Just In
- 4 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 6 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 7 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 24 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
জানেন কি বন্ধু আপনার জন্ম সালের শেষ অক্ষর দেখে জেনে যাওযা সম্ভব আপনার চরিত্র সম্পর্কে!
একটা কাগজে আপনার জন্ম সালটা লিখে ফেলে এই প্রবন্ধে চোখ রেখে জেনে ফেলুন আপনার চরিত্রের সেই সব দিকগুলি সম্পর্কে যে সম্পর্কে হয়তো আপনি নিজেও জানেন না।
জানি বন্ধু শুনতে হয়তো একটু আজব লাগছে! তবে বাস্তবিকই এমনটা করা সম্ভব কিন্তু! তাই তো বলি বন্ধু একটা কাগজে আপনার জন্ম সালটা লিখে ফেলে এই প্রবন্ধে চোখ রেখে জেনে ফেলুন আপনার চরিত্রের সেই সব দিকগুলি সম্পর্কে যে সম্পর্কে হয়তো আপনি নিজেও জানেন না।
সংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তাদের মতে সারা জীবনে যা যা ঘঠনা ঘটে থাকে, তার সবকটার সঙ্গে কোনও না না কোনও সংখ্যার যোগ থাকে, যে সম্পর্কে আমরা সেভাবে খোঁজই রাখি না। কিন্তু যদি রাখা যায়, তাহলে কিন্তু জীবন সংক্রান্ত অনেক অজানা কথার সন্ধান মিলতে সময় লাগে না। এখন প্রশ্ন হল জন্ম সালের শেষ সংখ্য়া দেখে কীভাবে কোনও মানুষের চরিত্র সম্পর্কে জেনে যাওয়া সম্ভব?
শেষ সংখ্যা ১:
যাদের জন্ম সালের শেষ অক্ষর ১ হয়, তারা কোনও কিছুতেই হার সহ্য করতে পারেন না। তাই তো এমন মানুষেরা কর্মক্ষেত্রে থেকে পরিবারিক জীবন, সবক্ষেত্রেই নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য সদা প্রস্তুত থাকেন। শুধু তাই নয়, এরা বেজায় উচ্চাকাঙ্ক্ষীও হয়ে থাকেন। তাই তো সারাক্ষণ নিজের কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত থাকেন যে পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের একেবারে সময়ই দিয়ে উঠতে পারেন না।
শেষ সংখ্যা ২:
এরা বেজায় আজব ধরনের মানুষ হয়ে থাকেন। কেন এমন কথা বলছি তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে এরা যাদের ভালবাসেন, তাদের সঙ্গে যেমন ব্যবহার করেন, তেমন ব্যবহার কিন্তু বাকিদের সঙ্গে করেন না। এক কথায় এরা ডুয়েল পার্সোনালিটির হয়ে থাকে। তাই এদের ভাললাগা -মন্দলাগা সম্পর্কে খুব কম সংখ্যক মানুষই জেনে উঠতে পারেন!
শেষ সংখ্যা ৩:
এরা সারা জীবন দোটানার মধ্যে থাকেন। কারণ কোন পরিস্থিতিতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, সে সম্পর্কে এরা একেবারেই বুঝে উঠতে পারেন না। তাই তো সারা জীবন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কারও না কারও কথা শুনে এদের পা ফেলে থাকেন। আর এমনটা করার কারণে অনেক সময়ই যে বিপদে পরার আশঙ্কা বেড়ে যায়, তা কি আর বলে দিতে হবে!
শেষ সংখ্যা ৪:
যাদের জন্ম সালের শেষ অক্ষর ৪ হয়, তারা নিজেদের ভাল-মন্দ সম্পর্কে সদা খোঁজ রাখেন। তাই তো কোন সময়, কী করলে সাফলতা আসতে পারে, সে সম্পর্কে এদের থেকে ভাল কেউ জানেন না। প্রসঙ্গত, অনেকেই বলে থাকেন যে নিজেকে বুঝতে একটা জীবন কম পরে যায়। কিন্তু এদের ক্ষেত্রে এই কথাটি একবারেই খাটে না।
শেষ সংখ্যা ৫:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মানুষের চরিত্র যত ধরনের হতে পারে, সেই সব লক্ষণ এদের মধ্যে দেখা যায়। আর্থাৎ এরা যেমন রাগী, তেমন শান্ত। শুধু তাই নয়, যেমন মানুষের সঙ্গে মিশতে ভালবাসেন, তেমনিই একা থাকতেও ভালবাসেন। তাই তো সংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তারা এমন মানুষদের একই সঙ্গে আগুন, জল, মাটি এবং বায়ুর সঙ্গে তুলনা করে থাকেন।
শেষ সংখ্যা ৬:
এরা বেজায় হাসি-খুশি গোছের হয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, অচেনা মানুষদের সঙ্গে মিশতে এরা বেজায় পছন্দ করেন। কিন্তু এদের চরিত্রের একটা খারাপ দিকও রয়েছে। তা হল, এরা নিজেদের ভালবাসার মানুষদের নিয়ে বেজায় পজেসিভ হন, তাই তো পছন্দের মানুষটির কেউ যদি ক্ষতি করতে চান, তাহলে যে কোনও মাত্রায় গিয়ে সেই মানুষটির ক্ষতি করতেও এরা পিছপা হন না।
শেষ সংখ্যা ৭:
এরা যেমন হাসি-খুশি, তেমনি বেজায় এনার্জেটিকও বটে। তাই তো পছন্দের কোনও কাজ পেয়ে গেলে এদের মধ্যে ক্লান্তির রেশ মাত্র দেখা যায় না। শুধু তাই নয়, হাসি-খুশি স্বভাবের হওয়ার কারণে এমন মানুষদের বন্ধুর সংখ্যা নেহাতই কম হয় না। তবে এদের চরিত্রের আরেকটি দিকও আছে। তা হল এরা নিজেদের হাসির এমনভাবে নিজের দুঃখে লুকিয়ে ফেলেন যে কারও পক্ষেই সেই দুঃখের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।
শেষ সংখ্যা ৮:
এরা বেজায় ভাবুক প্রকৃতির হয়ে থাকেন। তাই তো সারাক্ষণ নিজের কল্পনার জগতে থাকতেই ভালবাসেন। তবে এমন প্রকৃতির হওয়ার কারণে এমন মানুষেরা ক্রিয়েটিভ ফিল্ডে দারুন সাফল হন।
শেষ সংখ্যা ৯:
"পারফেকশনিস্ট", এই শব্দটির সঙ্গে আপনার চরিত্রের বেজায় মিল রয়েছে। কারণ আপনি সব কাজই নিখুঁতভাবে করতে ভালবাসেন। শুধু তাই নয়, যে কাজই করুন না কেন, তা কতটা সুন্দরভাবে করা যেতে পারে সে বিষযে সারাক্ষণ আপনি ভেবে থাকেন। তাই তো জীবনে সফলতার স্বাদ পেতে এদের কেউ আটকাতে পারে না।
শেষ সংখ্যা ১০:
যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এদের। তবে এমন মানুষের চরিত্র অনেক গিরগিটির মতে হয়ে থাকে। অর্থাৎ নিজের স্বার্থে নিমেষে রং বদলে ফেলতে এদের জুড়ি মেলা ভার। এই কারণেই তো এমন মানুষদের থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকাই উচিত। কারণ এরা নিজেদের ছাড়া কারও সম্পর্কে ভাবতে একেবারেই প্রস্তুত থাকেন না।