Just In
জানেন কি আব্রাহাম লিঙ্কন এবং জন এফ কেনেডির মৃত্যু হয়েছিল কিছু সংখ্যার কারণে!
ইতিহাস ঘাঁটলে জানতে পারবেন আব্রাহাম লিঙ্কন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ১৮৬০ সালে। এর ঠিক ১০০ বছর পরে, ১৯৬০ সালে আমেরিকার মসনদে বসেছিলেন জন এফ কেনেডি।
সংখ্যা। কিছু সংখ্যার কারণে নাকি মৃত্যু হয়েছিল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সবথেকে জনপ্রিয় দুই রাষ্ট্রনায়ক, আব্রাহাম লিঙ্কন এবং জন এফ কেনেডির। একেবারেই ঠিক শুনেছেন। ভাগ্যের দোষেই বলুন, কী অন্য় কোনও কারণে, সংখ্যার গোলক ধাঁধায় ফেঁসে গিয়েছিলেন দুজন, যা তাদের জীবনটাই বদলে দিয়েছিল।
লিঙ্কন এবং কেনেডির মধ্যে কী মিল ছিল জানেন? দুজন রাষ্ট্রনায়ককেই নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল এবং মৃত্যুর সময় উভয়ই জনবহুল এলাকায় ছিলেন। এখানেই শেষ নয়, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আরও অনেক ক্ষেত্রেই এই দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে মিল পাওয়া যায়, এই মিল সংখ্যাতত্ত্বের, যা বাস্তবিকই অবিশ্বাস্য!
বিখ্যাত সংখ্যাতত্ববিদ ডাঃ আই জে ম্যাট্রিক্স বিশ্বাস করতেন আমাদের জন্ম-মৃত্যু, এমনকি জীবনে ঘটে চলা ছোট থেকে ছোট ঘটনার সঙ্গেও সংখ্যার যোগ রয়েছে, যা আমরা খেয়ালই করি না। কিন্তু সংখ্যাকে বাদ দিয়ে আমাদের জীবনের কোনও অস্তিত্বই নেই। তাঁর কথায় প্রথমটায় কেউ আমলই দেয়নি। ভেবেছিল এক উন্মাদ বিজ্ঞানী নিজের খেয়ালে বকে চলেছে। কিন্তু যেদিন লিঙ্কন এবং কেনেডির মৃত্যুর পিছনে লুকিয়ে থাকা সংখ্যার রহস্যকে তিনি উদঘাটন করেছিলেন, সেদিন সারা বিশ্ব অবাক হয়ে গিয়েছিল। সত্যিই এমনটা সম্ভব!
ডাঃ ম্যাট্রিক্স ও তাঁর তত্ত্ব:
ভাল করে খেয়াল করবেন বন্ধুরা তবেই কিন্তু সংখ্যার খেলাটা বুঝতে পারবেন। ইতিহাস ঘাঁটলে জানতে পারবেন আব্রাহাম লিঙ্কন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ১৮৬০ সালে। এর ঠিক ১০০ বছর পরে, ১৯৬০ সালে আমেরিকার মসনদে বসেছিলেন জন এফ কেনেডি।
Image Courtesy
নামের অক্ষর একই:
LINCOLN=৭ এবং KENNEDY= ৭। দেখুন দুজনেরই নামের অক্ষর সাতটি।
Image Courtesy
দুজনের উত্থান ছিল একই রকম:
১০০ বছরের ব্যবধান ছিল ঠিকই। কিন্তু আমেরিকার দুই প্রেসিডেন্টেরই রাজনৈতিক জীবনের উত্থান ঘটেছিল সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষদের হয়ে লড়াই করার মধ্যে দিয়ে। বিশেষত নিগ্রোদের সামাজিক অধিকার পাইয়ে দেওয়ার লড়াইয়ে লিঙ্কান এবং কেনেডির অবদানকে কোনও দিন ভুলতে পারবে না আমেরিকার ইতিহাস।
Image Courtesy
শুক্রবার:
লিঙ্কন এবং কেনেডি দুজনেই মারা গিয়েছিলেন শুক্রবার এবং দুজনেরই মৃত্যুর সময় সঙ্গে ছিলেন তাঁদের স্ত্রী।
সন্তানের জন্ম এবং মৃত্যু:
উভয় প্রসিডেন্টই ক্ষমতায় থাকাকালীন নিজের সন্থানকে হারিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, দুজনেরই ছেলে সন্তান মারা গিয়েছিল।
Image Courtesy
একটা গুলি একটাই জায়গা:
প্রসেডেন্ট লিঙ্কন এবং প্রেসিডেন্ট কেনেডি দুজনকেই পিছন থেকে মাথায় গুলি করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, আঘাতের জায়গাও ছিল এক।
Image Courtesy
গাড়ি আর থিয়েটার:
একটি অনুষ্টান চলাকালীন খুন করা হয় আব্রাহাম লিঙ্কনকে। অনুষ্টানটা চলছিল ফোর্ড থিয়েটারে। আজব ব্যাপার দেখুন যখন কেনেডিকে খুন করা হয় তখন তিনি যে গাড়িতে ছিলেন সেই গাড়ির নাম ছিল লিঙ্কন কনভার্টেবল। আর গাড়িটির তৈরি করেছিল ফোর্ড কোম্পানি। খেয়াল করলেন কীভাবে মিলে গেল দুই প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর স্থান।
Image Courtesy
উত্তরসূরির নামও এক:
লিঙ্কনের মৃত্যুর পর মসনদে বসেছিলেন অ্যান্ড্র জনসন, যিনি জন্ম গ্রহন করেছিলেন ২৯ ডিসেম্বর, ১৮০৮ সালে। আর কেনেডির মৃত্যুর পর শাসনভার গিয়েছিল ভাইস প্রসিডেন্ট লিন্ডন জনসনের হাতে। আর তাঁর জন্ম হয়েছিল ২৭ অগাস্ট ১৯০৮ সালে। দখুন নামও এক, আর দুজনের জন্ম হয়েছিল ঠিক ১০০ বছর পর।
Image Courtesy
আপ্ত সহায়কের নামেও ছিল অজব মিল:
লিঙ্কনের প্রাইভেট সেক্রেটারির নাম ছিল জন (জন নিকোলাই)। আর কেনেডির প্রাইভেট সেক্রেটারির টাইটেল ছিল লিঙ্কন।
Image Courtesy
দুজনের খুনিরই জন্মও হয়েছিল ১০০ বছরের ব্যবধানে:
লিঙ্কনের হত্যাকারি জন বুথ জন্ম নিয়েছিলেন ১৮৩৯ সালে। আর কেনেডির হত্যাকারি লি হার্ভে অসওয়াল্ড জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ১৯৩৯ সালে। খেয়াল করে দেখুন ঠিক ১০০ বছর বাদে। এখানেই শেষ নয়, দুই প্রেসিডেন্টের হত্যাকারিরই সাজা পাওয়ার আগে মৃত্যু ঘটেছিল। শুধু তাই নয়, দুজন হত্যাকারীরই নাম ১৫ অক্ষরের ছিল। JOHN WILKES BOOTH =১৫। LEE HARVEY OSWALD = ১৫।
Image Courtesy
মৃত্যুর পরেও মিল রয়েছে:
জন বুথ, থিয়েটারে ঢুকে লিঙ্কনকে মারার পর একটা কারখানায় গিয়ে লুকিয়ে পরেছিলেন। আর কেনেডিকে হত্যা করার জন্য অসওয়াল্ড গুলি চালিয়েছিল একটা কারখানা থেকে। আর প্রান বাঁচাতে পালিয়ে গিয়েছিল একটা থিয়েটারে। কী আজব মিল দেখুন!
Image Courtesy
সংখ্যা মিলছে শব্দে গিয়ে:
১৯৬৩ সালে ২২ নভেম্বর হত্যা করা হয়েছিল আমেরিকার ৩৫ তম প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে। এবার খেয়াল করুন ২২ তারিখ, মাস ১১। যোগ করুন। যোগ ফল দাঁড়াবে ৬ (২+২+১+১)। শুক্রবার প্রেসিডেন্টকে মারা করা হয়েছিল। friday= ৬ টা শব্দ। কেনেডি মারা যাওয়ার পর খুনিকে ধরতে ময়দানে নামে এফ বি আই। এবার FBI, অর্থাৎ F থেকে ছটা অক্ষর পর, B থেকে ছটা অক্ষর পর এবং I থেকে ছটা অক্ষর পর কী কী অক্ষর আসে খেয়াল করুন। L,H এবং O। কেনেডিকে যিনি হত্যা করেছিলেন তার নামের প্রথম অক্ষরও ছিল L,H এবং O। LEE HARVEY OSWALD। এখানেই শেষ নয়, যে কারখানা থেকে গুলি চালানো হয়েছিল তার ষষ্ঠতম ফ্লোরে ছিলেন অসওয়াল্ড।
Image Courtesy
ডলারেও লেগেছে খুনের রক্ত:
কেনেডি হত্যার দু মাস আগে আমেরিকার ট্রেজারি ডাপার্টমেন্ট "K" সিরিজের নতুন একটা ডলার বাজারে আনে। যেখানে কেনেডির হত্যা করা হয়েছিল সেই ডেলাস শহর, ফেডারেল রিজার্ভ ডিস্ট্রিকের তালিকায় ১১ নম্বরে আসে। ইংরেজি বর্নমালায় K হল ১১ তম অক্ষর। এখানেই শেষ নয়, আরও মিল আছে। কেনেডির নামে রয়েছে ১১ টা অক্ষর। আর যে নোটটা বাজারে এসেছিল লক্ষ করুন তার সিরিয়াল নাম্বার ছিল শুরু হয়েছিল "কে" দিয়ে, আর শেষ হয়েছিল "এ" দিয়ে। অর্থাৎ "kennedy assassination"। আর সিরিয়াল নাম্বারের নিচেই লেখা ছিল "ওয়াশিংটন ডিসি"। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন হত্যার আগে ওয়াশিংটন থেকেই ডেলাসে এসে পৌঁছেছিলেন জন এফ কেনেডি।
Image Courtesy