Just In
- 18 min ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 1 hr ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 5 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 6 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
জানেন কি শরীরের এই বিশেষ বিশেষ অংশে পার্ফিউম লাগালে একাধিক রোগ দূরে পালায়?
বৈদিক যুগে লেখা বৃহু সংহিতা নামক এক বইয়ে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে শরীরে সুগন্ধি লাগালে শুক্র গ্রহ বেজায় সন্তুষ্ট হয়। ফলে জন্মকুষ্টিতে এই গ্রহটির অবস্থান শক্তিশালী হতে শুরু করে।
একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! বাস্তবিকই একাধিক রোগকে দূরে রাখতে এবং ভাগ্য ফেরাতে পার্ফিউমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে বৈদিক যুগে লেখা বৃহু সংহিতা নামক এক বইয়ে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে শরীরে সুগন্ধি লাগালে শুক্র গ্রহ বেজায় সন্তুষ্ট হয়। ফলে জন্মকুষ্টিতে এই গ্রহটির অবস্থান শক্তিশালী হতে শুরু করে। যার প্রভাবে শরীর তো চাঙ্গা হয়ে ওঠেই, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্রেও চরম সফলতা লাভের পথ প্রশস্ত হয়। মেলে আরও অনেক উপকার, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
বৃহু সংহিতা গ্রন্থে শরীর এবং সুগন্ধির মধ্যেকার সম্পর্কের উপর যেমন আলোকপাত করা হয়েছে, তেমনি কেমন ধরনের পার্ফিউম ব্যবহার করে বেশি মাত্রায় উপকার মিলতে পারে, সে বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেমন ধরুন এই বইয়ে দাবি করা হয়েছে...
১. যে কোনও দুঃখ নিমেষে দূর করে পার্ফিউম:
শুনতে আজব লাগলেও এমনটা বিশ্বাস করা হয় য়ে বাড়ি থেকে বেরনোর আগে নাভির আশেপাশে চন্দন, গোলাপ অথবা জেসমিনের গন্ধ রয়েছে এমন সুগন্ধি লাগালে নিমেষে মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ফলে দুঃখ তো দূর হয়ই। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদ এবং স্ট্রেসের প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এমন সুগন্ধির প্রভাবে খারাপ সময়ও কেটে যেতে শুরু করে। ফলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হয় চোখের পলকে।
২. মাইগ্রেন এবং আরও নানাবিধ রোগ দূর পালায়:
বৃহু সংহিতা বইয়ে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে তলপেটের আশেপাশে চন্দন এবং গোলাপের গন্ধ রয়েছে এমন পার্ফিউম লাগালে মাইগ্রেনের সমস্যা কমে যেতে শুরু করে, সেই সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা এবং অনিদ্রার মতো রোগও দূরে পালা। শুধু তাই নয়, রাগের মাত্রাও কমে চোখে পরার মতো। তাই তো বলি বন্ধু, অতিরিক্তি রাগকে যদি কমিয়ে ফলতে হয়, তাহলে শরীরের পরিচর্যায় নানাবিধ সুগন্ধিকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!
৩. নখের উপর অল্প পার্ফিউম:
শতাব্দী প্রাচীন এই বইয়ে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে নখের উপর পছন্দের যে কোনও পার্ফিউম অল্প করে লাগাতে শুরু করলে স্টমাক ঠান্ডা হয়। ফলে যে কোনও ধরনের পেটের রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন, তা হল পার্ফিউম লাগানোর পরে নখটা যেন ভুলেও মুখের সংস্পর্শে না আসে। কারণ সুগন্ধিতে উপস্থিত নানাবিধ কেমিকাল মুখ গহ্বরে প্রবেশ করে গেলে কিন্তু বেজায় বিপদ!
৪. ঠাকুর ঘরে সুগন্ধি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ঠাকুর ঘরে প্রতিদিন ধূপ-ধুনো জ্বালালে বা রুম ফ্রেশনার স্প্রে করলে দেব-দেবীরা বেজায় সন্তুষ্ট হন। ফলে ঘরের প্রতিটি কোণায় শুভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। তবে এক্ষেত্রে একটা জিনিস জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন, তা হল যে সিন্দুক বা আলমাড়িতে টাকা রেখেছেন, তার সামনে ভুলেও ধূপ জ্বালাতে যাবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে নাকি অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫. জেসমিন তেল, সুগন্ধি এবং পাঁচটি গোলাপ:
নানাবিধ অর্থনৈতিক সমস্যায় কি জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে? তাহলে বন্ধু প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজির মন্দিরে গিয়ে দেবের সামনে জেসমিন তেল, একটি ছোট শিশি সুগন্ধি এবং পাঁচটি গোলাপ ফুল নিবেদন করা শুরু করুন। দেখবেন টাকা-পয়সা সম্পর্কিত যে কোনও ধরনের সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটবে চোখে পরার মতো।
৬. শরীর এবং মনকে চাঙ্গা করে তুলতে:
শরীরের উপর সুগন্ধির যে নানাবিধ সুপ্রভাব পরে তা অস্বীকার করা সম্ভব নয়। তাই তো বলি বন্ধু, এমন প্রতিযোগিতাময় পরিস্থিতিতে যদি শরীর এবং মনকে চাঙ্গা রাখতে হয়, তাহলে প্রতিদিন জেসমিন, ক্যামোমিল অথবা লেভেন্ডার তেল সারা বাড়িতে ছড়াতে ভুলবেন না যেন! আর যদি সম্ভব হয়, তাহলে এই এসেনশিয়াল তেলের কোনওটি কয়েক ফোঁটা জলে ফেলে সেই জল দিয়ে স্নানও করতে পারেন। কারণ এমনটা করলেও কিন্তু দারুন উপকার পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, মানসিক চিন্তাকে দূরে রাখতেও কিন্তু এই বিশেষ ধরনের তেলগুলি দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে।
৭. খারাপ শক্তির প্রভাব কমে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন ২-৩ টে কপূর জ্বালানো শুরু করলে সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব কমে গিয়ে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। শুধু তাই নয়, পজেটিভ শক্তির প্রভাবে সুখের ঝাঁপি খালি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
কী বন্ধু আর নিশ্চয় মনে কোনও সন্দেহ নেই যে সুগন্ধি এবং শরীরের সম্পর্কটা বেজায় গভীর। তাই এই সব ঘরোয়া টোটকাগুলিকে কাজে লাগাতে দেরি করবেন না যেন। আর এর থেকে যদি কেনও উপকার পান, তাহলে এই লেখার লিঙ্কটি পরিচিতদের মধ্যে কিন্তু অবশ্যই শেয়ার করবেন।