Just In
আজব খাদ্য় রসিকদের গল্প
আজব খাদ্য় রসিকদের গল্প জানতে চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে।
খাবার জিনিসের তালিকায় রসদের তো অভাব নেই। তবু অনেকেই সেই সব সুস্বাদু খাবার খেতে পছন্দ করেন না। উল্টে পেট ভরান এমন সব জিনিস দিয়ে যেগুলিকে আর যাই হোক খাবার বলা চলে না। বুঝতে পারছেন না নিশ্চয় কী বলছি? চলুন তাহলে একটু খোলসা করে বলা যাক।
এই বিশ্বে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা এমনসব খাবার খেয়ে থাকেন যেগুলির কথা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য়। আপনি হয়তো ভাবছেন খাবার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট কে না করে তাহলে এত কথা হচ্ছে কেন! আসলে এখন যাদের কথা লিখতে চলেছি তারা পেট ভরাতে যা খান, সেগুলিকে কোনও মতেই খাবার বলা চলে না।
শুকনো দেওয়ালের রং যখন খাবার তালিকায় জায়গা পায়:
আমেরিকার ডেট্রয়েটের বাসিন্দা নিকোল গত সাত বছর ধরে খিদে পেলেই রং খেয়ে থাকেন। কারণ তার মনে হয় শুকিয়ে যাওয়া রঙের থেকে সুস্বাদু খেতে এই পৃথিবীতে আর কিছু নেই। কী, অবাক হয়ে গেছেন তো? দাঁড়ান দাঁড়ান এখানেই শেষ নয়। নিকোলের নিজের বাড়িতে যখন দেওয়ালের রং সব ফুরিয়ে যায়, তখন সে তার প্রতিবেশীদের বাড়িতে হামলা চালান।
Image Courtesy
নীল প্লাস্টিক ব্য়াগ:
২৩ বছর বয়সি এই ছেলেটির নাম রবার্ট। তিনি বিখ্য়াত কেন জানেন? কারণ এই ছেলেটি ক্ষিদে পেলেই নীল প্লাস্টিকের ব্য়াগ খায়। সেই কারণে সে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেরায় নীল ব্য়াগ সংগ্রহ করার জন্য়। শুধু নীল ব্য়াগ কেন? তার মতে প্লাস্টিক ব্য়াগের মধ্য়ে নীল রঙের টাই নাকি বেশি ভালো খেতে। যদিও ধীরে ধীরে রর্বাট তার এই আজব খাওয়ার ধরনটা বদলানোর চেষ্টা করছে।
Image Courtesy
খাবার যখন ক্লে মাস্ক:
এই ছবিতে যে মহিলাকে দেখতে পাচ্ছেন তার নাম নাতাশা। বয়স ৪০ বছর। শুনলে আবাক হয়ে যাবেন এই মহিলার যখনই ক্ষিদে পায়, তখনই সে ক্লে মাস্ক খেতে শুরু করেন। গত ৭ বছর ধরে তিনি এই খাবারই খাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, ক্লে মাস্ক মূলত ত্বকের ফেসিয়াল করার সময় কাজে লাগে।
Image Courtesy
টায়ার খাবেন নাকি!
১৯ বছরের এই মেয়েটির নাম অ্যালিসন। গত ৬ বছর ধরে এই মেয়েটি শুধু টায়ার খেয়েই বেঁচে আছে। অ্যালিসনের যখনই ক্ষিদে পায় তখনই চুইংগামের মতো টায়ার চিবাতে শুরু করে। কেমন খেতে লাগে কে জানে!
Image Courtesy
সেলো টেপ:
মারিয়া, জর্জিয়ার বাসিন্দা। দেখতে আর পাঁচটা মানুষের মতো হলেও এনার খাওয়ার ধরন একেবারেই সাধারণের মতো নয়। কেন জানেন! ক্ষিদে পেলেই মারিয়া সেলো টেপ ছাড়া আর কিছুই খান না। তাই তো প্রতি মাসে প্রায় ৬০০০ ফুট টেপের প্রয়োজন পড়ে ওনার। প্রসঙ্গত, গত ৯ বছর ধরে মারিয়া শুধুমাত্র সেলোটেপ খেয়েই পেট ভরাচ্ছেন।
Image Courtesy
গায়ে না লাগিয়ে পেটে যাচ্ছে ডিয়োডরেন্ট:
নিকোল নামে ১৯ বছরের এই তরুণীর খাদ্য় তালিকায় ডিয়োডরেন্ট ছাড়া আর কিছুই নেই। সেই ছোট বেলা থেকেই দিনে প্রায় হাফ বোতল ডিয়োডেরন্ট খেয়ে পেট ভরায় এই মেয়েটি। এমনটা করার জন্য় যে সে অসুস্থ হয় না, এমন নয়। তবু যেন এই আজব অভ্য়াস ছাড়তে নারাজ নিকোল।
Image Courtesy