Just In
- 40 min ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 2 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 2 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 20 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
Don't Miss
বিনা কষ্টে, শান্তিতে যদি মরতে চান তাহলে এই নিয়মগুলি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!
শাস্ত্রে বলে ভাল কাজ যদি করেন, তাহলে ভাল ফল পাবেই পাবেন! আর সেই ফল যেমন সুখের জীবন হতে পারে, তেমনি হতে পারে আরামের মৃত্যুও।
ট্রেনে-বাসে কান পাতলে অনেককেই বলতে শুনবেন একটা কথা, "ছেলে-মেয়ে স্যাটেল হয়ে গেছে এবার শান্তিতে মরতে পারলে বেঁচে যাই!" অনেকে আবার বলেন, "উফফ আমি চাই ঘুমের ঘোরেই যেন বিনা কষ্টে মরে যেতে পারি!" এমন নানা ইচ্ছা নিয়ে অক্সিজেন ধ্বংস করা মানুষের সংখ্যা নেহাতেই কম নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, সত্যিই কি নিজের মৃত্যু কেমন হবে, তা আমরা নির্ধারণ করতে পারি?
গুণী জনেরা বলেন জন্ম, মৃত্যু এবং বিবাহ নাকি কারও হাতে নেই, যেমন কপাল করে এসেছেন তেমনই ফল পাবেন। কথাটা বাকি দুই ক্ষেত্রে কিছুটা হলে মিলে যায় ঠিকই। কিন্তু আমরা যদি চাই, তাহলে কিন্তু মৃত্যু কেমন ভাবে হবে, তা অনেকাংশেই নির্ধারণ করতে পারি।
বলেন কী মশাই সত্যিই কি এমনটা সম্ভব? একেবারেই! তবে তার জন্য আপনাকে কতগুলি নিয়ম মেনে চলতে হবে, তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে! তাই তো বলি বন্ধু ডেথ বেডে শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে যদি মরতে না চান, তাহলে এই প্রবন্ধে একবার চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল...
১. ভাল কাজ করুন:
শাস্ত্রে বলে ভাল কাজ যদি করেন, তাহলে ভাল ফল পাবেই পাবেন! আর সেই ফল যেমন সুখের জীবন হতে পারে, তেমনি হতে পারে আরামের মৃত্যুও। তাই তো বলি বন্ধু, লোকের ভাল করার চেষ্টা করুন। যেভাবে সম্ভব বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ান। দেখবেন লোকের কষ্ট কমলে আপনার কষ্ট কমতেও সময় লাগবে না।
২. ঘুমনোর অভ্যাস:
শুনতে আজব লাগলেও এই ধরণার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে আমাদের ঘুমনোর অভ্যাসের সঙ্গে আমাদের মৃত্যু কতটা কষ্টের হবে, তা অনেকাংশেই নির্ভর করে থাকে। আসলে বিশেষজ্ঞদের মতে ঠিক সময়ে ঘুমতে গেলে এবং ঠিক সময়ে উঠলে শরীর যেমন চাঙ্গা থাকে, তেমনি জন্ম কুষ্টিতে চাঁদ এবং সূর্যের খারাপ প্রভাব পরার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। আর এমনটা হলে মৃত্যুর সময় কষ্টের ছাপও পরে না শরীরে। কিন্তু যদি দেরি করে ঘুমতে যান, আর দেরি করে ওঠেন, তাহলে কিন্তু একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে। তাই তো বলি বন্ধু ঘুমকে হাল্কা ভাবে নেওয়ার ভুল কাজটি করবেন না যেন!
৩. যৌবনকে কাজে লাগান:
শাস্ত্রে বলে মানব জীবনের গোল্ডেন পিরিয়োড হল যৌবন কাল। তাই এই সময়টাকে যদি ঠিক মতো কাজে লাগাতে না পারেন, তাহলে কিন্তু বিপদ! তাই তো বলি বন্ধু, যৌবনের অমূল্য দিনগুলিকে নেশা-ভাং করে কাটিয়ে দেবেন না, বরং প্রতিটি দিনকে ভাল কাজে লাগান। ভাল কথা ভাবুন, মানুষের উপকার করুন। দেখবেন আপনার মৃত্যুও ভয়ানক হবে না।
৪. মদ্যপান:
আত্মার মুক্তি তখনই শান্তিপূর্ণভাবে হয়, যখন আত্মা আনন্দে থাকে। কিন্তু প্রতিদিন যদি মদ্যপান করেন, তাহলে সেই আনন্দে ঘুঁচে যায় চোখের নিমেষে। আর দুখী আত্মার শেষ সময়ও যে কষ্টপূর্ণ হয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে, তা হল মদ কিন্তু শরীরের উপকারে লাগে না, বরং ভেতর এবং বাইরে থেকে শরীরকে এতটাই খারাপ করে দেয় যে হাজারো রোগ ঘারে চেপে বসে। আর এমনটা হলে মৃত্যু যে একেবারেই সুখের হয় না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
৫. তমসিক খাবার:
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে বেশি মাত্রায় আমিষ বা তমসিক খাবার খেলে শরীরের অন্দরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে একাধিক রোগের আক্রমণ বেড়ে যায়। তাই দীর্ঘ দিন সুস্থভাবে বাঁচতে চাইলে এবং শান্তির মৃত্যু পেতে হলে ভুলেও বেশি মাত্রায় নন-ভেজ জাতীয় খাবার খাবেন না যেন! বরং প্রতিদিনের ডায়েটে সাত্ত্বিক খাবারকে রাখতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!
৬. লোভের জাল ছিঁড়ে বেরতেই হবে:
বাংলায় একটা কথা আছে না, "লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু"। আর জেনে রাখুন বন্ধু এই মৃত্যু কিন্তু মোটেও শান্তির হয় না। তাই সফলতার সিঁড়িতে উঠুন, কোনও ক্ষতি নেই! কিন্তু লোভের খপ্পরে পরবেন না বন্ধু! তাহলেই দেখবেন জীবনটা যেমন সুখে কেটে যাবে, তেমনি শেষ নিংশ্বাসও ত্যাগ করবেন শান্তিতে।
৭. হাসতে ভুলবেন না:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে ভাল কর্ম করলে ভাল ফল পাবেই পাবেন! আর হাসির থেকে ভাল কাজ আর কী হতে পারে বলুন! কারণ আপনি হাসলে শুধু আপানর শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে না, সেই সঙ্গে আশেপাশের প্রতিটি মানুষের দুঃখ দূর হয়। আর কারও দুঃখ দূর করার থেকে ভাল কাজ আর কি কিছু হতে পারে বলুন!