Just In
World Aids Vaccine Day 2022 : কবে, কী ভাবে শুরু হয়েছিল বিশ্ব এইডস ভ্যাকসিন দিবস উদযাপন? জানুন এই দিনটির ইতিহাস
প্রতি দিনই কোনও না কোনও কঠিন রোগের জন্য মৃত্যু হচ্ছে শত শত মানুষের। এই সকল ব্যাধির তালিকায় যেমন ক্যান্সারের মতো রোগ আছে, তেমনই আছে এইডস। HIV ভাইরাস শরীরে একবার প্রবেশ করলে ধীরে ধীরে সমস্ত অঙ্গ বিকল করে দিতে থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে দুর্বল করে দেয়। ফলে এইডস-এ আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বর্তমানে এই রোগ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রতি বছর ১৮ মে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ওয়ার্ল্ড এইডস ভ্যাকসিন ডে। এইডস এবং এই রোগের ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়াই হল এই দিনটির মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু কী ভাবে এই দিনটি উদযাপন শুরু হয়েছিল জানেন? দেখে নিন এই আর্টিকেল থেকে -
বিশ্ব এইডস ভ্যাকসিন দিবস : ইতিহাস এবং তাৎপর্য
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (NIAID) প্রতি বছর ১৮ মে বিশ্ব এইডস ভ্যাকসিন দিবস বা এইচআইভি ভাইরাস অ্যাওয়ারনেস দিবস পালন করে। ১৮ মে পালিত হওয়া এই দিবসটির মূলে রয়েছে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন-এর দেওয়া এক ভাষণ।
জানা যায়, ১৯৯৭ সালে ১৮ মে মরগ্যান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় তৎকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি এই রোগ নির্মূল করার জন্য ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৮ সালের ১৮ মে প্রথম বিশ্ব এইডস ভ্যাকসিন দিবস পালিত হয়। সেই থেকেই এই দিনটি প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে।
এই দিন এইডস রোগ এবং এর ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য নানা অনুষ্ঠান, প্রচারাভিযানের আয়োজন করা হয়। প্রতি বছর এই বিশেষ দিনে একটি থিম রাখা হয়। সচেতনতামূলক প্রচারের অংশ হিসেবে কাজ করে এই থিম। এ দিন সকাল থেকেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে যায় সচেতনতা শিবির। এইডস রোগ থেকে বাঁচতে এবং এই রোগ নির্মূল করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, তার প্রচার চলে।
এইডস কী?
এইচআইভি (HIV) এক ধরনের ভাইরাস। যার পুরো নাম হিউম্যান ইম্যুনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস। AIDS অর্থাৎ Acquired Immuno Deficiency Syndrome, যা এই HIV ভাইরাস থেকে সংক্রামিত হয়। এই রোগে আক্রান্ত মানুষকে এইচআইভি পজিটিভ (HIV+) বলা হয়। এই ভাইরাসের প্রধান কাজ হল, মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অকেজো করে ফেলা। এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তির ইমিউন সিস্টেম একেবারে দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে রোগীর শরীরে অন্যান্য রোগও বাসা বাঁধতে পারে।
রোগের কারণ
বিভিন্ন কারণে এইচআইভি ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে, যেমন -
১) এই রোগে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হলে।
২) নেশার সময় একই সিরিঞ্জের মাধ্যমে অনেকে মাদক গ্রহণের ফলে।
৩) সংক্রমিত ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করা ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, অস্ত্রোপচারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সুস্থ ব্যক্তির দেহে ব্যবহার হলে।
৪) HIV আক্রান্তের মাড়ির ক্ষত ও দেহের ক্ষত থেকে নিঃসৃত লালা এবং রস থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।
এছাড়াও রক্ত, বীর্য, ভেজাইনাল সিক্রিয়েশন, অ্যানাল ফ্লুইড, ব্রেস্ট মিল্ক থেকেও এই ভাইরাস ছড়ায়।