For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

জটিল কোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হতে চান না নিশ্চয়! তাহলে এই বাস্তু নিয়মগুলি মানতেই হবে!

কীভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখা সম্ভব, সে সম্পর্কে যদিও আমরা জেনে ওঠার চেষ্টা করি না। আর ঠিক এই কারণেই প্রত্যেকেরই এই লেখাটি পড়া মাস্ট!

|

সুস্থ শরীর, পকেট ভর্তি টাকা এবং শান্তির জীবন, এই তো চায় সবাই। বিশেষত কোনও জটিল রোগ যাতে ঘাড়ে চেপে না বসে, সেই প্রার্থনাই করে সদা করে সবাই। কিন্তু কীভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখা সম্ভব, সে সম্পর্কে যদিও আমরা জেনে ওঠার চেষ্টা করি না। আর ঠিক এই কারণেই প্রত্যেকেরই এই লেখাটি পড়া মাস্ট!

আসলে এই লেখায় শরীরকে সুস্থ রাখার এমন কিছু আজব নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যে সম্পর্কে জানতে জানতে আপনার চোখ কপালে উঠে যাবেই যাবে! কারণ শরীরকে চাঙ্গা রাখতে শরীরচর্চা বা পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মতো উপদেশ এখানে দেওয়া হয় নি। বরং এমন কিছু বাস্তু নিয়মের উপর আলোকপাত করা হয়েছে, যা মেনে চললে শরীর তো চাঙ্গা হয়ে উঠবেই, সেই সঙ্গে সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে তার প্রভাবে একের পর এক সুফল মিলতেও শুরু করবে। বিশেষত, অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে যেমন সময় লাগবে না, তেমনি পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগবে চোখের পলকে।

প্রসঙ্গত, শরীরকে নানাবিধ জটিল রোগের খপ্পর থেকে দূরে রাখতে এবং এত সব উপকার পেতে যে যে বাস্তু নিয়মগুলি মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন, সেগুলি হল...

১. শোওয়ার নিয়ম:

১. শোওয়ার নিয়ম:

খেয়াল রাখবেন ঘুমনোর সময় মাথাটা যেন দক্ষিণ দিকে থাকে। কারণ এমনটা করলে নানা কারণে শরীর ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে মন এবং মস্তিষ্কও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরও কতগুলি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। যেমন ধরুন- কারও যদি পিত্ত দোষ থাকে, তাহলে তার ডান দিকে ফিরে ঘুমনো উচিত, আর বাকিদের উচিত বাঁদিকে ফিরে ঘুমনো।

২. বাড়ির সিঁড়ি এবং শরীর:

২. বাড়ির সিঁড়ি এবং শরীর:

শুনতে আজব লাগলেও এই ধরণার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে বাড়ির ঠিক কোন জায়গায় সিঁড়ি বানানো হয়েছে, তার উপরও কিন্তু আমাদের শরীরের হাল-হকিকত অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির একেবারে মাঝখানে ভুলেও সিঁড়ি তৈরি করা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই তো সিঁড়ির প্রয়োজন হলে সব সময় তা বাড়ির কোনও কোণে বানানো উচিত।

৩. বাড়ির কেন্দ্র বিন্দু:

৩. বাড়ির কেন্দ্র বিন্দু:

বাস্তুশাস্ত্রে বাড়ির একেবারে মাঝখানের অংশকে ব্রহ্মস্থান বলা হয়ে থাকে। এই স্থানটি যতটা সম্ভব ফাঁকা রাখা উচিত। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখা উচিত এর আশেপাশে যেন ভারি কোনও আসবাব পত্র না রাখা হয়। কারণ ব্রহ্মস্থান এবং তার আশেপাশে পজেটিভ শক্তির ফ্লো যাতে ঠিক থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর ঠিক এই কারণেই এমন নিয়ম মেনে চলাল পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আর যদি কেউ এই নিয়ম না মানেন, তাহলে বারে বারে শরীর খারাপ হওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখিন হওয়ার জন্য প্রস্থুত থাকাই ভাল!

৪. ক্রিস্টাল এবং শরীর:

৪. ক্রিস্টাল এবং শরীর:

বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে প্রত্যেকেরই বাড়ির ব্রহ্মস্থানে ক্রিস্টালের কিছু না কিছু রাখা উচিত। কারণ এমনটা করলে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাভাবিকভাবেই শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি পজেটিভ শক্তির প্রভাবে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে। শুধু তাই নয়, কালো যাদুর প্রভাবও কমে নিমেষে। তাই তো বলি বন্ধু, নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের সুস্থ এবং নিরাপদে রাখতে ক্রিস্টালের কোনও সোপিস বাড়িতে এনে রাখতে ভুলবেন না যেন!

৫. ওভারহেড বীম:

৫. ওভারহেড বীম:

খেয়াল করে দেখবেন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ওভারহেড বীম রয়েছে। আসলে বাড়ির ছাদের ভার বহন করতেই মূলত এই ধরনের বীম তৈরি করা হয়ে থাকে। কিন্তু ভুলেও ঘরের মাঝখানে যেন কোনও বীম তৈরি করা না হয়। কারণ এমনটা করলে পজেটিভ শক্তির মাত্রা কমতে শুরু করে। বাড়তে থাকে খারাপ শক্তির প্রভাব। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের উপর খারাপ প্রভাব পরার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে নানাবিধ খারাপ চিন্তা আসার সম্ভাবনাও থাকে। ফলে মানসিক শান্তি দূরে পালাতে সময় লাগে না।

৬. জেনারেটার এবং ওয়াটার ট্যাঙ্ক:

৬. জেনারেটার এবং ওয়াটার ট্যাঙ্ক:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে জেনারেটার যদি উত্তর-পূর্ব দিকে মুখ করে রাখা হয় এবং আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার ট্যাঙ্কের অবস্থান যদি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে হয়, তাহলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। কারণ এমনটা হলে নানাবিধ রোগের খপ্পরে পরে শরীর ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে।

৭. মোমবাতির ক্ষমতা:

৭. মোমবাতির ক্ষমতা:

বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে মোমবাতি জ্বালানো উচিত। কারণ এমনটা করলে গৃহস্থে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কমে যাওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাও আর থাকে না।

৮. শরীর খারাপ হলে যে যে নিয়ম মানতে হবে:

৮. শরীর খারাপ হলে যে যে নিয়ম মানতে হবে:

আপনার বা পরিবারের কারও শরীর খারাপ হলে তার ঘরে প্রতিদিন একটা করে মোমবাতি জ্বালাতে ভুলবেন না যেন! এমনটা করলে রোগ-ব্যাধি দূরে পালাতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, বাড়ির উত্তর দিকে নিয়মিত মোমবাতি জ্বালালে কেরিয়ারে উন্নতি লাভের সম্ভাবানা যেমন বেড়ে যায়, তেমনি উত্তর-পূর্ব দিকে জ্বালালে জ্ঞানের বিকাশ ঘটতে সময় লাগে না। আর যদি পূর্ব দিকে প্রতিদিন মোমবাতি জ্বালানো হয়, তাহলে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি ছোঁয়া লাগতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি শরীর এবং মনও চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

Read more about: বিশ্ব
English summary

Vastu Tips for Good Health

Everyone wants a happy, healthy and a wealthy home with all material comforts as well as peace of mind. Use the below 21 Vastu tips in your home to attract wealth. ‘Health is wealth’ is one of the most common things one gets to hear. If you are eating junk food or staying up late or working long hours, this is a common phrase thrown at you. However, it is true, without good health, everything is redundant. Our health also depends on the environment we live in or the atmosphere at our home or workplace. If there is tension, animosity, or some unseen issue, Vastu Shastra can help resolve these problems.
Story first published: Monday, December 3, 2018, 12:48 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion