Just In
Don't Miss
ভারতে মহিলা ডেলিভারি এক্সিকিউটিভের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৬৭,৯০০
যুগের অগ্রগতির সাথে সাথে মেয়েরাও নিজেদের সাবলম্বী করে তুলতে সক্ষম হয়েছে। আগেকার দিনের মতো মেয়েরা এখন কারোর ওপর ভরসা করে না। তারা একাই একশো। পুরুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারাও সমান কাজ করে চলেছে। এখন যেকোনও কাজেই মেয়েরা আগে এগিয়ে আসছে।
বাইকে করে বিভিন্ন পার্সেল সরবরাহ করতে আমরা ছেলেদের দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু, বর্তমান সমীক্ষা বলছে এই সংক্রান্ত কর্মসংস্থানে বিপুলাংশে বেড়েছে মহিলাদের যোগদান। অনেক অনলাইন সংস্থা আছে যারা পণ্য সরবরাহের জন্য প্রচুর মহিলা নিয়োগ করছে। সুইগি এবং জোম্যাটো ইতিমধ্যেই প্রচুর মহিলা নিয়োগ করেছে ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ হিসেবে। মহিলারাও নিজের ইচ্ছায় এই পেশাকে বেছে নিচ্ছেন। এমনকী, কিছু মহিলা তাদের ন'টা পাঁচটার অফিসের চাকরি ছেড়ে এইসব দিকে বেশি ঝুঁকছে।
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি ডেলিভারি সংস্থায় ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করেন প্রায় ১০ লাখ কর্মচারী। যার মধ্যে ৬৭,৯০০ জনই হলেন মহিলা। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২০-২০২১ এর মধ্যে কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৭৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
খাবার ডেলিভারি সংস্থা জোম্যাটোর মুখপাত্র জানিয়েছেন, বড় বড় শহরের পাশাপাশি ছোট শহরগুলিতেও মহিলা ডেলিভারি এক্সিকিউটি ভের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক মহিলা আছেন যারা এই পেশায় আগ্রহী, কিন্তু, বাইক চালাতে পারেন না, তাদের জন্য সাইকেলের ব্যবস্থা আছে।
জোম্যাটোর ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ রিনা গুপ্তা জানিয়েছেন, পরিস্থিতির চাপে পড়েই এই কাজে যোগ দিতে হয়েছিল তাঁকে। স্বামীর চাকরি চলে যাওয়ার পর হাতের সামনে কোনও কাজ না পেয়েই তিনি এই কাজে যোগ দেন। এখন দিনে প্রায় ২০ টা করে অর্ডার সাপ্লাই করেন এবং সপ্তাহে প্রায় ছ'হাজার টাকার বেশি আয় করেন।
এই কাজের সবথেকে ভালো দিক হল, নিজের কাজের সময় ঠিক করার স্বাধীনতা, নিজস্ব লক্ষ্য নির্ধারণ এবং সেই অনুযায়ী ভালো বেতন পাওয়া। যারা নতুন মানুষদের সাথে কথা বলতে, দেখা করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এটি যথাযথ কাজ।
ডিজিটাইজেশন মহিলাদের কাজের ক্ষেত্রে নতুন পথ দেখিয়েছে। কিন্তু, কম্পানিগুলি সবসময়ই তাদের সুরক্ষার কথা মাথায় রাখে। ডেলিভারি সংস্থা সুইগি জানিয়েছে, তারা প্রায় ৭০০ 7মহিলাকে ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ হিসাবে নিয়োগ করেছিল। তাই, তারা ২০টিরও বেশি শহরে মহিলাদের জন্য বিশেষভাবে 'সেফ জোন' তৈরি করেছে।
তথ্যসূত্র: Times of India