Just In
- 2 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 3 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 7 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 8 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
রাত্রি ৩ টের সময় একা একা বাড়ির বাইরে বা অন্ধকার জায়গায় যাওয়া উচিত নয় কেন জানেন?
শুনে হয়তো বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু হিন্দু শাস্ত্রের পাশাপাশি খ্রিস্ট ধর্মেও একথার উল্লেখ পাওয়া যায় যে রাত ৩ টের সময় আমাদের চারিপাশে ভূত-প্রেতেদের প্রকোপ মারাত্মতভাবে বেড়ে যায়।
শুনে হয়তো বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু হিন্দু শাস্ত্রের পাশাপাশি খ্রিস্ট ধর্মেও একথার উল্লেখ পাওয়া যায় যে রাত ৩ টের সময় আমাদের চারিপাশে ভূত-প্রেতেদের প্রকোপ মারাত্মতভাবে বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, কিছু বইয়ে তো এমনটাও দাবি করা হয়েছে যে যম রাজের দূতেরা ঠিক এই সময়ই নিজেদের কাজে লেগে পরেন। তাই তো একটু এদিক সেদিক হলেই মারাত্মত ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
প্রসঙ্গত, খেয়াল করে দেখবেন খারাপ স্বপ্ন দেখার কারণে ঘুম ভেঙে যাওয়ার ঘটনাও রাত ৩ টের আশেপাশেই ঘটে থাকে। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গৃহস্থের অন্দরে যখন খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটে, তখন আমাদের চারিপাশের পরিবেশ বদলে যেতে শুরু করে। এমনকী ব্রেনের অন্দরেও পরিবর্তন হতে থাকে, যার প্রভাবে খারাপ স্বপ্ন আসতে থাকে। এক্ষেত্রে আরেকটি ধরণাও আছে। আসলে বিজ্ঞানমনস্ক অনেকে এমনটা মনে করেন যে রাতের এই নির্ধিষ্ট সময়ে আমরা গভীর ঘুমে থাকি। আর স্বপ্ন সাধারণত ডিপ স্লিপে থাকাকালীনই এসে থাকে। তাই হয়তো কোনও কোনও সময় খারাপ স্বপ্ন দেখ ঘুম ভেঙে গেলে ঘড়ির কাঁটা তখন তিন ছুঁইছুই করে।
একথা ঠিক যে এই ধরণা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। কিন্তু একথা মেনে নিতেই হবে যে এক সঙ্গে এত মানুষ ভুল হতে পারেন না। আর পজেটিভ শক্তির পাশাপাশি পরিবেশে খারাপ শক্তিও যে রয়েছে, সে কথা তো আর অস্বীকার করা সম্ভব নয়! তাই তো বলি বন্ধু নিজের খারাপ যদি না চান, তাহলে ভুলেও রাত ৩ টের সময় অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে বেরবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরও যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল...
১. সকাল ৩-৪ টে:
কেবল মাত্র রাত ৩ টের সময় যে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে থাকে, এমন নয়। আসলে এমনটা বিশ্বাস হয় যে ভূত-প্রেতের দাপাদাপি ৩ টে থেকে ৪ টে পর্যন্ত চলে। তাই তো দিনের এই সময়টিকে "ডেভিলং আওয়ার" বলা হয়ে থাকে। এবার বুঝেছেন তো কেনএই এক ঘন্টা বেজায় সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
২. যিশুর মৃত্যু:
বেলা ৩ টের সময় যিশুকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। যে সময়টি আজ দিনের সবথেকে পবিত্র সময় হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে যাকে। আর এর ঠিক ১২ ঘন্টা পরেই আসে দিনের সবথেকে ভয়ঙ্কর সময়, যখন আমাদের আশেপাশে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা চরমে গিয়ে পৌঁছায়। এই কারণেই তো খারাপ স্বপ্ন আসতে শুরু করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত, বাস্তু বিশেষজ্ঞরা এমনটা বিশ্বাস করে থাকেন যে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটলে একদিকে যেমন সুখ-শান্তি দূরে পালায়, তেমনি অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যায় বেড়ে। তাই তো বন্ধু, প্রতিদিন রাতে শুতে যাওযার আগে বিছানার নিচে বা বেডরুমে একটা পাত্রে একটা পাতি লেবু রেখে দেবেন। এমনটা করলে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা কমতে শুরু করবে। ফলে কোনও ক্ষরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যাবে কমে।
৩. বলিদানের সময়:
এই ধরনাটি কতটা সত্যি সে বিষয়ে জানা না গেলেও অনেকে বিশ্বাস করেন যে রাত ৩-৪ টে, এই সময় সবথেকে বেশি মাত্রায় পশু বলি হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, তন্ত্র সাধনাও ঠিক এই মুহূর্তেই করে থাকেন সাধুরা। তাই তো দিনের এই নির্দিষ্ট সময়ে নেগেটিভ শক্তির জাগরণ এত মাত্রায় ঘটে থাকে।
৪. সিনেমার প্রভাব:
রাত ৩টে যে বেজায় খারাপ সময় এই ধরণাটিকে আরও শক্তপোক্ত করেছে "দা কনজিউরিং" এর মতো সিনেমা। খেয়াল করে দেখবেন ছবিটিতে দেখানো হয়েছে রাত ৩ টের সময় ঘড়ির কাঁটা থমকে যাওয়া মাত্র বদলে যাচ্ছে বাড়ির পরিবেশ। বাস্তবে সিনেমার মতো না হলেও আমাদের বেড রুমেও নেগেটিভ শক্তির এমন খেলা যে চলতে থাকে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
৫. ঘুমতে যেতে দেরি করবেন না:
কোনও কারণে যদি এই সময়ে ঘুম ভেঙে যায়। তাহলে বেশিক্ষণ জেগে থাকবেন না। বরং সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পরার চেষ্টা করবেন। আসলে এমনটা করলে খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটে যেতে পারে কিন্তু!
৬. কালো যাদুর প্রভাব:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দিনের এই নির্দিষ্ট সময়ে খারাপ শক্তির মাত্রা যেহেতু বেড়ে যায়, তাই এই সময় কেউ যদি কালো যাদুর সাহায্যে ক্ষতি করতে চায়, তাহলে আপনার মারাত্মক বিপদ ঘটে যেতে পারে। তাই তো সাবধান থাকতে হবে। প্রয়োজনে একটা লেবু তিন টুকরো করে বাড়ির তিন কোনায়, বিশেষত সদর দরজার সামনে রেখে দিতে হবে। এমনটা করলে খারাপ শক্তির প্রবেশ আটকে যাবে। ফলে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার সম্ভবনা কমবে।