Just In
- 31 min ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 41 min ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 15 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 19 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
কড়ে আঙুলে রুপোর আংটি পরলে কী কী উপকার পাওয়া যায় জানা আছে?
বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজি অনুসারে রুপো হল এমন একটি ধাতু যা চাঁদ এবং জুপিটারকে প্রভাবিত করে থাকে, যার প্রভাবে আমাদের জীবনে একের পর এক সফলতা আসতে শুরু করে। বাড়ে শারীরিক সৌন্দর্যও।
বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজি অনুসারে রুপো হল এমন একটি ধাতু যা চাঁদ এবং জুপিটারকে প্রভাবিত করে থাকে, যার প্রভাবে আমাদের জীবনে একের পর এক সফলতা আসতে শুরু করে। বাড়ে শারীরিক সৌন্দর্যও। অন্যদিকে হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে রুপো শরীরের সংস্পর্শে আসা মাত্র এমন খেল দেখাতে শুরু করে যে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে কর্মক্ষেত্র হোক কী সামাজিক জীবন, সবেতেই সম্মান বৃদ্ধির সম্ভাবনা যায় বেড়ে। তবে এখানেই শেষ নয়, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কড়ে আঙুলে রূপোর আংঠি পরলে আরও নানা ধরনের উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন...
১. রোগ-ব্যাধিকে দূরে রাখে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে রুপোর আংটি পরলে শরীরের অন্দরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে রুপো হল এমন একটি ধাতু যা চাঁদকে প্রভাবিত করে। যার প্রভাবেও শরীরের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
২. বাড়ির অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রবেশ ঘটায়:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির ইতি-উতি রুপো দিয়ে তৈরি নানা সোপিস রাখলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি শুভ শক্তির প্রভাবে সুখের ঝাঁপিও কখনও খালি হয় না। ফলে জীবন আনন্দে ভরে ওঠে। প্রসঙ্গত, রুপোর আংটি পরলেও কিন্তু একই উপকার পাওয়া যায়।
৩. রাগ কমে:
আপনি কি খুব রাগী প্রকৃতির মানুষ? তাহলে বন্ধু আজই একটা রুপোর আংটি কিনে এনে পরে ফেলুন। দেখবেন রাগ তো কমবেই, সেই সঙ্গে চাঁদ এবং জুপিটারের প্রভাবে আত্মবিশ্বাসও বাড়তে শুরু করবে। সেই সঙ্গে শারীরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে চোখে পরার মতো। শুধু তাই নয়, মিলবে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন- সর্দি-কাশিতে বার বার ভোগার আশঙ্কা কমবে, জয়েন্টের ব্যথা কমে যাবে এবং শরীরের সচলতা বৃদ্ধি পাবে।
৪. অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটবে চোখে পরার মতো:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে রুপোর আংটি বা হার পরলে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে কর্মক্ষেত্রে সফলতা লাভের সম্ভাবনা যেমন বেড়ে যাবে, তেমনি অর্থনৈতিক উন্নতি লাভের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাবে। তাই তো বলি বন্ধু, অল্প সময়েই অনেক অনেক টাকার মলিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন যদি পূরণ করতে চান, তাহলে রুপোং অংটি পরতে ভুলবেন না যেন!
৫. কথা বলার সমস্যা কমবে:
শুনতে অবাক লাগলেও একথা ঠিক যে রুপোর চেন পরলে "থ্রোট চক্র" এর ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে কথা বলার সমস্যা থাকলে তা যেমন কমতে শুরু করে, তেমনি গলা সম্পর্কিত যে কোনও রোগের প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না।
৬. রুপোর বাসনের যাদু:
রুপোর আংটি এবং হার পরলে যেমন নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়, তেমনি রুপোর বাটিতে প্রতিদিন যদি মধু খাওয়া যায়, তাহলে সাইনাসের সমস্যা কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ঠান্ডা লাগা বা কোনও ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
৭. কুষ্টিতে চাঁদের অবস্থান দুর্বল হলে:
বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজি অনুসারে কারও জন্ম কুষ্টতে চাঁদের অবস্থান যদি খুব দুর্বল হয়ে পরে, তাহলে নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। যেমন ধরুন- কর্মক্ষেত্রে একের পর এক ক্ষতি হবে, অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দেবে, শরীর খারাপ হতে শুরু করবে, মায়ের শরীর বারে বারে খারাপ হবে এবং মনের জোর একেবারে টলানিতে গিয়ে ঠেকবে। তাই তো বলি বন্ধু এইসব সমস্যা থেকে দূরে থাকতে রুপোর চেন বা আংটি পরা বেজায় প্রয়োজন। কারণ এমনটা করলে তাঁদের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করবে। ফলে এমন ধরনের সব সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যাবে কমে।
রুপোর অংটি পরার আগের নিয়ম:
রুপোর আংটি বা চেন কিনে সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তা পরে ফেলা উচিত নয়। বরং প্রথমে সেগুলিকে শুদ্ধ করতে হবে। আর তার জন্য একটা পাত্রে জল নিয়ে সারা রাত আংটি এবং চেনটিকে তাতে চুবিয়ে রাখতে হবে। এমনটা করলে নেগেটিভ শক্তি সরে যেতে শুরু করবে। ফলে রিং এবং চেনটা শুদ্ধ হয়ে যাবে। এরপর সকালে উঠে স্নান সেরে ঠাকুরের পায়ে আংটিটা ছুঁইয়ে সেটি পরে ফেলতে হবে। প্রসঙ্গত, এই কাজটি যদি বৃহষ্পতিবার করতে পারেন, তাহলে কিন্তু আরও বেশি মাত্রায় উপকার মিলবে।