Just In
জানেন কি বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে প্রথম দিন নববধূর মনে কী ধরনের ভাবনা আসে?
প্রতিটি মেয়ের জীবনেই 'বিবাহ' একটি খুব বিশেষ দিন, এই দিনটার পর থেকে অনেকটাই বদলে যায় মেয়েদের জীবন। প্রত্যেকটি মেয়েরই বিয়ে নিয়ে অনেক স্বপ্ন, পরিকল্পনা থাকে। বিয়ের দিন নিজেকে যাতে সবথেকে সুন্দর দেখায় এবং সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান যাতে ঠিক করে হয়, সেই জন্য বিবাহের অনেক আগে থেকেই চলে প্রস্তুতি পর্ব। বিয়ের পরে নতুন জায়গা, নতুন বাড়ি, নতুন মানুষজন, নতুন পরিচয় এই সবকিছু নিয়েই শুরু হয় নতুন যাত্রা।
কিন্তু আপনি কি জানেন যে বিয়ে, বৌভাত শেষের পর শ্বশুরবাড়িতে প্রথম দিন নতুন বধুর মনে কী ধরনের ভাবনা আসে? আসুন জেনে নেওয়া যাক এ সম্পর্কে।
গয়না ও পোশাক থেকে মুক্তি
বিয়ের জন্য অনেকটা সময়ই ভারী পোশাক ও গয়না পরে থাকতে হয়, তাই প্রত্যেক মেয়েই পোশাক ও গয়নার ওজন বহন করতে করতে অধৈর্য হয়ে পড়ে। তাই বিয়ে, বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর তারা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে এবং এটা ভেবেও খুশি হয় যে, এখন আর তাকে চড়া মেকআপ করতে হবে না।
সারাক্ষণ হাসি মুখ করে থাকা থেকে মুক্তি
গোটা বিবাহের অনুষ্ঠান জুড়ে কনে বা নববধুই সবচেয়ে বেশি আত্মীয়-স্বজনদের নজর কাড়েন। আর, ক্যামেরাম্যানও সবসময় কনের দিকেই ক্যামেরা তাক করে রাখে। ফলে, সারাক্ষণই মুখে হাসি ফুটিয়ে রাখতে হয়। তবে, বিয়ে শেষ হওয়ার পরে কনে এসব থেকে মুক্তি পায়।
মেয়েদের মধ্যে যে বৈশিষ্ট্যগুলি দেখে আকৃষ্ট হয় ছেলেরা
বডি ম্যাসাজ
বিয়ের দিনগুলিতে গুরুজনদের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য ঝুঁকে প্রণাম করতে করতে নববধুর কোমরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, প্রতিটি মেয়ে ব্যাক ম্যাসাজ সম্পর্কে চিন্তা করে, যাতে কিছুটা ফ্রেশ বোধ হয়।
ঘর ভর্তি উপহার
বিয়ে উপলক্ষ্যে দম্পতিরা প্রচুর উপহার পান। নববধু সেই উপহারগুলি দেখার অপেক্ষায় থাকেন এবং সর্বপ্রথমে তার বন্ধুদের দেওয়া উপহারগুলি খুঁজতে শুরু করেন।
নিজের ঘর থেকে বেরোনোর জন্য প্রস্তুত হওয়া
একটি মেয়ের জন্য শ্বশুরবাড়ি সম্পূর্ণ নতুন জায়গা। এটা তার নিজের বাবার বাড়ি নয় যে, নাইট ড্রেসেই ঘরের বাইরে বেরিয়ে যাবে। তাই, নিজের ঘর থেকে বাইরে পা বাড়ানোর সময়ও প্রস্তুত হওয়ার কথা চিন্তা করেন। শাড়ি, চুল ঠিক আছে কিনা তা চেক করেই প্রতিটি নববধূ বাইরে বেরোয় এবং যাতে কিছু গোলমাল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখে।
হানিমুনের পরিকল্পনা
বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার সাথে সাথেই মেয়েরা হানিমুনের কথা ভাবতে শুরু করে, যাতে সঙ্গীর সাথে আলাদা সময় কাটাতে পারে।
রান্নাঘরের কাজ
নিজের বাড়িতে রান্নাঘরে না গেলেও, বিয়ের পরের দিন প্রত্যেকটি মেয়েই ভাবতে শুরু করে যে সে কীভাবে শ্বশুরবাড়ির সবার জন্য খাবার রান্না করবে।