Just In
জানা আছে কি কোন কোন রাশির উপর ভরসা করা যেতে পারে আর কাদের উপর বিশ্বাস করলে মরবেই মরবেন?
এই লেখায় সেই সব রাশিগুলির উপর আলোকপাত করা হয়েছে, যাদের আপনি চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারেন। সেই সঙ্গে এমন রাশির সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে, যারা একেবারেই ভরসাযোগ্য নয়।
বিশ্বাস। এই শব্দটার আজকের দিনে কোনও গুরুত্ব আছে বলে তো মনে হয় না। আর কেন থাকবেই বা বলুন! আজকের দুনিয়ায় সব সম্পর্কই তো স্বার্থের উপর দাঁড়িয়ে। যত দিন স্বার্থ রয়েছে, ততদিন "তুমি প্রিয় বন্ধু", যেদিন স্বার্থ শেষ সেদিন "কে ভাই তুমি"...! এমন পরিস্থিতিতে মনের কথা কাউকে যে বলবেন সে উপায় নেই! তবু দেখুন কলেজ-ইউনির্ভাসিটিতে অথবা অফিসে দু-চারজন ঠিক জুটেই যায়, যাদের সঙ্গে কিছুটা হলেও সময় কাটাতে হয়, সেই সঙ্গে কাজের ফাঁকে চায়ের আড্ডা তো আছেই। কিন্তু এমন বন্ধুদের উপর কি ভরসা রাখা যেতে পারে?
ঠিক এই প্রশ্নটারই উত্তর দেওয়া হয়েছে এই প্রবন্ধে। আসলে এই লেখায় সেই সব রাশিগুলির উপর আলোকপাত করা হয়েছে, যাদের আপনি চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারেন। সেই সঙ্গে এমন রাশির সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে, যারা একেবারেই ভরসাযোগ্য নয়। তাই তো বলি বন্ধু, অবিশ্বাসের ফাঁদে পরতে যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধটি পড়ে ফেলতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, যে যে রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর ভরসা রাখা যেতে পারে, তারা হলেন...
১. মকররাশি:
যে ১২ টি রাশি রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে বিশ্বাসযোগ্য হলেন মকররাশির জাতক-জাতিকারা। এরা কাউকে যখন একবার বন্ধু বানিয়ে ফেলন, তখন যে কোনও পরিস্থিতিতেই তার পাশে থাকেন। তাই বিপদে এদের উপর ভরসা রাখতেই পারেন। কারণ যা কিছুই ঘটে যাক না কেন এরা অপনাদের কোনও ভাবেই ঠাকাবেন না। তাই বন্ধু মহলে কেউ যদি মকররাশির হয়ে থাকেন, তাহলে তাকে কোনও দিন হাত ছাড়া করবেন না যেন!
২. কর্কটরাশি:
এরা ইমোশনাল বটে। কিন্তু একই সঙ্গে বেজায় সৎ। তাই তো কর্কটরাশির জাতক-জাতিকাদের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন। প্রসঙ্গত, এই রাশির সবথেকে বড় গুণ হল এরা একবার কাউকে নিজের মনে করে নিলে তার জন্য যে কোনও মূল্য চোকাতে রাজি থাকেন। শুধু তাই নয়, নীতিবান হওয়ার কারণে এরা না কোনও দিন কোনও ভুল কাজ করেন, না খারাপ কাজকে প্রশ্রয় দেন। তাই তো বন্ধু হিসেবে কর্করাশির জাতক-জাতিকাদের যে কোনও বিকল্প নেই, তা তো বলাই বাহুল্য।
৩. তুলারাশি:
এরা যেমন পাগলের মতো ভালবাসতে জানে, তেমনি ভালবাসা পাওয়ার জন্য়ও মুখিয়ে থাকেন। তাই এমন মানুষদের যদি সম্মান করেন, একটু ভালবাসেন, তাহলে এরা আপনার জন্য যে কোনও মূল্য দিতে তৈরি থাকেন। শুধু তাই নয়, কোনও এদেরকে বিশ্বাস করে যদি কোনও কথা বলেন, তাহলে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত এরা তা বুকে আগলে রাখেন। তাই তো বলি বন্ধু, আজকের দিনে যেখানে সবাই ক্ষতি করতে চায়, তেমন পরিস্থিতিতে যদি বিশ্বাসযোগ্য একজন বন্ধু পেতে চান, তাহলে তুলারাশির কাউকে বন্ধ বানাতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, কোন কোন রাশির উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যেতে পারে, তা তো জানলেন। এবার কাদের উপর একেবারেই ভরসা করা চলে না, সে সম্পর্কেও তো জেনে নিতে হবে নাকি...!!!
১. মেষরাশি:
এদের চরিত্রটা বড়ই আজব গোছের। কারণ এরা আগে পিছু না ভেবেই কারও ক্ষতি করে ফেলে। শুধু তাই নয়, কাউকে ঠকানোর পরে এমন ব্যবহার করেন যে দেখে মনে হয় ভাজা মাছটা ওল্টাতেও জানেন না। তাই তো বলি বন্ধ, এমন মানুষদের থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকাই শ্রেয়।
২. মিথুনরাশি:
ঠকানো এদের ধাতে রয়েছে। তাই মিথুনরাশির জাতক-জাতিকাদের থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকাই ভাল। আসলে এরা "ডুয়েল পার্সোনালিটির" হন। এদের মনে একটা কথা থাকে, আর মুখে আরেক। তাই তো এমন মানুষদের আপাত দৃষ্টিতে ভাল মানুষ বলে মনে হলেও এরা কিন্তু আদতে একেবারে বিষাক্ত সাপের মতো হন! তাই বলে যে ব্যতিক্রম নেই, তা নয়। কিন্তু ব্যতিক্রমের খোঁজ করতে গিয়ে যে বিপদে পরবেন না, সে নিশ্চয়তা কে দিতে পারে বলুন!
৩.মীনরাশি:
মিথুনরাশির মতো এদের চরিত্রও একেবারে ভাল নয়। তাই তো এমন মানুষদের উপর ভরসা রাখলে বিপদে পরার আশঙ্কা থাকে। শুধু তাই নয়, এদের চরিত্রের আরেকটা খারাপ দিক হল, এরা কাউকে অপছন্দ করলে মুখে প্রকাশ করেন না। কিন্তু চুপিসারে এমন ক্ষতি করে দেন যে সেই ব্যক্তির জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল ছোট ছোট কারণ এরা কারও উপর খাপ্পা হয়ে গিয়ে ক্ষতি করতে উদ্যত হন। তাই তো বলি বন্ধু, সারা জীবন একা থাকুন ক্ষতি নেই। কিন্তু ভুলেও মীনরাশির জাতক-জাতিকাদের বন্ধু বা জীবনসঙ্গী বানাতে যাবেন না যেন!