Just In
আপনার বা আপনার পরিবারের কারও সঙ্গে ভয়ঙ্কর খারাপ কিছু ঘটুক যদি না চান তাহলে মেনে চলুন এই টিপসগুলি
বিশ্বাস করুন বা না করুন নানা সময়ে আমাদের বাড়ির অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটে থাকে। আর এর ক্ষমতা যদি বাড়তে শুরু করে, তাহলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
বিশ্বাস করুন বা না করুন নানা সময়ে আমাদের বাড়ির অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটে থাকে। আর এর ক্ষমতা যদি বাড়তে শুরু করে, তাহলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে পরিবারিক থেকে সামাজিক, এমনকি কর্মজীবনেও নানা বাঁধা আসতে শুরু করে। ফলে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
এমনটা আপনার বা আপনার পরিবারের কারও সঙ্গে ঘটুক, যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধে একবার চোখ রাখতে ভুলবেন না। কারণ এই লেখায় এমন কিছু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা ঠিক ঠিক মতো মেনে চললে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে কুদৃষ্টি এবং কালো যাদুর প্রভাব থেকেও মুক্তি মেলে। প্রসঙ্গত, বাস্তুশাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটাও দাবি করা হয়েছে যে পরিবারে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধির পরিবেশ বজায় রাখতেও বাস্তুশাস্ত্র বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক উন্নতির রাস্তা প্রসারিত করতেও প্রাচীন এই শাস্ত্রের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই আর অপেক্ষা না করে খারাপ শক্তির প্রভাব থেকে কীভাবে বাঁচা থাকা সম্ভব, সে বিষয়ে ঝটপট জেনে নিন।
১. সদর দরজার সামনে ভুলেও ময়লা রাখবেন না:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির মূল দরজার সামনে ময়লা বা নোংড়া জমতে থাকলে গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় বেড়ে। তাই সদর দরজার সামনের অংশ পরিষ্কার রাখবেন। এমনটা করলে দেখবেন উন্নতি আপনার রোজের সঙ্গী হবে।
২. উইন্ড চিমসের ব্যবহার মাস্ট!
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির মূল দরজা বা ঘরের ভিতরে যে জায়গায় বায়ু চলাচল সব থেকে বেশি হয়, সেখানে উইন্ড চিমস ঝোলালে নেগেটিভ শক্তির প্রকোপ কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, বাড়তে শুরু করে পজেটিভ শক্তির মাত্রাও। ফলে সাফল্য এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হয়। সেই সঙ্গে পরিবারের অন্দরে কলহ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
৩. নুনের মহিমা:
খারাপ শক্তির প্রভাবে পরিবারের কারও যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে সৈন্ধব লবণকে কাজে লাগানো জরুরি। এক্ষেত্রে বাড়ির প্রতিটি কোণায় অল্প পরিমাণে সৈন্ধব লবণ ছড়িয়ে রাখতে হবে। এমনটা করলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব কমবে। ফলে জীবন সুখ এবং সমৃদ্ধিতে ভরে উঠতে সময় লাগবে না।
৪. ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি:
বাড়ির ভিতর থেকে খারাপ শক্তিকে বাইরে বার করতে সর্বশক্তিমানের দারস্থ হওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। এক্ষেত্রে বাড়ির মূল দরজায় এবং ভিতরে ঠাকুরের ছবি ঝোলাতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত বাড়িতে পুজো করতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যাবে।
৫. লেবু জল:
শুনতে আজব লাগলেও এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এক গ্লাস জলে একটা লেবু চুবিয়ে তা বাড়িতে রাখলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়ার কারণে সফলতা এবং উন্নতির স্বাদ পেতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এই টোটকাটির কার্যকারীতা বাড়াতে প্রতি শনিবার জল এবং লেবুটা বদলে ফেলতে ভুলবেন না যেন!
৬. বাথরুমের দরজা এবং টয়লেট সিট:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির দাপাদাপি কমাতে বাথরুমের দরজা সব সময় বন্ধ রাখা জরুরি। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে টয়লেট সিটও যেন উপরে তোলা না থাকে। প্রসঙ্গত, বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাথরুমে যদি একটি মানি প্লান্ট গাছ রাখতে পারেন, তাহলে খারাপ শক্তির প্রভাব আরও দ্রুত কমে যায়।
৭. আয়না:
নেগেটিভ শক্তিকে দূরে রাখতে বাড়ির সদর দরজার কাছাকাছি একটা ডিম্বাকার আয়না রাখা জরুরি। এমনটা করলে বাড়ির অন্দরে আলোর মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব কমতে সময় লাগবে না। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। যেমন ধরুন ভুলেও বাড়ির সদর দরজার দিকে মুখ করে এবং বিছানার সামনে আয়না রাখবেন না। এমনটা করলে উপকারের থেকে অপকার হবে বেশি।
৮. ঘড়ি:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে অর্থ এবং সমৃদ্ধির প্রতীক হল ঘড়ি। তাই বাড়ির উত্তর এবং পূর্ব দিকে মুখ করে ঘড়ি রাখতে হবে। এমনটা করলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব তো কমবেই, সেই সঙ্গে বড়লোক হয়ে উঠতেও সময় লাগবে না। তবে খেয়াল রাখবেন বাড়ির ভিতরে থাকা কোনও ঘড়ি যেন বন্ধ অবস্থায় না থাকে। কারণ এমনটা হওয়া অশুভ লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।