের মতো ভালবাসেন, এমন মেয়ে বা ছেলেকে এরা বেজায় পছন্দ করেন। প্রসঙ্গত, এদের সম্পর্কে আরেকটা জিনিস জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল, এই রাশির জাতকেরা একবার দুঃখ পেলে কিন্তু কখনও ক্ষমা করেন না। তাই ভুলেও এদের কখনও মানসিক আঘাত করবেন না যেন!
৩. মিথুনরাশি:
সারাক্ষণ ভাসবাসার মানুষটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এরা খুব পছন্দ করেন। এই ধরুন কাজের ফাঁকে কখনও-সখনও মেসেজ, লাঞ্চ টাইমে ফোন আর অফিস ফেরতা দেখা...এই ভাবে এরা নিজের ভাসবাসার মানুষটিকে সব সময় নিজের সঙ্গে রাখতে চান, প্রকাশ করতে চান মনের ছোট থেকে ছোটতর ভাবনা। তাই মিথুনরাশির কাউকে যদি ভালবেসে থাকেন, তাহলে বেশিক্ষণ তার সঙ্গে যোগাযোগ না করে থাকবেন না যেন!
৪. কর্কটরাশি:
ভালবাসার মানুষটি সারাক্ষণ আপনার পাশে থাকবে। দুঃখ-কষ্টে সঙ্গ দেবে এবং অফুরন্ত ভাসাবাসবে- এই সব প্রত্য়াশা নিয়েই কিন্তু কর্কটরাশির জাতক-জাতিকারা কাউকে ভালবেসে থাকেন। আর যখন এর কোনওটা পূরণ হয় না, তখন এরা এতটাই ভেঙে পরেন যে পুনরায় কাউকে ভালবাসার সাহস করে উঠতে পারেন না। সহজ কথায় এরা বেজায় ইমোশনাল গোছের মানুষ হন। তাই তো কাউকে ভাসবাসতে এদের জুড়ি মেলা ভার। তবে এরা ভাসবাসার পরিবর্তে শুধু ভাসবাসাই প্রত্যাশা করেন, আর কিছু না...!
৫. সিংহরাশি:
এই রাশির জাতাক-জাতিকারা তখনই কাউকে ভাসবাসেন, যখন সেই মানুষটা তাকে "ফ্রি স্পেস" দেন। অর্থাৎ এরা সারা জীবন স্বাধীনভাবে বাঁচতে চান। কারও নিয়ন্ত্রণে থাকতে এদের একেবারেই পছন্দ নয়। তাই তো বলি বন্ধু, এই রাশির কাউকে ভালবেসে ফেললে তাকে তার স্পেসটা দিতে ভুলবেন না যেন! সারাক্ষণ যদি ফোন করে বা মেসেজ করে নজরে রাখতে চান, তাহলে কিন্তু এরা সেই সম্পর্ক থেকে ছিটকে বেরিয়ে যাবে।
৬. কন্যারাশি:
এদের আশেপাশে থাকা প্রতিটা মানুষকে সাহায্য করতে এরা যেমন সদা প্রস্তুত থাকেন, তেমনি আশা করেন এদের জীবনসঙ্গীও একই মানসিকতার হবেন, যে লোককে ভালবাসবে, সাহায্য করবে এবং অবশ্যই বিপদের দিনে পাশে থাকবে। তাই এই রাশির কারও যদি মন জয় করতে হয়, তাহলে তার সামনে অন্যের প্রতি একটু ভাসাবাসা প্রদশর্ন ককরলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!
৭. তুলারাশি:
এরা বেজায় শান্তিপ্রিয় মানুষ হন। অল্প চাহিদা, শান্তি-ঝুটঝামেলাহীন পরিবেশে থাকতেই এরা পছন্দ করেন। তাই তুলারাশির জাতক-জাতিকারা এমন জীবনসঙ্গী খোঁজেন যারা স্বভাবে শান্ত এবং যে কোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলতে পারবেন। তাই তো ছোট ছোট কারণে ঝগড়া বা অশান্তি তৈরি করেন এমন মানুষদের এরা একেবারেই পছন্দ করেন না।
৮. বৃশ্চিকরাশি:
বিশ্বাসই হল এদের কাছে প্রথম এবং শেষ কথা। সেই সঙ্গে জীবনসঙ্গীর থেকে এরা সারাক্ষণ শারীরিক উষ্ণতা পেতে চান। আর এই দুটি চাহিদা যার মাধ্য়মে মিটবে, তাকে পাগলের মতো ভালবাসতে এরা পিছপা হন না। তবে বৃশ্চিকরাশির জাতক-জাতিকাদের বিষয়ে আরও একটা জিনিস জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল এরা কাউকে বিশ্বাস করে মনের কথা বললে আশা করেন সেই মানুষটা সেই সব কথা গোপন রেখে দেবেন। এমনটা না হলে কিন্তু এরা বেজায় খাপ্পা হয়ে যান।
৯. ধনুরাশি:
এরা বেশ খোলা মনের মানুষ হন। কাউকে যেমন মন খুলে ভালবাসেন, তেমনি কাউকে অপছন্দ হলে সে কথা মুখের উপর বলে দেন। শুধু তাই নয়, এরা লাইমলাইটে থাকতে খুব ভাসবাসেন। সেই সঙ্গে ভাসবাসার মানুষটির থেকে অনেক অনেক ভাসবাসা পাওয়ার প্রত্যাশাও রাখেন। আর এই সব ইচ্ছাগুলো পূরণ হয়ে গেলে আর কোনও চিন্তাই থাকে না। তাই আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা যদি ধনুরাশির হয়ে থাকেন, তাহলে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতে ভুলবেন না যেন!
১০. মকররাশি:
এরা নিজের কাজকে খুব ভাসবাসেন। তাই যে মানুষটি তাদের এই দিকটার খেয়াল রাখেন, তাকে এরা পাগলের মতো ভাসবাসেন। আর একবার কাউকে ভালবেসে ফেললে তার জন্য যে কোনও মূল্য দিতে প্রস্থুত থাকেন। শুধু তাই নয়, এরা বিশ্বাসকে খুব গুরুত্ব দেন। তাই ভুলেও এমন মানুষদের বিশ্বাস কখনও ভঙ্গ করবেন না, তাহলেই দেখবেন এদের থেকে আপনি এত এত মাত্রায় ভালবাসা পাবেন যে দুঃখ আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
১১. কুম্ভরাশি:
এরা খুব বড় মনের মানুষ হন। তাই ছোট মনের মানুষদের এরা একেবারেই পছন্দ করেন না। শুধু তাই নয়, কুম্ভরাশির জাতক-জাতিকারা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে খুব ভালবাসেন। তাই কেউ যাদি এই বিষয়টায় হস্তক্ষেপ করেন, তাহলে এরা বেজায় রেগে যান। তাই এমন মানুষের সাথে ঘর বাঁধতে হলে ভাসবাসার মানুষটিকে একটু স্বাধীনভাবে বাঁচতে দিতে হবে। না হলে কিন্তু সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা খুব মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে।
১২. মীনরাশি:
এরা খুব নরম মনের মানুষ হন। তাই এমন জীবনসঙ্গীর খোঁজে থাকেন যে সারাক্ষণ এদের আগলে রাখবে। দুঃখের দিনে চোখের জল মুছিয়ে দেবে এবং অবশ্যই এদের স্বপ্নালু মনকে আরও স্বপ্ন দেখার অধিকার দেবে।