Just In
বাচ্চাদের খুব সাধারণ সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য, সমাধান রয়েছে আয়ুর্বেদেই!
ছোটো থেকে বড়, কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকের জন্যই একটা বড় সমস্য়া। তবে, বাচ্চারা সবচেয়ে বেশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে। এর মূল কারণ হল অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়া। চিপস, পিজ্জা, বার্গার, কোল্ড ড্রিঙ্কস, ডিপ ফ্রায়েড ফুড প্রত্যেক বাচ্চারই খুব পছন্দের। আর, অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাসের কারণেই বাচ্চাদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশি দেখা যায়। যার ফলে খিদে হয় না, এনার্জি কমে যায়, হজমে গোলমাল হয়।
আয়ুর্বেদে কোষ্ঠকাঠিন্যের দারুণ প্রতিকার রয়েছে। এমন কিছু খাবারের উল্লেখ রয়েছে আয়ুর্বেদে, যেগুলি আপনার বাচ্চাকে নিয়ম করে খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হতে পারে।
ত্রিফলা
ত্রিফলা হল তিনটি ফলের মিশ্রণ - আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা। এই ৩ ফল শুকিয়ে গুঁড়ো করে, তাদের চূর্ণ একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় ত্রিফলার মিশ্রণ। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, রোগ-ব্যধিকে ঠেকিয়ে রাখতে ত্রিফলার জুড়ি মেলা ভার।
নিয়মিত ত্রিফলার জল বা ট্যাবলেট খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা এবং অন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও ত্রিফলা দারুণ কার্যকর। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ ত্রিফলার কোনও ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
বেশ কিছু নামী সংস্থার ত্রিফলা বড়ি বা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। সেই ট্যাবলেট খেতে পারেন। এ ছাড়াও, ত্রিফলা চূর্ণ কিনতে পাওয়া যায়। এক চামচ ত্রিফলার গুঁড়ো এক কাপ জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে খালি পেটে সেই জল খেতে হবে।
জাঙ্ক ফুড
হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে রাখুন আপনার বাচ্চাকে। ঠান্ডা খাবার, ঠান্ডা পানীয়, শুকনো ফল, স্যালাড এবং বিনস খাওয়াবেন না বাচ্চাকে। ঘরে তৈরি গরম খাবার, ডিটক্সিফিকেশন পানীয় এবং ভালোভাবে রান্না করা শাকসবজি বাচ্চাকে খাওয়ান। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান আপনার সন্তানকে, যা পেটকে টক্সিন এবং ব্যাকটেরিয়া মুক্ত রাখবে।
দুধ ও ঘি
দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী আয়ুর্বেদিক প্রতিকার হল, এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে দুই চামচ ঘি মিশিয়ে পান করা। ঘি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দেয়।
আপনার সন্তান কি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে? খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন এই ৭টি খাবার!
বেলের শরবত
বেল খুবই পুষ্টিকর এবং উপকারী একটি ফল। কাঁচা পাকা দুই অবস্থায়ই সমান উপকারী। বেলের সিজন হল গ্রীষ্মকাল। পাকা বেলের শরবত কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে দারুণ কার্যকর। বেল হজমের জন্য ভালো এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
ডুমুর
ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এটি মলত্যাগের জন্যও খুবই উপকারী এবং দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। এ ছাড়াও, ডুমুর বদহজম, ডায়রিয়া এবং খিদে না হওয়ার সমস্যা দূর করে।