Just In
- 19 min ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 55 min ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 3 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 6 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
এই বাস্তু টিপসগুলি মানলে দেখবেন কোনও দিন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে না!
অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল বন্দি হতে কে চায় বলুন! তাই তো এই প্রবন্ধে এমন কিছু বাস্তু নিয়মের উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হল, যা রোগ-ব্যাধিকে দূরে তো রাখেবে।
অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল বন্দি হতে কে চায় বলুন! তাই তো এই প্রবন্ধে এমন কিছু বাস্তু নিয়মের উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হল, যা রোগ-ব্যাধিকে দূরে তো রাখেবেই, সেই সঙ্গে অনেক অনেক টাকার মলিক হয়ে ওটার স্বপ্নও পূরণ করবে। অর্থাৎ হেলথ এবং ওয়েলথকে যদি একসঙ্গে পকেটস্ত করতে হয়, তাহলে এই প্রবন্ধটিতে চোখে রাখতে ভুলবেন না যেন!
বাস্তুশাস্ত্র হল সেই বিদ্যা, যা আমাদের সুখে-শান্তিতে থাকার পথ দেখায়। আসলে এই শাস্ত্রে এমন কিছু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা গৃহস্থের অন্দরে থাকা নেগেটিভ এনার্জিকে বাড়ির বাইরে বার করে দেয়। ফলে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বৃদ্ধি পায় যে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে গুডলাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতির পথ যেমন প্রশস্ত হয়, তেমনি ছোট-বড় নানা রোগ দূরে পালাতে বাধ্য হয়। এই কারণেই তো বাস্তু দোষ কাটাতে প্রত্যেককে বাস্তুশাস্ত্র মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত, যে যে নিয়মগুলি মেনে চললে শরীর বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে, সেই সঙ্গে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্নও পূরণ হয়, সেগুলি হল...
১. ঠাকুর ঘর থাকা মাস্ট:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে শুভ শক্তির মাত্রা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে ঠাকুর ঘরের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে ভগবানের আগমণ ঘটলে প্রতিটি কোনা পজেটিভ শক্তিতে ভরে ওঠে। ফলে নেগেটিভ শক্তি এত মাত্রায় দূরে পালায় যে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে আরও নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল ঠাকুরের পুজো করার সময় আপনি যেন উত্তর-পূর্ব দিকে মুখ করে থাকেন। কারণ এমনটা না হলে কিন্তু তেমন কোনও ফলই পাওয়া যাবে না।
২. প্রদীপ জ্বালাতে হবে:
গুড লাক এবং পজেটিভ শক্তিকে আহ্বান জানাতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় একটা প্রদীপ জ্বালাতে ভুলবেন না যেন, আর যদি তুলসি গাছের সামনে এমনটা করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন তুলসি তলায় প্রদীপ জ্বালালে বাড়ির পরিবেশ বদলে যেতে শুরু করে। ফলে গুডলাক রোজের সঙ্গী হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
৩. জলপ্রপাতের ছবি:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির উত্তর বা পূর্ব দিকে জলপ্রপাতের একটা ছবি রাখলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি কর্মক্ষেত্রে চটজলদি সফলতা লাভা করাও সম্ভব হয়। তাই আগামী এক বছরের মধ্যে যদি বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ করতে চান, তাহলে এই বাস্তু নিয়মটি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!
৪. বাড়ির সদর দরজা:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির মূল ফটক হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ এখান থেকেই অশুভ শক্তির প্রবেশ ঘটে গৃহস্থের অন্দরে। তাই ভুলেও মূল দরজার সামনের অংশ অপরিষ্কার করে রাখবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে বাড়িতে খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটবে। ফলে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষতিও হবে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল মূল দরজা খোলার সময় যেন আওয়াজ না হয়, কারণ এমনটা হলেও কিন্তু অর্থনৈতিক সফলতা লাভের সম্ভাবনা কমে।
৫. বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোন:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গৃহস্থের উত্তর-পূর্ব দিক থেকেই ধন দেবতা কুবেরের আগমণ ঘটে। তাই তো এদিকটায় কোনও ভারি আসবাব রাখা চলবে না। কারণ এমনটা করলে দেবের আগমণের পথ আটকে যাবে। ফলে শত চেষ্টা করেও কিন্তু অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হবে না। প্রসঙ্গত, শাস্ত্রে বলে যেখানে কুবের দেব থাকেন, সেখানে মা লক্ষ্মীরও আগমণ ঘটে। আর মা স্বয়ং যেখানে অবস্থান করেন, সেখানে না রোগ-ব্যাধি থাবা বসাতে পারে, না অর্থনৈতিক সমস্যা!
৬. টাকার আলমারি:
যে আলমারিতে টাকা রাখেন সেটি যেন উত্তর-পূর্ব দিকে মুখ করে থাকে। কারণ এমনটা করলে নাকি অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয়, যে আলমারিতে টাকা রাখা হচ্ছে সেটির সামনে যদি একটি আয়না রাখা যায়, তাহলে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে অনেক টাকার মলিক হয়ে ওটার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না।