Just In
সংকষ্টী চতুর্থী ব্রত পালনে দূর হবে সকল সঙ্কট! জেনে নিন তিথি ও পুজোর সময়
হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি মাসে দু'টি করে চতুর্থী তিথি পড়ে। কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীকে সংকষ্টী চতুর্থী এবং শুক্লপক্ষের চতুর্থীকে বিনায়ক চতুর্থী বলা হয়। নভেম্বর মাসে সংকষ্টী চতুর্থী পড়েছে ১২ নভেম্বর, শনিবার। এই দিন সঠিক বিধি মেনে ভগবান গণেশের পূজার্চনা করলে জীবনের সকল ঝুট-ঝামেলা দূর হয়, জ্ঞান ও ঐশ্বর্য প্রাপ্তি হয়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, সংকষ্টী চতুর্থীর তিথি, শুভ মুহূর্ত, পূজা বিধি ও তাৎপর্য সম্পর্কে -
সংকষ্টী চতুর্থী তিথি ও শুভক্ষণ
নভেম্বর মাসে সংকষ্টী চতুর্থী পড়েছে ১২ নভেম্বর, শনিবার।
চতুর্থী তিথি শুরু - ১১ নভেম্বর, রাত ০৮টা ১৭ মিনিটে।
চতুর্থী তিথি শেষ - ১২ নভেম্বর, রাত ১০টা ২৫ মিনিটে।
এ দিন চন্দ্রোদয়ের সময় হচ্ছে সন্ধ্যা ৭টা ৫১ মিনিটে।
সংকষ্টী চতুর্থী পূজা বিধি
এ দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে পূজার স্থান পরিষ্কার করে নিন। চারিদিকে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিন। গণেশের বিগ্রহ সাজান। মন্দিরে ধূপ ও প্রদীপ জ্বালান। ফুল, ফল, মিষ্টি অর্পণ করুন। মতিচুর লাড্ডু বা মোদক নিবেদন করতে ভুলবেন না যেন। সঠিক বিধি মেনে গণেশের পূজা করুন। পূজা শেষ হলে আরতি করুন।
গণেশ পুজোর সময় তাঁকে ২১টি দূর্বার গাঁঠ অর্পণ করা হয়। মনে করা হয়, এমনটা করলে গণেশ খুব শীঘ্র প্রসন্ন হন।
সংকষ্টী চতুর্থীর তাৎপর্য
সংকষ্টী চতুর্থীতে উপবাস করে পূজার্চনা করলে ভগবান গণেশের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। কথিত আছে, অগ্রহায়ণ মাসে সংকষ্টী চতুর্থী ব্রত পালন করলে ভক্তের সকল মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন গণপতি ভগবান।
Disclaimer : এই আর্টিকেলটি সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। এখানে যে সব কথা বলা হয়েছে, তা পুরোপুরি সঠিক হবে এমনটা দাবি করছে না বোল্ডস্কাই বাংলা। এই তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত।