Just In
- 56 min ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 1 hr ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 15 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 20 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
মস্তিষ্ক অস্ত্রপ্রচারের সময় বেহালা বাজাচ্ছেন রোগী! পুরোটা পড়লে আপনিও অবাক হবেন
বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকম শখ থাকে। কথায় আছে, মানুষ অভ্যাসের দাস। যে যেটা করতে পছন্দ করে বা যার যেটা শখ সেটাকেই সে নিজের অভ্যাস করে ফেলে এবং সেটার সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে পড়ে যে, শত প্রতিকূলতা আসলেও তা ত্যাগ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। নাচ, গান, আঁকা, বাদ্যযন্ত্র যেকোনও কিছুতেই অভ্যাস হতে পারে। কিন্তু, আপনি কি কখনও শুনেছেন, শল্য চিকিৎসার সময় অপারেশন টেবিলে শুয়ে রোগী নিজেই তার শখ বা অভ্যাসকে ব্যবহার করছে চিকিৎসকদের সাহায্য করার জন্য? অদ্ভুত লাগছে তাই না? অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। তাহলে, আসুন আসল ঘটনাটা জেনে নেওয়া যাক -
রজার ফ্রিস্ক নামে এক বেহালাবাদক বহুদিন ধরেই 'এসেন্সিয়াল ট্রিমর'-এ ভুগছিলেন। এসেন্সিয়াল ট্রিমর হল, এক প্রকার কম্পন, যা আমাদের শরীরের যেকোনও জায়গায় হতে পারে এবং এই ব্যাধিকে শনাক্ত করা খুবই কঠিন। শরীরের কোন জায়গায় কম্পন তৈরি হচ্ছে তা ধরতে চিকিৎসকরাও হিমশিম খেয়ে যায়।
২০০৯ সালে রজার ফ্রিস্ক শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এইরকম কাঁপুনি অনুভব করেন। তিনি চিকিৎসক দেখিয়ে জানতে পারেন, এটি এক প্রকার স্নায়বিক ব্যাধি। কিন্তু, চিকিৎসকরা সঠিকভাবে ধরতে পারছিলেন না, কোন জায়গা থেকে কম্পন তৈরি হচ্ছে। তবে, রজার ফ্রিস্ক যখন বেহালা বাজাতেন তখন ওই কম্পন বোঝা যেত।
মস্তিষ্ক অপারেশনের সময় সঠিক জায়গায় ইলেক্ট্রড বা বিদ্যুত প্রবাহ না চালাতে পারলে জটিল সমস্য়ায় পড়তে হতে পারে। তাই চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন, অপারেশন চলাকালীন রজার বেহালা বাজাবে, তাতেই রোগ নির্ধারণ করতে সুবিধা হবে। অস্ত্রোপচারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মেয়ো ক্লিনিক নিউরাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবে করা হয়েছিল।
সেই কথা মতোই, চিকিৎসকদের সাহায্য করতে রজার ফ্রিস্ক তাঁর মস্তিষ্কের অপারেশনের সময় বেহালা বাজায় এবং অস্ত্রোপচারটি সফলও হয়।