Just In
বাড়ির কোন জায়গায় টাকা রাখলে আরও বড়লোক হয়ে ওঠা যায় জানা আছে?
বাস্তুশাস্ত্র মতে বাড়ির একটি নির্দিষ্ট জায়গায় টাকা-পয়সা এবং গয়নাগাটি রাখলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি গৃহস্থের অন্দরে প্রবেশ করে। ফলে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না।
বাস্তুশাস্ত্র মতে বাড়ির একটি নির্দিষ্ট জায়গায় টাকা-পয়সা এবং গয়নাগাটি রাখলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি গৃহস্থের অন্দরে প্রবেশ করে। ফলে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। তাই পকেট ভর্তি টাকা হোক, এমনটা যদি আপনিও চেয়ে থাকেন, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
বেশ কিছু সমীক্ষা করে দেখা গেছে অনেকেই টাকা-পয়সা কোথায় রাখছেন সেদিকে খেয়াল করেন না। ফলে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে খারাপ সময় পিছু নেয়। তাই এমনটা যাতে বোল্ডস্কাইয়ের পাঠাকদের সঙ্গে না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতেই এই লেখায় বিস্তারিত আলোচনা করা হল বাস্তুমতে কোথায় টাকা রাখা উচিত, সে সম্পর্কে।
প্রসঙ্গত, বাস্তু মতে এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে চললে যে কেবল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটে, তা নয়। সেই সঙ্গে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বাদ পেতেও সময় লাগে না। তাই সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া যদি পেতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধে একবার চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
অল্প দিনেই বড়লোক হয় উঠতে সাধারণত যে যে নিয়মগুলি মানা জরুরি, সেগুলি হল...
১. উত্তর দিকে রাখুন:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে উত্তর দিক হল ভগবান কুবেরের স্থান। তাই তো সেদিকে টাকা-পয়সা বা মূল্যবান জিনিস রাখলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বাদ পেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রবেশ ঘটতেও সময় লাগে না। আর এমনটা হলে যে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তাই এবার থেকে মানিব্যাগ বা পার্স খেয়াল করে উত্তর দিকে রাখবেন।
২. ভুলেও দক্ষিণমুখি নয়:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে মা লক্ষী দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে এসে অবস্থান করেন। তাই ভুলেও টাকার ব্যাগ বা সিন্দুক দক্ষিণ দিকে মুখে করে রাখা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে খরচ যেমন বেড়ে যায়, তেমনি একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই যদি চান গুড লাক এবং প্রসপেরিটি আপনার রোজের সঙ্গী হোক, তাহলে বাড়ির দক্ষিণ দিকে ভুল করেও গয়না এবং টাকা পয়সা রাখবেন না।
৩. উত্তর না হলে পূর্ব দিকে রাখতে পারেন:
কারও পক্ষে যদি মানিব্যাগ বা গয়নার বাক্স বাড়ির উত্তর দিকে রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে পূর্বদিকেও রাখতে পারেন। কারণ এমনটা করলেও সুফল পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, দোকানের ক্যাশ বক্সও হয় উত্তর বা পূর্ব দিকে রাখা উচিত। এমনটা করলে ব্যবসায় উন্নতি লাভ করতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মা লক্ষীর আশির্বাদ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৪.বাড়ির চার কোনা:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ঘরের চার কোনায় রাখা আলমারি বা টেবিলে টাকার ব্যাগ বা গয়নার বাক্স রাখা উচিত নয়, বিশেষত উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম কোণে ভুলেও মূল্যবান জিনিস রাখা চলবে না। এমনটা করলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পরিবর্তে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা যাবে বেড়ে। ফলে পকেট খালি হতে সময় লাগবে না।
৫. ঠাকুর ঘর:
অনেকেই মনে করেন ঠাকুর ঘরে টাকা বা গয়না রাখা বেজায় শুভ। কিন্তু এই ধরণাটি একেবারেই সঠিক নয়। কারণ বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গী হতে ভুলেও ঠাকুরের আশেপাশে টাকা রাখা উচিত নয়, বরং শোওয়ার ঘরে রাখা কোনও আলমারি বা সিন্দুকে টাকা রাখলে মা লক্ষীর আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৬. মূল দরজা থেকে যেন সিন্দুক দেখা না যায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির মূল দরজার দিকে সিন্দুক বা টাকার বাক্স রাখলে খরচের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে টাকা আসার জায়গায় বেরিয়ে যেতে শুরু করে। তাই পকেট ভর্তি টাকা হোক, এমন স্বপ্ন যদি দেখে থাকেন, তাহলে ভুলেও দরজার সামনে টাকা বা গয়নার বাক্স রাখবেন না। প্রসঙ্গত, বাথরুম, টয়লেট, রান্নাঘর এবং স্টোর রুমের দিকে মুখ করে থাকা আলমারিতেও টাকা বা গয়না রাখা উচিত নয়। কারণ এমনটা করা বেজয় অশুভ লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে বাস্তুশাস্ত্রে।
৭. পরিষ্কার জায়গায় টাকা রাখতে হবে:
বাস্তুশাস্ত্র মতে পরিষ্কার জায়গায় টাকার ব্যাগ বা গয়না রাখলে সেখানে মা লক্ষীর আগমণ ঘটে। ফলে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে সুখ-শান্তির প্রবেশ ঘটে গৃহস্থের অন্দরে। ফলে সমৃদ্ধি রোজের সঙ্গী হয়। প্রসঙ্গত, যেখানে টাকা রেখেছেন, সেখানে একটি রুপোর কয়েন এবং মা লক্ষীর মূর্তি যদি রাখতে পারেন, তাহলে আরও দ্রুত ফল পাওয়া যায়।
৮. মানিব্যাগ যেন খালি না থাকে:
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সাক্ষী থাকতে ভুলেও মানিব্যাগ কখনও ফাঁকা রাখবেন না। অল্প কিছু টাকা সব সময় ব্যাগে রেখে দেবেন। এমনটা করলে মা লক্ষী কখনও অপনাকে ছেড়ে যাবেন না। ফলে টাকাপয়সা সংক্রান্ত কোনও সমস্যার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা যাবে কমে।