Just In
- 15 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 16 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 20 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 21 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
সপ্তাহের কোন দিন কোন রঙের জামা-কাপড় পরলে গুড লাক সঙ্গ নেয় জানা আছে?
জ্য়োতিষশাস্ত্রেই যে শুধু এমনটা দাবি করা হয়েছে, এমন নয়! থাইল্যান্ড এবং কাম্বোডিয়ায় মানুষেরাও একথা বিশ্বাস করেন যে সপ্তাহের প্রতিটি দিনের সঙ্গে কানও না কোনও রঙের যোগ রয়েছে।
জ্যোতিষশাস্ত্রেই যে শুধু এমনটা দাবি করা হয়েছে, এমন নয়! থাইল্যান্ড এবং কাম্বোডিয়ায় মানুষেরাও একথা বিশ্বাস করেন যে সপ্তাহের প্রতিটি দিনের সঙ্গে কানও না কোনও রঙের যোগ রয়েছে। তাই তো সেই বিশেষ দিনে যদি সেই বিশেষ রঙের কাপড় পরা যায়, তাহলে গুড লাক সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর এমনটা হলে চরম সফলতার স্বাদ পেতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! শুধু তাই নয়, শুভ শক্তির প্রভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো বলি বন্ধু অল্প সময়ে যদি অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধটিতে তোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
তাহলে এখন প্রশ্ন হল, ওয়ার্ডরবকে দিনের হিসেবে কীভাবে সাজিয়ে তুলতে হবে?
১. রবিবার:
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে রবিবার বল রবি ঠাকুরের দিন। আর তাঁর প্রিয় রং হল লাল। তাই এদিন সম্ভব হলে লাল রঙের জামা-কাপড় পরতে ভুলবেন না যেন! আর সেই সঙ্গে যদি সকাল সকাল উঠে স্নান সেরে লাল ফুল নিবেদন করে সূর্য দেবের আরাধনা করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! কারণ সেক্ষেত্রে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে সুখের ঝাঁপি খালি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
২. সোমবার:
সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন হল দেবাদিদেব শিবের দিন। তাই তো এদিন সাদা রঙের ফুল দিয়ে যেমন দেবের আরাধন করা হয়, তেমনি সাদা রক্ষের পোশাক পরারও পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে আরেকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। তা হল সোমবার হল চাঁদের দিন। তাই তো এদিন ইচ্ছা হলে সাদার পাশাপাশি হলুদ রঙের জামা-কাপড় যেমন পরতে পারেন, তেমনি রূপালী, হালকা গ্রে অথবা নীল রঙের পোশাকও নির্বাচন করলেও কোনও ক্ষতি নেই!
৩. মঙ্গলবার:
সপ্তাহের এই দিনটিতে শ্রী হনুমানের পুজো করা হয়ে থাকে। তাই তো এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এদিন হনুমানজির পুজো করার পাশাপাশি যদি লাল রক্ষের জাম-কাপড় পরা যায়, তাহলে দারুন সব সুফল মেলে। এক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা, তা অর্থনৈতিক হোক, কী কর্মক্ষেত্র সম্পর্কিত, মিটে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি সামাজিক সম্মানও চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। তবে এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে, তা হল মঙ্গলবার হল মঙ্গল গ্রহেরও দিন। তাই তো মঙ্গলের প্রভাব কমাতে এদিন গোলাপী রঙের জামা পরতে বলা হয়। প্রসঙ্গত, যাদের কুষ্টিতে মঙ্গল দোষ রয়েছে, তাদের তো এদিন গোলাপী রঙের পোশাক পরা মাস্ট!
৪. বুধবার:
সবুজ রঙের জামা-কাপড় হতে হবে বুধবারের চয়েজ। কারণ সপ্তাহের এই বিশেষ দিনটি গৌতম বুদ্ধের দিন। আর সবুজ রং ছিল বুদ্ধ দেবের প্রিয় রং। তাই তো এদিন এই রঙের কিছু সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে অনেকে বুধবারকে বৃহস্পতিগ্রহের দিন হিসেবেও গণ্য করা হয়ে থাকে। আর মজার বিষয় হল সবুজ রঙের জামা-কাপড় পরলে এই গ্রহটিও বেজায় প্রসন্ন হয়। আর একবার আপনার কুষ্টিতে বৃহষ্পতি গ্রহের শক্তি বাড়তে শুরু করলে পকেট টাকায় ভরে উঠতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়।
৫. বৃহষ্পতিবার:
ভগবান বিষ্ণুর দিন হল বৃহষ্পতিবার। আর কমলা এবং হলুদ রং হল সর্বশক্তিমানের অন্যতম প্রিয় রং। তাই তো এদিন এই রঙের জামা-কাপড় পরলে লর্ড বিষ্ণু বেজায় প্রসন্ন হন। আর একবার দেব প্রসন্ন হলে মা লক্ষ্মীরও আগমণ ঘটে। ফলে জীবনে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না।
৬. শুক্রবার:
পরিবারের অন্দরে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা নানাবিধ সমস্যাকে মেটানোর পাশাপাশি লোকের কু-নজর থেকে বেঁচে থাকতে যদি চান, তাহলে সপ্তাহের এদিন নীল অথবা সাদা রঙের জামা কাপড় পরতে ভুলবেন না যেন! কারণ শুক্রবার হল মা দূর্গার দিন। আর দেবীর সাদা এবং নীল রং বেজায় প্রিয়। প্রসঙ্গত, হিন্দু শাস্ত্রে অনুসারে মা দূর্গার আশীর্বাদ লাভ করলে জীবন সুখে-শান্তিতে ভরে ওঠে। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ আটকে যায়। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
৭. শনিবার:
সপ্তাহের একেবারে শেষ দিনটি হল শনিদেবের দিন। তাই তো দেবকে প্রসন্ন করতে এদিন কালো, গ্রে, পর্পেল অথবা ইন্ডিগো কালারের কোনও একটা বেছে নিতে হবে, আর সেই মতো জামা-কাপড় পরতে হবে। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শনিদেবকে একবার খুশি করতে পারলে জীবন পথে চলতে চলতে কোনও ধরনের দুঃখ-কষ্টের সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতেও সময় লাগে না।